Mukesh Ambani’s chef’s salary will make everyone amaze dgtl
Mukesh Ambani
বেতন দু’লাখ, সন্তানরা পড়াশোনা করে বিদেশি স্কুলে! আর কী সুবিধা পান অম্বানীদের পরিচারকেরা?
অম্বানীদের রাঁধুনিরা যে সে রাঁধুনি নন। যে কোনও ধরনের রান্না করতে তাঁরা পারদর্শী। মনপসন্দ খাবার তৈরি করে দিতে পারেন নিমেষে। চাইনিজ-মোগলাই খানা তৈরি করা তাঁদের কাছে নস্যি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৮:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
তাঁর স্ত্রী শাড়ি পরেন ৪০ লক্ষ টাকার। তিনি সংস্থার কর্মচারীকে উপহার দেন ১৫০০ কোটি টাকার বাড়ি। সন্তানদের বিয়েতেও হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন। সম্প্রতি হলি এবং বলি পাড়াকে এক ছাতার তলায় এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু জানেন কি বাড়ির রাঁধুনিদের কত টাকা করে বেতন দেন ভারতীয় তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ অম্বানী? অন্য সাধারণ বাড়ির তুলনায় আর কী কী বাড়তি সুবিধা পান অম্বানী পরিবারের পরিচারকেরা?
০২১৬
মুকেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে অন্যতম। মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীর জীবনযাপন করার ধরন রাজাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়।
০৩১৬
অম্বানী পরিবার যে সব পাত্রে খানাপিনা করে, সেগুলির মূল্যও কোটি টাকার বেশি।
০৪১৬
আর যাঁরা অম্বানী পরিবারের জন্য রান্না করেন তাঁদের বেতন শুনলে লজ্জা পাবেন যে কোনও বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।
০৫১৬
সংবাদমাধ্যম ‘ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে বেতন বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে পান মুকেশ-নীতার রাঁধুনিরা।
০৬১৬
অম্বানীরা নিরামিষাশী। মুকেশ তাঁর খাবার সম্পর্কে বিশেষ সচেতন। পছন্দ করেন তাইল্যান্ডের খাবার খেতেও।
০৭১৬
প্রতি রবিবার মুকেশের পাতে দক্ষিণ ভারতীয় পদ চাই-ই চাই বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
০৮১৬
অম্বানীদের রাঁধুনিরা যে সে রাঁধুনি নন। যে কোনও ধরনের রান্না করতে তাঁরা পারদর্শী। মনপসন্দ খাবার তৈরি করে দিতে পারেন নিমেষে। চাইনিজ-মোগলাই খানা তৈরি করা যেন তাঁদের কাছে নস্যি।
০৯১৬
অম্বানীদের রাঁধুনিরা সবসময় ধোপদুরস্ত পোশাক পরে রান্না করেন। কেতা লক্ষ করা যায় তাঁদের চলন-বলনেও।
১০১৬
অম্বানী পরিবারের রাঁধুনিরা একাধিক ভাষায় সাবলীল। রয়েছে নামীদামি বিদেশি সংস্থায় পড়াশোনা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা।
১১১৬
মুম্বইয়ে অম্বানীদের বিলাসবহুল বাড়ি অ্যান্টিলিয়ায় রাঁধুনিদের থাকার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। কেউ চাইলে বাড়িও ফিরে যেতে পারেন। তবে প্রধান রাঁধুনিকে নাকি থাকতে হয় অ্যান্টিলায়াতেই।
১২১৬
অম্বানী পরিবারের রন্ধনশিল্পীদের যাতায়াতের জন্যও নাকি আলাদা আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। একই রকম বন্দোবস্ত রয়েছে অ্যান্টিলিয়ার বাকি গৃহকর্মীদেরও।
১৩১৬
বেতনের পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা পান অম্বানী পরিবারের কর্মীরা। এই কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বিমার সুবিধা। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও জোগানো হয় অম্বানীদের মালিকানাধীন রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফেই।
১৪১৬
এমনকি, অম্বানী পরিবারের কর্মচারীদের সন্তানরা যাতে আমেরিকার স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হয় রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফে।
১৫১৬
সম্প্রতি উদ্বোধন হয়েছে ‘নীতা মুকেশ অম্বানী কালচারাল সেন্টার’-এর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসেছিল। তারকাখচিত সেই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন সলমান খান, শাহরুখ খান, সইফ আলি খান, শাহিদ কপূর, রণবীর সিংহ, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্টের মতো বহু বলিতারকা।
১৬১৬
অম্বানীদের পার্টি উপভোগ করার জন্য বিদেশ থেকে বরকে নিয়ে দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। কেবল ভারতীয় শিল্পীরাই নন, অম্বানীদের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে আসেন হলিউডের তারকারাও।