Maharashtrian police solved a murder case just with the help of branded shoes dgtl
Murder
পায়ের জুতো ধরিয়ে দিল খুনিকে! বিয়ে করতে চাওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা তিন বৌয়ের স্বামীর
মুম্বইয়ের ধামানি গ্রামের কাছে গাদি নদী থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। মৃতদেহকে ঘিরে রহস্য ঘনিয়ে ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় জুতোর সাহায্যে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
জিম প্রশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম। বহু দিন সম্পর্কে থাকার পর প্রণয়ের সম্পর্কে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চাইছিলেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা ঊর্বশী বৈষ্ণব। কিন্তু সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে চাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়াল ২৭ বছর বয়সি মেয়েটির জীবনে। বিয়ে করতে চেয়েছেন বলে প্রেমিকের হাতেই খুন হলেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৪
মুম্বইয়ের ধামানি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গাদি নদী। হঠাৎ এক দিন নদীর তীরে ভেসে উঠল এক মহিলার মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পানভেল থানার পুলিশ এই খুনের তদন্ত শুরু করে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন সমস্যার মুখে পড়ে তারা। দুর্ঘটনাস্থলে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়ায় হাতে তথ্যপ্রমাণ পাচ্ছিল না পুলিশ।
০৩১৪
এই খুনের রহস্য কী করে সমাধান করতেই তাদের মাথায় এক অভিনব পরিকল্পনা আনে। মৃতদেহের পায়ে যে ব্র্যান্ডের জুতো ছিল, তার দিকে নজর পড়ে পুলিশের। সেই সূত্র ধরেই এগিয়ে নিয়ে যায় তদন্ত।
০৪১৪
নাভি মুম্বই এলাকায় ওই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের জুতোর যত দোকান রয়েছে, পুলিশ সব দোকানে গিয়ে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। এক সপ্তাহ ধরে এই অনুসন্ধান চালায় তারা।
০৫১৪
শেষ পর্যন্ত বাশী এলাকার এক জুতোর দোকানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মৃতদেহের সঙ্গে মিল খুঁজে পান। দোকান থেকেই ঊর্বশীর খোঁজ নেন পুলিশ।
০৬১৪
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ধরা পড়ে, ঊর্বশীর পাশে এক দশাসই চেহারার লোকও রয়েছেন। দোকানে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, ঊর্বশী ওই ভদ্রলোকটির সঙ্গে ৮ দিন আগে দোকানে জুতো কিনতে এসেছিলেন।
০৭১৪
লোকটির চেহারা দেখে তাঁকে ‘বডিবিল্ডার’ বলে ভেবেছিল পুলিশ। তাই বাশী এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা কোপারখৈরানের সমস্ত জিমখানায় তল্লাশি চালায় তারা।
০৮১৪
তল্লাশি চালানোর পর পুলিশ জানতে পারে, কোপারখৈরানের একটি জিমে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম রিয়াজ খান। বয়স ৩৬ বছর। দেওনর থেকে রিয়াজকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
০৯১৪
জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় অপরাধ কবুল করেন রিয়াজ। স্বীকার করেন, তিনি নিজের হাতে তাঁর প্রেমিকা ঊর্বশীকে গলা টিপে খুন করেছেন। খুন করে গাদি নদীর জলে দেহটি ফেলে দেন বলেও জানান রিয়াজ।
১০১৪
তবে রিয়াজ একা নন, তাঁর বন্ধু বছর ছাব্বিশের ইমরান শেখও এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গোবন্দি এলাকা থেকে ইমরানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ক্যুরিয়ার ডেলিভারি করার কাজ করতেন ইমরান। তাঁর দাবি, ঊর্বশীর দেহ নদীর জলে ফেলে দিতে রিয়াজকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
১১১৪
কিন্তু ঊর্বশীর সঙ্গে বহু দিন সম্পর্কে থাকার পর কেন তাঁকে খুন করলেন রিয়াজ, সেই প্রসঙ্গে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রিয়াজের বক্তব্য, ঊর্বশীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রিয়াজ।
১২১৪
সম্পর্কে আসার আগে থেকেই বিবাহিত রিয়াজ। এক জন নয়, ৩ জন মহিলাকে বিয়ে করেছেন তিনি। ঊর্বশী পানশালায় কাজ করতেন। সেই পানশালায় নিয়মিত যেতেন রিয়াজ। সেখানেই আলাপ হয় ২ জনের। রিয়াজ এবং ঊর্বশীর বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে।
১৩১৪
মেলামেশা বাড়তে থাকায় রিয়াজ-ঊর্বশীর বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ঊর্বশী বিয়ের প্রস্তাবও দেন রিয়াজকে। কিন্তু রিয়াজ কোনও মতেই ঊর্বশীকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। তাই ঊর্বশীকে প্রাণ মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন রিয়াজ।
১৪১৪
পানভেল থানার এক পুলিশ আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, ঊর্বশীর খুনে অভিযুক্ত ২ জনকে পানভেল আদালতের তরফে এখনও পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।