এ ছাড়া সুইস নাগরিকদের ভারতে ব্যবসা বা শেয়ারের লগ্নি থেকে আয়ের উপর বেশি হারে কর দিতে হবে। এর ফলে এ দেশের বাজারে তাঁদের বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কমতে পারে বলে মনে করেছন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বের্ন থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি লগ্নি এসেছে ভারতের মাটিতে।
এ দেশে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করা সত্ত্বেও নয়াদিল্লির উপর সুইস প্রশাসনের রাগের মূল কারণ লুকিয়ে আছে ‘দ্বৈত কর সংক্রান্ত চুক্তি’ বা ‘ডাবল ট্যাক্স অ্যাভয়ডেন্স এগ্রিমেন্ট’-এ (ডিএটিটি)। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর বিবৃতি দিয়েছে বের্নের অর্থ মন্ত্রক। সেখানেই উঠে এসেছে গত বছর (পড়ুন ২০২৩) নেস্লে মামলায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়।
সুইৎজ়ারল্যান্ডের অভিযোগ, ‘অর্গানাইজ়েশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বা ওইসিডিভুক্ত দেশগুলিকে বেশি পরিমাণ করছাড় দিচ্ছে ভারত। অন্য দিকে, চুক্তি থাকা সত্ত্বেও নেস্লের মতো সুইস সংস্থাকে বেশি কর দিতে হচ্ছে। ফলে আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না। এই কারণ দেখিয়েই দিল্লিকে দেওয়া ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশ’-এর তকমা কেড়ে নিয়েছে বের্ন।
২০২১ সালে ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সুইস প্রশাসন। এর পরই সেখানকার সংস্থা নেস্লে তাঁদের লভ্যাংশের উপর মাত্র পাঁচ শতাংশ কর দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নয়াদিল্লির যুক্তি ছিল লিথুয়ানিয়া এবং কলম্বিয়ার সঙ্গে আগে ভাগে চুক্তি সারা হয়েছে। ওইসিডি ভুক্ত অন্য দেশগুলিকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর এই চুক্তির সঙ্গে সুইস সংস্থা নেস্লের আয়করের কোনও সম্পর্ক নেই।
কিন্তু নেস্লে বিষয়টি মানতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দিল্লি হাই কোর্টে মামলা ওঠে। পরে তা চলে যায় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর (পড়ুন ২০২৩) এই ইস্যুতে দেওয়া রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, দ্বৈত চুক্তির অধীনে আপনা থেকেই পছন্দসই কর ঠিক করা যাবে, এমনটা নয়। এ জন্য আয়কর আইন অনুসারে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এই রায়ের জেরে আপাতত নেস্লেকে ১০ শতাংশ করই দিতে হবে।
সুইৎজ়ারল্যান্ডে লম্বা সময় ধরে ব্যবসা করে আসছে তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মা ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। সুইস সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁদের লাভের অঙ্ক অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, সুইস সংস্থাগুলি ভারতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পাল্টালে কয়েক হাজার কোটি ডলার লগ্নি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy