ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ডনবাস অঞ্চলের লুহানস্কের গভর্নর সারহিয়ায় হাইদাই। তাঁর দাবি, ‘‘নিহতদের সংখ্যা (আনুমানিক ভাবে অন্তত ৪৩,০০০) জানতে পেরে ইউক্রেনের মাটিতে যুদ্ধ করতে অস্বীকার করছেন রাশিয়ার সেনারা।’’ প্রসঙ্গত, রুশদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই ডনবাস (উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল একত্রে ডনবাস বলে ডাকা হয়)।
ইউক্রেনের এই দাবির যে সত্যতা রয়েছে তা জানিয়েছে আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ওয়ারও। প্রতিরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণমূলক কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। আমেরিকার ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ বলে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানের দাবি, উত্তর-পূর্বের খারকিভ অঞ্চলে কিভের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়তো তা রুশ সেনাদের মনোবলে আঘাত হেনেছে। হয়তো রুশ সেনাদের যুদ্ধ করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতায় তা প্রভাব ফেলেছে। ইউক্রেনের মাটিতে নতুন করে রুশ সেনাদের ইউনিট পাঠানোর ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তও এতে প্রভাবিত হয়েছে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে সে দেশের গোয়েন্দাদের দাবি, রাশিয়ার সেনাদের আরও লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হওয়া বাকি। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে কি রুশ সেনাদের দুর্বলতা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে? পশ্চিমী দেশগুলির এক যুদ্ধ বিশারদের কথায়, ‘‘রাশিয়া বেকায়দায় পড়েছে। ওদের দুর্বলতা সামনে চলে এসেছে। রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত সেনাশক্তি বা অস্ত্রশস্ত্রের ভান্ডার নেই, তা-ও বোঝা যাচ্ছে।’’
সোমবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি ছিল, সাম্প্রতিক প্রত্যাঘাতে দেশের উত্তর-পূর্বের দু’হাজার বর্গমাইল তাঁদের দখলে এসেছে। পরের দিন তিনি আরও দাবি করেন, আরও দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা পুনর্দখল করেছেন তাঁদের সেনারা। বস্তুত, মঙ্গলবার ভবচ্যানস্ক সীমান্তের আর একটি শহরের রাশ নিজেদের হাতে পেয়েছে ইউক্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy