Spider-Man comics' single page sells for huge amount money in auction dgtl
Spider-Man
Spider-Man: স্পাইডারম্যানের একটি পৃষ্ঠার দর উঠল ২৪ কোটি! পিটারের গল্প কী ভাবে বিশ্বজয় করল
স্পাইডারম্যান সিরিজের একটি কমিক্স বইয়ের পাতায় আঁকা ভেনোমের দর হু হু করে উঠেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:১৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
পাতাজোড়া স্পাইডি। তবে পরনে নেই মাকড়শার জাল বিছোনো সেই চেনা লাল-নীল পোশাক। বরং কালো স্যুটে পা থেকে মাথা আঁটা। নেই সেই মায়ালু মনও। বরং পেশি ফুলিয়ে যেন নিজের শয়তানি শক্তি পরীক্ষা করছে। এ আসলে ‘ফ্রেন্ডলি নেবারহুড’ স্পাইডি-র আর এক রূপ ভেনোম। সম্প্রতি পাতাজোড়া স্পাইডারম্যানের সেই দুষ্টু চরিত্র ভেনোম বিকোল বিপুল অঙ্কে।
০২১৬
১৩ জানুয়ারি আমেরিকার ডালাসে হেরিটেজ অকশনস-এর চার দিনের একটি ইভেন্ট ছিল। প্রথম দিনেই নিলামে বাজিমাত ভেনোমের!
০৩১৬
১৯৮৪ সালের স্পাইডারম্যান সিরিজের একটি কমিক্স বইয়ের পাতায় আঁকা ভেনোমের দর হু হু করে উঠেছে। নিলাম শুরু হয়েছিল ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে। তবে এক সময় তা ৩০ লক্ষ ডলারে পৌঁছে যায়। শেষমেশ তা বিকিয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ কোটি টাকায়!
০৪১৬
ভেনোমের ক্রেতা বা বিক্রেতা— কারও নামই প্রকাশ্যে আসেনি। যদিও এর আগে কমিক্স বইয়ের কোনও চরিত্র এতটা চ়ড়া দরে বিকোননি বলে দাবি করেছেন নিলাম কর্তৃপক্ষ।
০৫১৬
মার্ভেল কমিক্সের ‘সিক্রেট ওয়ার্স নাম্বার ৮’ বইয়ের ২৫ নম্বর পাতায় রয়েছে মাইক জেকের আঁকা ভেনোম। ডালাসে সেটিই রেকর্ড দরে বিকিয়েছে।
০৬১৬
মুখোমুখি লড়াই না হলে কী হবে, বৃহস্পতিবারের পর বলা যেতে পারে যে স্পাইডারম্যানের কাছে হেরে গেল হাল্ক। কেন?
০৭১৬
আসলে ১৩ জানুয়ারির আগে পর্যন্ত ‘দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক’-এর একটি পাতা বিকিয়েছিল ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৫০ ডলারে। তবে সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ‘দুষ্টু’ স্পাইডারম্যান— ভেনোম!
০৮১৬
নিলামঘরে রেকর্ড গড়েছেন, এ কথা কি ভাবতে পারতেন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা সাদামাটা পিটার পার্কার? বেশ সন্দেহ হতে পারে পিটারের আঙ্কল বেনের। রিচার্ড আর মা মেরি পার্কারের বিমান দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুর পর তাঁদের ছেলে পিটারকে তো আঙ্কল বেনই মানুষ করেছেন। অবশ্য পিটারের উপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে বেনের স্ত্রী মে-র।
০৯১৬
বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে সুপারহিরো হয়ে ওঠার আগে বেশ এলেবেলে ছিলেন পিটার পার্কার। চোখে চশমা, বেশ রোগা চেহারার ছেলেটি দাদাগোছের লোকজনের ধমকে মাথা নিচু করে থাকতেন। তাঁর সামনেই হয়ে যায় ছিনতাই। পিটার কিছু করতে পারেন না।
১০১৬
তবে নিউ ইয়র্ক শহরের দুষ্টু লোকেদের শায়েস্তা করতে যখন স্পাইডি-র স্যুট পরে নেন পিটার, তখন ছবিটা পাল্টে যায়। ১৯৬২ সালে এ ভাবেই কমিক্সের দুনিয়া বদলে দিয়েছিলেন স্পাইডারম্যানের স্রষ্টার স্ট্যান লি। স্পাইডিকে পাতায় ফুটিয়ে তুলতে সঙ্গী পেয়েছিলেন স্টিভ ডিট্কো-কে।
১১১৬
স্পাইডারম্যানকে ঘিরে একে একে গড়ে উঠেছে নানা চরিত্র। পিটারের বান্ধবী মেরি জেন ওয়াটসন, গোয়েন স্টেসি। শত্রুরাও ঘিরে ধরেছে স্পাইডি-কে। ডক্টর অক্টোপাস, গ্রিন গবলিন থেকে আরও কত দুষ্টুলোক। এবং অবশ্যই ভেনোম!
১২১৬
স্কুল পেরিয়ে কলেজের গণ্ডি পার করে ফ্রি-ল্যান্স ফোটোগ্রাফারের চাকরি নিয়েও শান্তি নেই। প্রায়শই অফিসের বড়কর্তার বকা খেতে হয় পিটারকে। শেষমেশ স্পাইডি-র কর্মকাণ্ডের ছবি তুলে তাঁকে শান্ত করেন পিটার।
১৩১৬
আসলে শান্তশিষ্ট গোবেচারা পিটারই যে স্পাইডারম্যান, তা জানেন না কেউ। তবে বান্ধবী মেরি জেনের সন্দেহ হয়। এক দিন তাঁকে সব কথা খুলেও বলেন পিটার। এরই মাঝে মনে রাখেন আঙ্কল বেনের সেই অমোঘ উক্তি— ‘‘উইথ গ্রেট পাওয়ার কামস গ্রেট রেসপন্সিবিলিটি!’’
করোনাকালেও আর সকলে যখন রুজিরুটির চিন্তায় ব্যস্ত, সে সময়ও বেশ সরগরম স্পাইডারম্যানের বাজার। তাঁর নতুন ফিল্ম ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’ এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছে।
১৬১৬
গত ডিসেম্বরের শেষ দিনে মুক্তির ১২ দিনের মধ্যেই ১০ লক্ষ ডলার কামিয়ে ফেলেছে জন ওয়াটসের পরিচালিত এই ফিল্ম! স্পাইডি-র ভূমিকায় টম হল্যান্ডকেও বেশ মনে ধরেছে ফ্যানদের! সার্বিক ভাবে এমন এক বিপন্ন সময় কাটাতে হয়তো ‘সুপারহিরো’কেই খুঁজছেন মানুষ!