Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Nan Madol

প্ল্যাটিনামের কফিনে দৈত্যাকার কঙ্কাল! পরিত্যক্ত দ্বীপে মানুষের প্রবেশ আটকায় ‘অতিপ্রাকৃত শক্তি’

সভ্যতা এখন ইতিহাস। শুধুই পড়ে রয়েছে ভাঙা প্রাসাদের প্রাচীর, সমাধিস্থল। দেখে চমকে ওঠেন পর্যটকেরা। ভাবেন এই জনবিরল দ্বীপে কী ভাবে গড়া হয়েছিল এই বিশাল পাথরের ইমারত?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ১২:১৪
Share: Save:
০১ ১৮
image of Nan Madol

কয়েকশো বছর আগে সেখানে গড়ে উঠেছিল এক সভ্যতা। আজ শুধুই পড়ে রয়েছে ভাঙা প্রাসাদের প্রাচীর, সমাধিস্থল। দেখে চমকে ওঠেন পর্যটকেরা। ভাবেন এই জনবিরল দ্বীপে কী ভাবে গড়া হয়েছিল এই বিশাল পাথরের ইমারত? নান মাদলের সেই সভ্যতা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

০২ ১৮
image of Nan Madol

টেমওয়েন দ্বীপে গড়ে উঠেছিল সেই নান মাদল সভ্যতা। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে রয়েছে ফেডারেল স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া, যা চারটি দ্বীপরাষ্ট্র নিয়ে তৈরি হয়েছে। চারটি দ্বীপরাষ্ট্রের মধ্যে একটি হল পহ‌্নপেই। পহ‌্নপেই দেশের মধ্যেই রয়েছে টেমওয়েন দ্বীপ, যাতে এককালে গড়ে উঠেছিল নান মাদল সভ্যতা।

০৩ ১৮
image of Nan Madol

টেমওয়েন দ্বীপে আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকটি আয়তাকার প্রাচীর। সেই প্রাচীর এত বিশাল পাথর দিয়ে তৈরি, যা দেখে হতবাক হন পর্যটকেরা। পাথরগুলি যদিও খোদাই করা নয়। মনে করা হয়, বিভিন্ন আকারের পাথর জুড়ে এই ইমারত তৈরি করা হয়েছে।

০৪ ১৮
image of Nan Madol

এখনও যে ভগ্নাবশেষ পড়ে রয়েছে, সেই প্রাচীরের উচ্চতা ৩৭ ফুট। আর সেগুলি চওড়ায় প্রায় ১০ ফুট। কয়েকটি পাথরের ওজন ৬০ টনের কাছাকাছি।

০৫ ১৮
image of Nan Madol

প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে, কয়েকশো বছর আগে নান মাদল সভ্যতা গড়ে তোলার সময় যন্ত্র ছাড়া এই বিশাল পাথর নড়ানো বা তোলা কী ভাবে সম্ভব হল? এখানেই জন্ম নেয় বেশ কিছু অলৌকিক গল্প।

০৬ ১৮
image of Nan Madol

পহ‌্নপেইয়ে এই নান মাদল সভ্যতার পত্তন নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত রয়েছে। সে দেশের অনেকেই বলেন, টেমওয়েন দ্বীপে দুই ভাই মিলে এই সভ্যতার পত্তন করেছিলেন। তা প্রায় ১১৮০ সালে।

০৭ ১৮
image of Nan Madol

দুই ভাইয়ের নাম ছিল ওলোসিহফা এবং ওলোসোহফা। পহ‌্নপেইয়ের পশ্চিমে কোথাও থাকতেন তাঁরা। মনে করা হয়, পহ‌্নপেইয়ে এসেছিলেন নিজেদের আরাধ্য দেবতার জন্য একটা প্রার্থনাস্থল তৈরি করার জন্য।

০৮ ১৮
image of Nan Madol

অনেক খুঁজেও প্রার্থনাস্থল তৈরির জায়গা পাননি দুই ভাই। শেষে পহ‌্নপেইয়ের এক পাহাড়ের মাথায় উঠে টেমওয়েন দ্বীপ দেখতে পান তাঁরা। তখন সেখানেই প্রার্থনাস্থল তৈরি শুরু করেন।

০৯ ১৮
image of Nan Madol

জনশ্রুতি রয়েছে, ওই দুই ভাই জাদুবিদ্যা জানতেন। পহ‌্নপেইয়ের অন্য এক প্রান্ত থেকে ভারী ব্যাসল্ট পাথর উড়িয়ে এনে বিশাল নান মাদল সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা।

১০ ১৮
image of Nan Madol

স্থানীয়েরা আরও বলেন, নান মাদল সভ্যতার ইমারত গড়ে তোলার সময় এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তখন অন্য এক ভাই সদেলিউর সাম্রাজ্য গঠন করেন।

১১ ১৮
image of Nan Madol

নান মাদল সভ্যতা গড়ে উঠেছিল একেবারে সমুদ্রের ধারে। সেখানে পানীয় জল বা খাবার কিছুই ছিল না। মনে করা হয়, দ্বীপের একেবারে ভিতরে গিয়ে পানীয় জল, খাবার সংগ্রহ করে আনতেন সাধারণ মানুষ। আর সেগুলি ভোগ করতেন সদেলিউর সম্রাটেরা।

১২ ১৮
image of Nan Madol

এর পর সদেলিউর সাম্রাজ্যের পতন হয়। নাহ‌্নমওয়ার্কিস শাসন শুরু হয়। ওই শাসকেরা নিজেদের জল, খাবার নিজেরাই দ্বীপের ভিতরে গিয়ে সংগ্রহ করে আনতেন। রোজ সেই কাজটা করা বেশ সমস্যাজনক। সে কারণে তারা নান মাদল ছেড়ে চলে যান।

১৩ ১৮
image of Nan Madol

মনে করা হয় প্রাচীন কালে প্ল্যাটিনামের কফিনে নান মাদল সভ্যতার সম্রাটদের সমাধি দেওয়া হত। সে সব কফিন সমাধিস্থ করা হত জলের নীচে।

১৪ ১৮
image of Nan Madol

জনশ্রুতি, জলের নীচে সেই কফিনের হদিস পান কয়েক জন। তাঁরা জলে ডুব দিয়ে কফিন ভেঙে সংগ্রহ করে আনতেন প্ল্যাটিনাম। সেই প্ল্যাটিনাম বিক্রি করতেন জাপানিদের কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এই দ্বীপ ছিল জাপানের অধীনে।

১৫ ১৮
image of Nan Madol

মূলত যে দু’জন এই জলে ডুব দিয়ে প্লাটিনাম তুলে আনতেন, তাঁদের নাকি অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়। এর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। জাপান সেই প্লাটিনামের কফিনের কথা বিস্মৃত হয়। তখন আর সে সবে নজর দিতে পারেনি জাপান। ফলে উদ্ধার হওয়া সেই কফিনের বিষয়ে কোনও তথ্যই আর দিতে পারেনি জাপান। তাই সেই কফিন নিয়ে আজও রয়েছে অনেক রহস্য। অনেকেই সে সবের অস্তিত্ব মানতে চান না।

১৬ ১৮
image of Nan Madol

নান মাদলের এই সমাধি নিয়ে আরও অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে নান মাদলে ছিল জার্মানির শাসন। সে সময় দ্বীপের গভর্নর ভিক্টর বার্গ একটি বন্ধ সমাধির ভিতর প্রবেশ করেছিলেন। তিনি নাকি বিশাল এক দৈত্যের কঙ্কাল দেখতে পেয়েছিলেন।

১৭ ১৮
image of Nan Madol

সেই কঙ্কালের উচ্চতা নাকি ছিল প্রায় তিন মিটার। পরের দিন, ১৯০৭ সালের ৩০ এপ্রিল রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় বার্গের। চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেননি, কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

১৮ ১৮
image of Nan Madol

স্থানীয়দের দাবি, কোনও অতিপ্রাকৃত শক্তি ওই সভ্যতা ঘেরাও করে রেখেছে। তাঁরা তাঁদের এলাকায় হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। সে কারণেই নান মাদলে আর কেউ কখনও বাস করতে পারেননি। তা পরিত্যক্ত হয়েই পড়ে রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy