IPL 2020 Auction player list with highest base price dgtl
Cricket
সর্বোচ্চ বেস প্রাইসের এই ক্রিকেটাররা কি আসন্ন আইপিএলে দল পাবেন?
কলকাতায় ১৯ ডিসেম্বরে হবে আইপিএলের নিলাম। তার আগে প্রকাশ পেয়েছে সর্বোচ্চ বেস প্রাইসের ক্রিকেটারদের নাম। নিলাম শুরুর আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক কাদের বেস প্রাইস আকাশছোঁয়া। তাঁদের এই বিপুল দর কি আইপিএল-এ দল পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠবে?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
কলকাতায় ১৯ ডিসেম্বরে হবে আইপিএলের নিলাম। তার আগে প্রকাশ পেয়েছে সর্বোচ্চ বেস প্রাইসের ক্রিকেটারদের নাম। নিলাম শুরুর আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক কাদের বেস প্রাইস আকাশছোঁয়া। তাঁদের এই বিপুল দর কি আইপিএল-এ দল পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠবে?
০২১৫
প্যাট কামিন্স — আইপিএল-এর দুনিয়ায় পরিচিত মুখ প্যাট কামিন্স। কিন্তু, এ বারের নিলামে তাঁর বেস প্রাইস আকাশছোঁয়া! ২ কোটি বেস প্রাইসের অস্ট্রেলিয়ান কামিন্সকে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে নেবে, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটমহল। ২০১৪ সালে কামিন্সকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৭ সালের আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ৪.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে কেনে অজি পেসারকে। পরের বছর কামিন্সের নতুন ঠিকানা হয় মুম্বই।
০৩১৫
তাঁকে ৫.৪ কোটি টাকার বিনিময়ে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু, চোটের জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কামিন্সের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনেকে নেয় মুম্বই। তার আগের বছরে ১২টি ম্যাচ থেকে ১৫টি উইকেট পেয়েছিলেন অজি পেসার। অ্যাশেজে দারুণ ফর্মে ছিলেন কামিন্স। ৫টি ম্যাচ থেকে ২৯টি উইকেট নেন তিনি। নতুন বছর আইপিএলে কি দল পাবেন কামিন্স? গতবার চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় অজি ক্রিকেটারকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাঁর বিশাল বেস প্রাইস নিয়েও কিন্তু ভাবছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
০৪১৫
জশ হ্যাজলউড— ভরা ক্রিকেট মরসুমের জন্য ২০১৫ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন হ্যাজলউড। এ বার তাঁর বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। আগামী বছরের আইপিএলে কোন দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে এই অজি পেসারকে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে ১৯ তারিখের নিলামে।
০৫১৫
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে-তে খেলেন তিনি। ৫০টি টেস্টে হ্যাজলউডের শিকার ১৯৪ উইকেট। ৪৪টি ওয়ানডে থেকে তাঁর ঝুলিতে ৭২টি উইকেট।
০৬১৫
ক্রিস লিন— গতবার কেকেআর-এর হয়ে ওপেন করেছেন ক্রিস লিন। বড় শট খেলতে দক্ষ তিনি। এ বার লিনকে ছেড়ে দিয়েছে নাইটরা। গতবার ১৩টি ম্যাচ থেকে লিনের সংগ্রহ ছিল ৪০৫ রান। এর পরেও তাঁকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। ১৯ ডিসেম্বর আইপিএল-এর নিলাম। লিনের বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। লিনকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই কালি খরচ হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
০৭১৫
আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত টি ১০ টুর্নামেন্ট চলাকালীন লিনকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সওয়াল করেছিলেন যুবরাজ সিংহ। বলেছিলেন, লিনকে ছেড়ে দিয়ে ভুলই করেছে কেকেআর। যার উত্তরে নাইটদের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর বলেন, ‘তোমার জন্য বিড করব বলেই লিনকে ছেড়ে দিয়েছি আমরা।’ নতুন বছরের আইপিএল-এ কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে দেখা যাবে লিনকে, সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে ক্রিকেটমহলে।
০৮১৫
মিচেল মার্শ— আইপিএল-এর দুনিয়ায় খুবই পরিচিত মুখ মিচেল মার্শ। জিওফ মার্শের ছেলে তিনি। শন মার্শের ভাই। ডেকান চার্জার্স, পুণে ওয়ারিয়র্স, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস-এর হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের আইপিএল নিলাম থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩২টি টেস্ট থেকে ৪২টি উইকেট নেন তিনি। ৫৩টি ওয়ানডে থেকে ৪৪টি উইকেটের মালিক মার্শ।
০৯১৫
২০১৯ সালের অ্যাশেজের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পান তিনি। সিরিজের প্রথম চারটি টেস্টে জায়গা হয়নি তাঁর। পঞ্চম টেস্টে নামেন মার্শ। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ বারের নিলামে মার্শের বেস প্রাইস হয়েছে ২ কোটি টাকা। তাঁকে নেওয়ার জন্য কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায় সেটাই দেখার।
১০১৫
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল— যে কোনও সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ধরেন ‘ম্যাড ম্যাক্স’। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন এই অজি ক্রিকেটার। ব্যাটের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে স্পিন বোলিংও করতে পারেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৮ সালের আইপিএল-এ ১২টি ম্যাচ থেকে মাত্র ১৬৯ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।
১১১৫
গতবারের আইপিএল-এ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি মানসিক অবসাদের জন্য ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এ বারের নিলামে তাঁর বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। কলকাতার নিলামে ম্যাক্সওয়েলের ঝন্য ঝাঁপাতে পারে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিই।
১২১৫
ডেল স্টেন— দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসারকে দলে পেতে চাইবে যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিই। কিন্তু, তাঁর বড় শত্রু চোট। পুরোদস্তুর ফিট স্টেন যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন। কিন্তু, চোটের জন্যই তাঁকে ছিটকে যেতে হয় মাঝেমধ্যেই।
১৩১৫
২০১৯ সালের আইপিএল-এ মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেন স্টেন। উইকেট নেন ৪টি। ২০১৬ সালের আইপিএল-এ মাত্র ১টি ম্যাচ খেলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্টেনের। এ বার তাঁর বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। এত দামে স্টেনকে কি কেউ দলে নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাবে?
১৪১৫
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ — ফ্র্যাঞ্চাইজির দুনিয়ায় পরিচিত মুখ শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। কলকাতা নাইট রাইডার্স, পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৭ সালের আইপিএল-এ মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছেন ম্যাথিউজ।
১৫১৫
ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৩২ রান। গত বার তিনি অবিক্রিত ছিলেন। এ বার তাঁর বেস প্রাইস আকাশছোঁয়া ২ কোটি টাকা। ম্যাথিউজ কি দল পাবেন এ বার? এটাই এখন প্রশ্ন।