দক্ষিণ কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকতে থাকতেই ম্যানেজমেন্ট পড়া শুরু করেন পার্থ। পড়াশোনার ব্যস্ততার জেরে রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ইস্টবেঙ্গলের কট্টর সমর্থক ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলেই পার্থকে দেখা যেত গ্যালারিতে। পড়াশোনার জন্য রাজনীতি ও খেলার মাঠে যাওয়া দুই-ই ছেড়েছিলেন তিনি।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই মারা যান বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক। তাই তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রথমে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পাননি পার্থ। কিন্তু পরে একাধিক উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। উপযুক্ত সংখ্যা হয়ে যাওয়ায় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পান তৃণমূলের বিধায়ক পার্থ। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনেও বিরোধী দলনেতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তাঁর।
২০১৬ সালে মমতা দ্বিতীয় বার সরকার গড়লে শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয় পার্থকে। তাঁর হাতে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থাকার সময়েই একাধিক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। আদালতে গিয়েছে শিক্ষা দফতরের তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছেন পার্থ।
গত ১৯ মে প্রথম বার এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন পার্থ। পরে আরও এক বার সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে ইডি তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। ২৭ ঘণ্টা জেরার পর শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। এর ঠিক ছ’দিন পরে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হল। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পার্থকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই দলনেত্রী মমতা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন, পার্থ আর তাঁর মন্ত্রিসভায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy