The history of demonetization in India goes far back dgtl
History of demonetization
মোদীর নোটবন্দির পক্ষেই হন বা বিপক্ষে, কিছু ইতিহাস আপনার জেনে রাখা জরুরি
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথম নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা মাইলফলক হয়ে আছে। মঙ্গলবার তার ৬ বছর পূর্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ ১৩:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টা। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথম নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা মাইলফলক হয়ে আছে। মঙ্গলবার সেই নোটবন্দির ৬ বছর পূর্তি।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৮
নোটবন্দিতে দেশে প্রচলিত সমস্ত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিল সরকার। বলা হয়েছিল, নতুন করে আবার ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হবে। তবে ১০০০ টাকার নোট পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার জায়গায় এসেছিল নতুন ২০০০ টাকার নোট।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৮
নোটবন্দির ঘোষণার সময় বাজারে চালু ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের মোট মূল্য ছিল ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে মোট চালু নোটের ৮৬ শতাংশ বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৮
বাতিল নোটের ৯৯ শতাংশেরও বেশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, নোটবন্দি কালো টাকার ‘মোক্ষম দাওয়াই’। এই প্রক্রিয়ায় কালো টাকার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যদিও বাস্তব অন্য কথা বলেছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে থাকা টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় চলে আসার ফলে নোটবন্দির উদ্দেশ্য নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী সেই প্রশ্ন এখনও উঠছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৮
৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে টুইটারে রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘‘কালো টাকা ফেরেনি। তবে দারিদ্র ফিরেছে। অর্থনীতি নগদহীন হয়নি। কিন্তু দুর্বল হয়েছে।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৮
৬ বছর আগের সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছেন, ‘‘সে দিন সেই মারাত্মক ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ হেন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাকিদের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব বুঝতে প্রায় এক সপ্তাহ লেগে গিয়েছিল।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৮
অন্য দিকে, বিজেপির অমিত মালব্য নোটবন্দির ৬ বছর পূর্তিতে কালো টাকার বিশদ হিসাব দিয়েছেন। অমিত টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিজেপির শাসনে কালো টাকা ফিরে এসেছে। দারিদ্রও কমেছে।’’ কত পরিমাণ কালো টাকা ফিরে এসেছে দেশে? ছবিতে তার তথ্য দিয়েছেন অমিত। যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৪-২১ সালে দেশের মধ্যে ৭৮৭৭ কোটি টাকা মূল্যে হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ৮৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার অনথিভুক্ত আয়ের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৮
নোটবন্দির পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও কিন্তু দেশের নোটবন্দির ইতিহাস অনেকেরই অজানা। আজকের প্রতিবেদনে রইল নোটবন্দি বিষয়ক তেমন কিছু অজানা তথ্য।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৮
২০১৬ সালেই প্রথম নয়। আগেও ভারতে একাধিক বার নোটবন্দি হয়েছিল। প্রচলিত নোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল এক ধাক্কায়। প্রথম নোটবন্দি হয়েছিল পরাধীন ভারতে।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৮
১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম বার ১ হাজার এবং তার বেশি টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল ভারতে। দ্বিতীয় বার নোটবন্দি হয় ৩২ বছর পর।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৮
ভারতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যে পরিমাণ টাকার নোট ছাপা হয়েছে, তা হল ১০ হাজার। ১৯৩৮ সালে প্রথম ১০ হাজার টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। এর পর আবার তা ছাপা হয় ১৯৫৪ সালে।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৮
১৯৩৮ সাল থেকে দেশে ১০ হাজার টাকার নোট প্রচলিত ছিল। ১৯৪৬ সালে প্রথম বার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর ১৯৫৪ সালে ফের চালু হয় ১০ হাজারের নোট। ১৯৭৮ সালে তা আবার বাতিল করে দেওয়া হয়। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার নোট ছাপিয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৮
দেশে ৫ হাজার টাকার নোটও চালু ছিল এক সময়। ১৯৭৮ সালে ১০ হাজারের সঙ্গে ১ হাজার এবং ৫ হাজার টাকার নোটও বাতিল করে দেয় সরকার।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৮
ভারতে ৫০০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৮৭ সালের অক্টোবর মাসে। ১৯৭৮ সালে বাতিল হওয়ার পর ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে ফের ১০০০ টাকার নোট চালু করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৮
ভারতে ২০০০ টাকার নোট আগে ছিল না। ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর ২০০০ টাকার নতুন নোট চালু করে সরকার।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৮
নোটবন্দির পর ৫০০ এবং ২০০০-এর পাশাপাশি আরবিআই থেকে ২০০ টাকার নোটও ছাপানো হয়। ক্রমে বাজারে দেখা মেলে নতুন ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা এবং ১০ টাকার নোটের। নোটবন্দির পর কেন্দ্র জানায়, শুধু নতুন নোট ছাপতেই খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৮
১ হাজার ৬৯৫ কোটি ৭০ লক্ষ নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছে। তার জন্য খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ, প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
ছবি: সংগৃহীত।
১৮১৮
২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছে ৩৬৫ কোটি ৪০ লক্ষ। সেই বাবদ খরচের অঙ্ক ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা ৬০ পয়সা। এ ছাড়া, নতুন ১৭৮ কোটি ২০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। তাতে খরচ হয় মোট ৫২২.৮৩ কোটি টাকা।