ওই বছরেরই মার্চ মাসে মনিন্দরের বাংলোর পিছনের ড্রেনে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া একটি কাটা হাত দেখতে পায় কয়েকটি বাচ্চা ছেলে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে জানানো হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে পুলিশ দাবি করে, কোনও জন্তু মুখে করে এনে এই হাতটি ওখানে ফেলে গিয়েছে। সে রকম উদ্বেগের কিছু হয়নি বলেই গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে পুলিশ।
২০০৬ সালের ৭ মে নিঠারি গ্রামের পায়েল নামের এক যুবতী তার বাবা নন্দলালকে বলে যে, সে মনিন্দরের বাংলোয় যাচ্ছে। কিন্তু তার পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। পায়েলের বাবা তাঁকে খুঁজতে মনিন্দরের বাংলোতে পৌঁছলে মনিন্দরের গৃহকর্মী সুরিন্দর তাঁকে জানায় যে, পায়েল সেখানে কখনও আসেনি এবং সে এই বিষয়ে কিছু জানে না। তবে এই সময় মনিন্দর ঘরে ছিলেন না।
এর পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরিন্দরকে গ্রেফতার করলেও মনিন্দর তাঁকে শীঘ্রই ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পুলিশও সুরিন্দরের বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলা ছাড়া আর কোনও প্রমাণ খুঁজে বার করতে পারেনি। মামলার বিষয়ে পুলিশের তদন্তে বিরক্ত হয়ে নন্দলাল আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে মামলাটির বিশদ তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।
৬০ দিনের পুলিশ হেফাজতের পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে বার করতে পারেনি সিবিআই। কিন্তু এর পরই হঠাৎ সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয় যে, সুরিন্দর দোষ স্বীকার করে বয়ান দিতে রাজি। সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জেলাশাসকের সামনে সুরিন্দরের বয়ান রেকর্ড করা হয়। সুরিন্দর বয়ানে যা জানায়, সেই নৃশংসতার কথা শুনলে যে কারও গা শিউরে উঠবে।
এর পর উদ্ধার করা হয় আরও কিছু মানবকঙ্কাল। সিবিআই সন্দেহ করে, এর মধ্যে শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের যোগ আছে। মনিন্দরের বাড়ি থেকে ক্যামেরা লাগানো ল্যাপটপ এবং কিছু কামোত্তেজক বই উদ্ধার করা হয়। মনিন্দরের সঙ্গে কিছু নিরাবরণ শিশুদের ছবিও ওই বাংলো থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে পরে জানা যায় যে, এই ছবিগুলি মনিন্দর এবং তার নাতি-নাতনিদের।
পুলিশ জানায়, মোট ১৭টি নরকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যেই বেশিরভাগই কিশোরীদের কঙ্কাল। উদ্ধার হওয়া ১৭টি নরকঙ্কালের মধ্যে ১১টি ছিল কিশোরীদের। সিবিআই জানায়, মোট ১৫টি খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরিন্দর, তার মনিব মনিন্দরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল বলেও সিবিআই আধিকারিকরা দাবি করেন। তবে সব তদন্ত শেষে সিবিআই জানায় যে, মনিন্দর এই খুনগুলির বিষয়ে কিছু জানতেন না এবং খুনগুলি তাঁর অনুপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও পরে তাঁর বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy