ভন্সালীর ‘গুজারিশ’-এ এক জাদুকরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল হৃতিককে। তবে দুর্ঘটনায় তাঁর হাত-পা অসাড়। ১৪ বছর ধরে হুইলচেয়ারেই দিন কাটছে। এমনকি, একটি মাছি তাঁর নাকে এসে বসলে তা তাড়াতেও পারেন না। শরীরের সেই অবস্থাতেই রে়ডিয়ো জকি জাদুকর। সেই ইথান মাসকারেনহাসের পরিচর্যার ভার নার্স সোফিয়া ডি’সুজার উপর। ১২ বছর ধরে ইথানের ‘সঙ্গী’ বলতে একমাত্র সোফিয়া।
হৃতিকের জবাব ছিল, ‘‘সলমন খানকে সব সময় ভাল মানুষ হিসেবেই চিনি। যাঁর থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি, যাঁকে তারিফ করেছি। এখনও করি। উনি সব সময়েই আমার হিরো। তা-ই থাকবেন। তবে হ্যাঁ, এক জন পরিচালক বক্স অফিসে তোমার ফিল্মের মতো টাকা না কামালেই তাঁর কাজ নিয়ে তাঁকে হেয় করব, হাসিঠাট্টা করব, এটা খুব একটা নায়কোচিত নয়। ‘গুজারিশ’ নিজের মতো করে চূড়ান্ত সফল। এ ভাবে মিস্টার ভন্সালীর বিরুদ্ধে কেউ মন্তব্য করলে আমি খুব ব্যথিত হব।’’
সলমনকে খানিকটা উপদেশও দিয়েছিলেন হৃতিক। বলেছিলেন, ‘‘আমার মতে, হিরোরা কখনও অন্যের ব্যর্থতায় আনন্দ পান না। আপনি চূড়ান্ত সফল হলে বরং আরও দয়ালু হবেন। অন্যের ব্যর্থতায় তার সঙ্গে শত্রুতার বদলে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন...। সকলকে ভালবাসায় ভরিয়ে তুলুন। তাদের নিয়ে ঠাট্টা করবেন না। আমি এখনই ওঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ, মনে হয় যে ওঁর মধ্যে আসলে আমার প্রতি ভালবাসা ছাড়া আর কিছু নেই। একটা বেহিসেবি মুহূর্তে ওই মন্তব্য করেছেন (সলমন)। পরের বার দেখা হলে উনি আমাকে জড়িয়ে ধরবেন বলেই আশা রাখি।’’
হৃতিকের মন্তব্যের পরেও অবশ্য বিষয়টি মিটমাট হয়নি। পরের বছর নিজের টেলিভিশনে তাঁর টক-শোয়ে সরাসরি না হলেও সে প্রসঙ্গ তুলে আনেন কর্ণ জোহর। ২০১১ সালের ওই শোয়ে হৃতিকের কাছে কর্ণ জানতে চান, বাস্তবে সুপারহিরো হলে সলমনের কাছ থেকে কী কেড়ে নিতে চাইবেন? উত্তরে সাফ জবাব হৃতিকের, ‘‘সকলেই সলমনকে ভালবাসেন। তবে সলমন ভাবেন, সকলেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তাই মনে হয়, সলমনের মধ্যে ‘ভিক্টিম সিনড্রোম’ রয়েছে। সেটা কেড়ে নিতে চাইব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy