The story of Chris Reynolds who became the richest prson of all time briefly dgtl
Richest Person Chris Reynolds
আদানি, ইলন চুনোপুঁটি! বিশ্বের সেরা ধনী হয়েছিলেন এক আম আদমি, আজও তাঁকে ছুঁতে পারেননি কেউ
মুহূর্তে দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রিসের নাম। বিশ্বের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়ে নেন আমেরিকার সে যাবৎ অখ্যাত এক ক্রিস রেনল্ড। যার সম্পদের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন না ধনকুবেররা।
সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটনশেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
ধনকুবেররাও এই সম্পদের কেবল স্বপ্ন দেখতে পারেন। আর ৫৬ বছরের প্রৌঢ় বিনা পরিশ্রমেই হয়ে গিয়েছিলেন সেই কল্পনাতীত সম্পদের মালিক! এক লহমায় দুনিয়ার সর্বকালের সেরা ধনী হয়ে গিয়েছিলেন। যে রেকর্ড আজও ভাঙতে পারেননি কেউ।
০২১৭
এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ধনী বার্নার্ড আর্নল্ট। ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর মালিক বার্নার্ডের মোট সম্পত্তি অর্থাৎ ১৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। তার পরেই রয়েছেন টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক। তাঁর মোট সম্পদ ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজ়ন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তিনি ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক। তবে ২০১৩ সালে এঁদের সবাইকে টপকে গিয়েছিলেন আমেরিকার এক সৌভাগ্যবান।
০৩১৭
নাম ক্রিস রেনল্ডস। ২০১৩ সালে এই ৫৬ বছর বয়সি ক্রিসের নাম চলে এসেছিল গোটা বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রে। এক লহমায় এত অর্থের মালিক হয়েছিলেন তিনি, যার বর্ণনা দিতে গেলেও গুলিয়ে যেতে পারে হিসেব। মনে হতে পারে, ‘‘ঠিক শুনছি তো!’’
০৪১৭
ঠিক কত অর্থের মালিক হয়েছিলেন ক্রিস? উত্তরটা হল, ৯২ কোটি কোটি ডলার। অঙ্কটা কি বোঝা যাচ্ছে!
০৫১৭
একটি শব্দও ভুল লেখা হয়নি। তবে ‘কোটি কোটি’ অর্থ বলতে সাধারণত যা বোঝায়, সংখ্যাটি তার থেকে অনেক বেশি ভারী।
০৬১৭
টাকার হিসাবে হাজার কোটির বা লক্ষ কোটির একক প্রায়ই শোনা যায়। ক্রিসের পাওয়া অর্থ সেই হিসাবেই ‘কোটি কোটি’।
০৭১৭
আরও একটু বিশদে বলা যাক। ১ মিলিয়ন মানে ১০ লক্ষ। ১ বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি। ১ কোয়াড্রিলিয়ন মানে ১,০০,০০,০০০ কোটি। আর ক্রিসের সম্পদের অঙ্ক পৌঁছেছিল ৯২ কোয়াড্রিলিয়নে।
০৮১৭
২০১৩ সালের এক সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে হঠাৎই চমকে যান ক্রিস। তিনি দেখেন তাঁর পে প্যাল অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের পরিমাণ ৯২,২৩৩,৭২০,৩৬৮,৫৪৭,৮০০ ডলার।
০৯১৭
ব্যস, মুহূর্তে দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রিসের নাম। বিশ্বের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়ে নেন আমেরিকার সে যাবৎ অখ্যাত এক ক্রিস রেনল্ড। যার হঠাৎ পাওয়া সম্পদের পরিমাণের সঙ্গে টক্কর দেওয়া তো দূর অস্ত, স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না ধনকুবেররা। আম আদমির কথা তো ছেড়েই দেওয়া যায়।
১০১৭
ফিলাডেলফিয়ার একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয় সেই খবর। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়া জুড়ে।
১১১৭
ক্রিস ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সেই দিনের আগে পর্যন্ত তাঁর পে প্যাল অ্যাকাউন্টে বড়জোর এক হাজার ডলারের ব্যালান্স থাকত। তাই টাকার অঙ্ক দেখে তিনি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কোথা থেকে কী ভাবে ওই অর্থ এল, তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারেননি।
১২১৭
চাইলে নিশ্চয়ই ওই অর্থ ব্যবহার করতে পারতেন ক্রিস, কিন্তু তিনি তা করেননি। ক্রিসের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছনোর কথা এর মধ্যে পে প্যাল কর্তৃপক্ষের কানেও পৌঁছয়। তার পরেই হয় রহস্যোদ্ঘাটন।
১৩১৭
পে প্যাল একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, ওই অর্থ ক্রিসের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে তাঁদের নিজস্ব প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। যা শুধরে নেওয়া হয়েছে। তবে এই ভুলের জন্য কিছু সময়ে জন্য ক্রিসের যে ‘অসুবিধা’ হয়েছে, তার জন্য তারা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
১৪১৭
পরে ক্রিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখাও করেন পে প্যাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। একটি সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের তরফে হওয়া ভুল যে উনি বুঝতে পেরেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি।’’
১৫১৭
একদিনের রাজা। ক্রিসের কাহিনি ছড়িয়ে পড়তে তিনি এই নামেই পরিচিত হতে শুরু করেন। আলোচনাও হয় তাঁকে নিয়ে। পরে জানা যায়, এই ভুলের জন্য পে প্যালের তরফে ক্ষতিপূরণ হিসাবে কিছু অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ক্রিসকে। তবে তিনি সেই অর্থ না নিয়ে তা সমাজ কল্যাণে দান করে দিতে বলেছেন।
১৬১৭
পে প্যাল কর্তৃপক্ষই ওই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ক্রিসের মতো গ্রাহক পেয়ে তাঁরা গর্বিত এবং সম্মানিত। তাঁর ইচ্ছে মেনে ওই অর্থ যথাস্থানে দান করা হবে।
১৭১৭
তবে ক্রিস ওই একটি সিদ্ধান্তেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি একদিনের রাজা নন। হাতে আসা অর্থ হেলায় ফিরিয়ে দেওয়া মনের রাজা।