Shobhit Singh an entrepreneur, once lived as a monk in ashram dgtl
Shobhit Singh
সাধু হয়ে বাড়ি ছাড়েন, বিয়ে করতে প্রত্যাবর্তন, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক
সাত পাকে বাঁধা পড়ে তাঁর জীবন এমন দিকে মোড় নিল যে, এখন ধনকুবেরদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন বরোদার শিল্পপতি শোভিত সিংহ।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১২:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
শোভিত সিংহ। শৈশব থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল অন্য রকম। কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না শোভিত। তাঁর ইচ্ছা ছিল পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করে জীবন কাটানোর। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন ছিল অন্য রকম। বর্তমানে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক শোভিত।
ছবি: সংগৃহীত
০২১৪
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম শোভিতের। ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না তাঁর। জীবনের আসল অর্থ কী, তার সন্ধানেই শোভিত থাকতেন সর্বক্ষণ।
প্রতীকী ছবি
০৩১৪
শোভিতের বিশ্বাস ছিল, সন্ন্যাস গ্রহণ করে সারা জীবন অতিবাহিত করলেই তিনি তাঁর জীবনের গূঢ়ার্থ বুঝতে পারবেন। তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রমে চলে যেতে চাইতেন তিনি। কিন্তু পরিবারের সকলে তাঁর এই চিন্তাধারাকে মান্যতা দিত না।
প্রতীকী ছবি
০৪১৪
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন শোভিত। তার পর এমবিএ নিয়ে পাশ করেন তিনি। কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধর্মের খুঁটিনাটি বিষয়ে পড়তে শুরু করেন।
ছবি: সংগৃহীত
০৫১৪
বৈদিক দর্শন ছাড়াও খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেও জ্ঞান আহরণ করেন শোভিত। তবে, কলেজের পড়াশোনার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
প্রতীকী ছবি
০৬১৪
কিন্তু চাকরিতে বেশি দিন মন টেকাতে পারেননি শোভিত। ২৬ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে হৃষীকেশে একটি আশ্রমে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মহেশ যোগীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
ছবি: সংগৃহীত
০৭১৪
হৃষীকেশ আশ্রমেই প্রায় দেড় বছর সন্ন্যাসজীবন কাটিয়েছেন শোভিত। তার পর পরিবারের চাপে আবার বাড়ি ফিরে আসতে হয় তাঁকে। বিয়ে করে শোভিতকে সংসারে মন দিতে বলেন তাঁর পরিবারের গুরুজনেরা।
প্রতীকী ছবি
০৮১৪
গুজরাতের বরোদা এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের তরুণীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় শোভিতের। পরিবারের চাপে বিয়ে করার পর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
প্রতীকী ছবি
০৯১৪
শোভিত প্রথমে তাঁর শ্যালকদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসায় লাভ করতে পারছিলেন না তিনি। আমেরিকা যখন চিন থেকে আসা জিনিসের উপর আমদানি শুল্কের হার বাড়িয়ে দেয় তখন শোভিত ব্যবসার নতুন পথ বার করেন।
ছবি: সংগৃহীত
১০১৪
শোভিত সিদ্ধান্ত নেন, চিন থেকে আসা যে পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, সেগুলির বিকল্প দ্রব্য উৎপাদন করবেন তিনি। স্কেচ পেন, চক বোর্ড এবং পেনসিলের বাক্স উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বেশ কিছু পণ্য বিদেশে রফতানিরও সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতীকী ছবি
১১১৪
শোভিত বুঝতে পারেন যে, চিন থেকে কম দামে খেলনা বিক্রি হয় ভারতে। সেই বাজারে ঢুকতে চাইছিলেন তিনি। তাই ২০১৬ সালে ১.২ কোটি টাকা পুঁজি নিয়ে একটি সংস্থা তৈরি করেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত
১২১৪
৫০ জন কর্মীকে নিয়ে শুরু করা সংস্থা থেকে এখন বার্ষিক আয় হয় ১২০ কোটি টাকা। বর্তমানে সংস্থার সঙ্গে মোট ২৫০ জন কর্মী যুক্ত রয়েছেন।
প্রতীকী ছবি
১৩১৪
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও শোভিতের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। নামী ব্র্যান্ডের খেলনা বিক্রি করে ভারতে নিজের জায়গা করে নিয়েছে তাঁর সংস্থা।
ছবি: সংগৃহীত
১৪১৪
সারা জীবন সন্ন্যাস হয়ে কাটানোর কথা ছিল শোভিতের। কিন্তু সাত পাকে বাঁধা পড়ে তাঁর জীবন এমন দিকে মোড় নিল যে এখন ধনকুবেরদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন বরোদার শিল্পপতি।