১৯৭০-এর দশক। ভারতের যে কোনও জনপদেই দেখা যেত তাঁদের। কানঢাকা চুল, জামার কয়েকটা বোতাম খোলা। একটু ভারী গলায় কথা বলার চেষ্টা করেন। ঠাকুর বিসর্জনের সময় দু’হাতের তর্জনি বাড়িয়ে এক বিশেষ ভঙ্গিমায় নাচেন তাঁরা। ‘দিওয়ার’-‘ত্রিশূল’-‘ডন’-‘শান’-‘শক্তি’-‘শোলে’ তাঁদের ধ্যান ও জ্ঞান। সেই সব যুবককে অনেকেই ‘লোকাল বচ্চন’ হিসেবে জানতেন। আর তাঁরাও অতি যত্নে রক্ষা করতেন সেই ইমেজ। শুধু ভারত নয়, গোটা উপমহাদেশ জুড়েই সেই সময়ে দেখা মিলত এঁদের। স্বয়ং অমিতাভও সে কথা জানতেন। ফলে কোথাও একটা তৈরি হত আদান-প্রদান। তাঁরা যা চাইতেন, তা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন অমিতাভ। আর অমিতাভ যা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন, তা বেরিয়ে আসত প্রেক্ষাগৃহের বাইরে— পাড়ার রোয়াকে, গলির মোড়ে। দেশময়, উপমহাদেশময় ‘বচ্চন’ তখন। যত্রতত্র ‘রাগী যুবক’-এর সিজিল মিছিল।
সেই সময় থেকে আজ, বলিউডের সব থেকে বড় মাপের বিগ্রহের মাহাত্ম্য এমনই যে, তাঁকে অনুকরণ করে বা অনুসরণ করে সারা জীবন কাটিয়ে দিলেন, এমন পুরুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু সম্প্রতি বিগ বি হঠাৎই আদালতে। উদ্দেশ্য, তাঁর নাম, ভাবমূর্তি, কন্ঠস্বর এবং ‘সংলাপ বলার অনন্য কায়দা’-র আইনি সুরক্ষা। অমিতাভের আইনজীবী হরীশ সালভে জানান, কেউ বিগ বি-র মুখ টিশার্টে বা পোস্টারে ছাপিয়ে বিক্রি করছেন, বা কেউ তাঁর নকল করে পয়সা কামাচ্ছেন— এই সব কাণ্ডের বিরুদ্ধেই আইনি সুরক্ষা চাইছেন তাঁরা।