এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলো নিয়ম মানতেই হবে। জানেন সে সব?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ১৬:৪২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
গ্রীষ্ম মানেই বিশেষ কিছু অসুখের বাড়বাড়ন্ত। গরমে ঘেমেনেয়ে একসা হয়ে যখন তখন ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক বা একটু খাওয়াদাওয়ার এ দিক ও দিক— এ সবের হাত ধরেই হানা দেয়নানা অসুখ। এদের মধ্যে অন্যতম ডায়েরিয়া। আর একবার এই রোগের পাল্লায় পড়লে একদিনেই শরীর দুর্বল। এমনকি, বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতাল পর্যন্ত গড়ায় অসুখ।
০২১৩
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তনুজ সরকারে মতে, শিশুরা এতে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে এই অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
০৩১৩
ডায়েরিয়া মূলত জলবাহিত ব্যাকটিরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীরের জল বেরিয়ে যায় বলে এই অসুখ খুবই দুর্বল করে তোলে। দরকারে স্যালাইন দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে কাঠফাটা রোদে জলও খাওয়ায় নজর না দিলে এই অসুখের শিকার হতে পারেন আপনিও। তবে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলো নিয়ম মানতেই হবে। জানেন সে সব?
০৪১৩
চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ এড়ানোর উপায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। রান্নাঘর থেকে খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসনকোসন ধোওয়া মাজার জন্য পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন। মুখ ধোওয়ার সময় ব্যবহার করুন পরিষ্কার ও শুদ্ধ জল। পারলে সেটাও ফিল্টারের জল হলে ভাল হয়।
০৫১৩
ডায়েরিয়া রুখতে তো বটেই, তা ছাড়াও সারা বছরই পরিষ্কার জল খান। রাস্তাঘাটের যে কোনও জায়গা থেকে জল খাবেন না। মিনারেল ওয়াটার বা ফোটানো জল খান। তবে ডায়েরিয়া আক্রান্ত অঞ্চলে বাস করলে আর একটু বেশি সচেতন হতে হবে। কেমন তা?
০৬১৩
চিকিৎসকদের মতে, ডায়েরিয়া আক্রমণ আপনার স্থানীয় এলাকায় হলে নিয়ম করে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করান। জল ফুটিয়ে তাতে জিওলিন ফেলে খান। ফিল্টার করা জলেও জিওলিন ফেলে খেতে পারেন।
০৭১৩
এ ছাড়াও কিছু সতর্কতা মেনে চলুন। যেমন, খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই খান। ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তবেই খান। কারণ, খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে। সেগুলোও ডায়েরিয়াকে ডেকে আনে।
০৮১৩
রাস্তার খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে, ফুচকা, ঘুগনি, মোমো জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। মোট কথা, যে সব খাবারে টকজল বা স্যুপের আকারে জল সরাসরি পেটে যায়, তাদের এড়িয়ে চলুন। এমনিতেও জল ছাড়া রান্না হয় না। তাই অপরিষ্কার হোটেল বা রেস্তরাঁ থেকে খাবেন না। এড়াতে হবে স্ট্রিট ফুডও।
০৯১৩
গরমে ফল খাওয়া ভাল। তা বলে কাঠফাটা গরমে বেড়িয়েই রাস্তারকাটা ফল খাবেন না। গোটা ফল কিনে ভাল করে ধুয়ে খান।
১০১৩
শরবত, ঘোল, লেবুর জল এ সবরাস্তার দোকান থেকে একেবারেই নয়। বাড়িতে পরিষ্কার করে বানিয়ে খান এ সব। একান্তই বাইরে খেতে হলে খুব পরিষ্কার দোকান থেকে খান।
১১১৩
সব্জি কিনে রান্না করার আগে বেশ কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর রান্না করুন। এতে শাক-সব্জির গা থেকে রাসায়নিক, রং ও সারের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন মুক্ত হয় কিছুটা, তেমনই সব্জি ধোওয়ার সময়ও জলের জীবাণুদের রুখে দেওয়া যায়।
১২১৩
গরমে যতটা সম্ভব সি-ফুড বা অল্প সেদ্ধ মাংস না খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ সব খাবার থেকে ডায়েরিয়ার জীবাণু ছড়ায়।
১৩১৩
খাওয়ার আগে ভাল করে হাতে ধুয়ে নিন। বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাকেও পরিচ্ছন্ন রাখুন।