ঘূর্ণিঝড় এবং গভীর নিম্নচাপ— সব নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বঙ্গবাসী। তবে রবিবার রাত থেকেই ঘুরে গেল পরিস্থিতি।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
শেষমেশ কলকাতায় দেখা মিলল শীতের। নভেম্বর তো বটেই, ডিসেম্বরের বেশ কয়েক দিন চলে যাওয়ার পরও আবহাওয়ায় ঠান্ডার কোনও চিহ্নই প্রায় দেখা যায়নি। ঘূর্ণিঝড় এবং গভীর নিম্নচাপ— সব নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বঙ্গবাসী। তবে রবিবার রাত থেকেই ঘুরে গেল পরিস্থিতি।
০২১১
অকালবৃষ্টি এবং মেঘ কেটে গিয়ে গত সপ্তাহের শেষ থেকেই আবহাওয়া ছিল শুকনো। সোমবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা কমে গিয়েছে চোখে পড়ার মতো। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে মরসুমে এই প্রথম স্বাভাবিকের নীচে তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে।
০৩১১
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম।
০৪১১
রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। সোমবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে গিয়েছে।
০৫১১
হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না। তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম।
০৬১১
মূলত পরিষ্কার আকাশ এবং শুকনো আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদেরা। আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা।
০৭১১
সোমবার আসানসোলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়ায় ১১.৬, ডায়মন্ড হারবারে ১৫.১, দিঘায় ১৩.৬, দমদমে ১৪.৬, মালদহে ১৫.৬, মেদিনীপুরে ১৩.১, পুরুলিয়ায় ১১.১, শান্তিনিকেতনে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল সোমবার।
০৮১১
উত্তরবঙ্গে এখনও বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে তুষারপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে চলবে হালকা বৃষ্টিও। তবে উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।
০৯১১
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৌঁছে গেলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা এখনও মেলেনি বাংলায়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তা তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে ঘুরে গেলেও প্রভাব পড়েছে বঙ্গে।
১০১১
তিন দিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলেছে। যার ফলে স্যাঁতসেতে আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল।
১১১১
অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ের মেঘ কেটে উঠেছে রোদ। তাতেই পারদ নামতে শুরু করেছে।