২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। কিন্তু সেই সংক্ষিপ্ত সময়েই রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন অনেক নেতা। কেউ দল বদলে গুরুত্ব হারিয়েছেন, কেউ ভোটে হেরে, কেউ জেলে গিয়ে। এই লোকসভা ভোটের কাব্যে যাঁরা উপেক্ষিত, তাঁদের দিকে ফিরে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
মুকুল রায়: তৃণমূল গঠনের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আস্থাভাজন’। বাংলার রাজনীতিতে মুকুল এগিয়েছিলেন উল্কার গতিতে। মমতা তাঁকে রেলমন্ত্রীও করেছিলেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকার গড়ার পর দলের অলিখিত দ্বিতীয় শীর্ষনেতা ছিলেন তিনিই। তবে ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। ২০১৬ সালে সেই দূরত্ব কমলেও সে ভাবে আর তৃণমূলে জায়গা তৈরি করতে পারেননি মুকুল। ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ‘অভাবনীয়’ সাফল্যের কৃতিত্ব অনেকে তাঁকেই দেন। বরাবরের রাজ্যসভা সাংসদ মুকুল ২০২১ সালের বিধানসভা কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিধায়ক হন। কিন্তু এক মাসের মধ্যে পুত্র শুভ্রাংশুর হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন। তার পর থেকেই মুকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দেয়। ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, ২০২১ সালে পত্নীবিয়োগের পর থেকে মানসিক ভাবে ধ্বস্ত তিনি। এখন পুরোপুরি অন্তরালে। আপাতত হাসপাতালে।