Son of a salesman, used to cut rocks now successful businessman dgtl
Success Story of A Businessman
সংসার চালাতে ৪০ টাকার দিনমজুরি, এখন ২৫ কোটির সাম্রাজ্য চালান মহারাষ্ট্রের শিল্পপতি
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় দিনে মাত্র ৪০ টাকার বিনিময়ে দিনমজুরির কাজ শুরু করেন আজকের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি নিতিন। সেই সময় কখনও তিনি কুয়ো খনন করতেন, কখনও বা পাথর ভাঙার কাজ করতেন।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বইশেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:২৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
পরিশ্রমের যে কোনও বিকল্প হয় না, তার প্রমাণ আরও এক বার দিলেন মহারাষ্ট্রের শিল্পপতি নিতিন গডসে। তাঁর প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে পৌঁছনোর কাহিনি চমৎকৃত করেছে সকলকে।
০২১৫
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার ছোট গ্রাম আকালোয় জন্ম নিতিনের। অভাবের সংসারে ছাত্রাবস্থাতেই ছোটখাটো কাজ করে হাতখরচ জোগাড় করতেন তিনি।
০৩১৫
নিতিনের বাবা যৎসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে একটি দোকানে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করতেন। কিন্তু সংসারের খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হত তাঁকে। পড়াশোনা চালাতে নিজেই রোজগার করবেন বলে মনস্থ করেন নিতিন।
০৪১৫
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় দিনে মাত্র ৪০ টাকার বিনিময়ে দিনমজুরির কাজ শুরু করেন আজকের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি নিতিন। সেই সময় কখনও তিনি কুয়ো খনন করতেন, কখনও বা পাথর ভাঙার কাজ করতেন।
০৫১৫
স্কুলে পড়ার সময়েই একটি পোলট্রি ফার্ম খিলে হাঁস, মুরগির ব্যবসা শুরু করেন নিতিন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ব্যবসা করতে নেমে প্রাথমিক ধাক্কা খেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।
০৬১৫
স্থানীয় কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করা শুরু করেন তিনি।
০৭১৫
কিন্তু অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, এমবিএ না করলে চাকরির বাজারে তেমন দাম পাবেন না তিনি।
০৮১৫
পরিকল্পনা মতোই পুণের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ পাশ করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে একটি বহুজাতিক সংস্থার হয়ে সব্জি বিক্রি করার দায়িত্ব পান তিনি।
০৯১৫
অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সংস্থাটি ওই সংক্রান্ত কারবার করা বন্ধ করে দেয়। চাকরি খুইয়ে আবার পথের মাঝখানে এসে দাঁড়াতে হয় নিতিনকে।
১০১৫
১৯৯৬ সালে এই ধরনের আরও একটি সংস্থা নিতিনকে কাজের প্রস্তাব দেয়। সংস্থাকে উন্নতির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিলেও তাঁর পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়।
তবে হাল ছাড়েননি তিনি। বরং চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁর শাপে বরই হয়েছিল। তার পর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য পেট্রোপণ্য সংস্থায় ম্যানেজার হিসাবে বেশ কিছু মাস কাজ করেন নিতিন। তার পরই সিদ্ধান্ত নেন, এ বার নিজেই কিছু করে দেখাবেন।
১৩১৫
১৯৯৯ সালে বাবার থেকে দশ হাজার টাকা ধার নিয়ে ‘এক্সেল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বলে একটি সংস্থা খোলেন নিতিন। ২০০০ সালে প্রথম মোটা টাকার বরাত পায় এই সংস্থা।
১৪১৫
সেই বছর থেকেই গোটা দেশ থেকে বরাত আসতে শুরু করে এই সংস্থার কাছে। আজ এই সংস্থা ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত গ্যাস, আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি থেকে চিনিকলের নানা সামগ্রী তৈরি প্রসিদ্ধ নাম।
১৫১৫
আজ মহারাষ্ট্রে প্রায় ২৫ কোটি টাকার শিল্পসাম্রাজ্যের মালিক নিতিন। তিন জন কর্মীকে শুরু করা সংস্থায় আজ একশো জনেরও বেশি মানুষ কাজ করেন। অসম্ভবকে সম্ভব করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে নিতিন গডসে এখন এক চর্চিত নাম।