KGF Star Yash's fans madness can make you shock dgtl
Yash
তাঁর ছবি চললে রাত তিনটেতেও হাউসফুল! প্রিয় অভিনেতার দেখা না পেয়ে গায়ে আগুন দেন ভক্ত
‘কেজিএফ’ মুক্তির পর থেকেই রাতারাতি দেশের সুপারস্টার হয়েছেন দক্ষিণী নায়ক যশ। তাঁর ভক্তদের পাগলামি জানলে হতবাক হবেন।
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরুশেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
‘কেজিএফ’ মুক্তির পর থেকেই রাতারাতি সুপারস্টার হয়েছেন কন্নড় সিনেমার এই মুহূর্তের জনপ্রিয় মুখ যশ। তবে শুধু কন্নড় সিনেমা বললে ভুল হবে। ‘কেজিএফ’-এর হাত ধরে সর্বভারতীয় স্তরে বড় তারকা হয়েছেন যশ। দেশের ঘরে ঘরে তাঁর ভক্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। প্রিয় তারকাকে ঘিরে তাঁর ভক্তদের উন্মাদনার নানা ছবিই ধরা পড়ে। তবে যশের ভক্তদের পাগলামির কথা জানলে হতবাক হবেন।
ছবি সংগৃহীত।
০২২০
২০০৭ সালে কন্নড় সিনেমায় হাতেখড়ি হয় যশের। তবে প্রায় ১৯টি ছবির পর ২০১৮ সালে ‘কেজিএফ’-এর হাত ধরেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান যশ। এর পর ২০২২ সালে ‘কেজিএফ ২’ ছবিটি যশকে আরও খ্যাতির আলোয় আলোকিত করে।
ছবি সংগৃহীত।
০৩২০
‘কেজিএফ’-এর দৌলতে রাতারাতি যশের ভক্তসংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। আর যত দিন গড়িয়েছে, তারকার সেই সব ‘জবড়া ফ্যানেদের’ পাগলামিও বেড়েছে। এমনকি, প্রিয় নায়ককে ঘিরে উন্মাদনার জেরে প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে।
ছবি সংগৃহীত।
০৪২০
২০১৯ সালে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন যশ। কিন্তু নায়কের সেই কথায় কর্ণপাতই করেননি তাঁর ভক্তরা। যথারীতি পছন্দের নায়কের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। জন্মদিনে প্রিয় নায়ককে এক ঝলক দেখার ইচ্ছা ছিল তাঁদের।
ছবি সংগৃহীত।
০৫২০
কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে থাকলেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভক্তদের সামনে হাজিরই হননি তারকা। এক সময় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় ভক্তদের। নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে এক ভক্ত যশের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে আটকাতে যান। তার পরই ঘটে যায় সেই দুর্ঘটনা।
ছবি সংগৃহীত।
০৬২০
নিরাপত্তারক্ষী আটকাতেই যশের ওই ভক্ত গায়ে পেট্রল ঢেলে নিজেকে জ্বালিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যা, হাসপাতালের বেডে শুয়ে সারাক্ষণ যশের নাম করছিলেন ওই ভক্ত। সেই সঙ্গে তাঁকে দেখতে যশ যাতে একটি বারের জন্য হাসপাতালে যান, তা নিয়ে চিকিৎসকদের অনুরোধও করেন ওই ভক্ত।
ছবি সংগৃহীত।
০৭২০
ভক্তের এই আকুতি শোনার পরই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন যশ। দেখা হয় ভক্ত ও তারকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ওই ভক্তকে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
ছবি সংগৃহীত।
০৮২০
এর পরই যশ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে ভক্তদের উদ্দেশে বলেন যে, যাঁরা এমন কাজ করবেন, তাঁরা তাঁর ভক্ত হতে পারেন না। কেউ যদি ভাবেন যে, এরকম কাণ্ড করে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন, তা হলে তা ভুল। কারণ এ ভাবে আর কারও সঙ্গেই দেখা করবেন না যশ।
ছবি সংগৃহীত।
০৯২০
নায়কের এই ভিডিয়োবার্তা কানে তোলেননি তাঁর ভক্তরা। আর তাই ২ বছরের মাথায় যশের আরও এক ভক্তের প্রাণ ঝরে। কর্নাটকের মাণ্ড্য শহরের বাসিন্দা ২৫ বছরের রামকৃষ্ণ। যশের খুব ভক্ত ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ছবি সংগৃহীত।
১০২০
সুইসাইড নোটে যশের ওই ভক্ত লেখেন যে, তিনি ‘কেজিএফ’ তারকার খুব বড় ভক্ত। তাঁর শেষকৃত্যে যেন যশ ও রাজনীতিক সিদ্দারামাইয়া যান। এটাই ছিল তাঁর শেষ ইচ্ছা।
ছবি সংগৃহীত।
১১২০
ওই যুবকের শেষকৃত্যে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া যোগ দিলেও যাননি যশ। টুইটারে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন নায়ক। লিখেছিলেন, ভক্তরাই আমাদের জীবন, গর্ব। কিন্তু এক জন ভক্তের ভালবাসার দৃষ্টান্ত এমনটা হতে পারে না।
ছবি সংগৃহীত।
১২২০
নায়কের ভক্ত হয়ে পাগলামি করতে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন যশের আরও এক অনুরাগী। ‘কেজিএফ ২’ ছবিতে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে যশকে। প্রিয় নায়কের সেই দৃশ্য দেখে তা অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিলেন হায়দরাবাদের রাজেন্দ্র নগরের বাসিন্দা ১৫ বছরের এক নাবালক। নায়ককে অনুকরণ করতে গিয়ে প্রচুর ধূমপান করে সে। শেষে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।
ছবি সংগৃহীত।
১৩২০
যশের ভক্তদের পাগলামির আরও অনেক কীর্তিই প্রকাশ্যে এসেছে। ‘কেজিএফ ২’ মুক্তির সময় দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে যশকে নিয়ে মেতে উঠেছিলেন তাঁর অগণিত ভক্ত। কোথাও যশের ছবিতে মালা পরানো হয়েছিল, কোথাও আবার যশের পোস্টারে দুধ ঢালা হয়েছিল। সিনেমার টিকিটের কালোবাজারিও হয়। বেঙ্গালুরুতে ছবি দেখতে গিয়ে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, লাঠি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
ছবি সংগৃহীত।
১৪২০
কর্নাটকের রাজশ্রী সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের সময় যশের দুই দল ভক্তের মধ্যে গোলমাল বাধে। সেই সময় এক পক্ষের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। গুলিবিদ্ধ এক ভক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ছবি সংগৃহীত।
১৫২০
যশের জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলে ছুটি দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন কর্নাটকের বেল্লারির একটি স্কুলের ছাত্র। সেই চিঠি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সমাজমাধ্যমে।
ছবি সংগৃহীত।
১৬২০
নায়কের জন্মদিনে তাঁর ভক্তরা কেক নিয়ে মাতামাতি করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। তবে যশের মতো তারকার জন্মদিনে বিশেষ কেক তৈরি করে তাক লাগিয়েছিলেন ভক্তরা। ২০২০ সালে যশের জন্মদিনে ৫ হাজার কেজির কেক বানান কয়েক জন ভক্ত। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নজির গড়ে সেই কেক।
ছবি সংগৃহীত।
১৭২০
ওই বছরই যশের আরও এক ভক্তদল নায়কের কাট-আউট বানিয়ে নজির তৈরি করেছিলেন। ২১৬ ফুটের কাট-আউট বানানো হয়। যা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাট-আউট বলে দাবি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর নন্দি লিঙ্ক রোডে তৈরি করা হয়েছিল এই কাট-আউট।
ছবি সংগৃহীত।
১৮২০
‘কেজিএফ ২’ মুক্তির সময় যশকে ঘিরে উন্মাদনা এতটাই ছিল যে, ভোর ৩টের সময় ওড়িশার একটি সিনেমা হলে সেই ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল। জানলে অবাক হবেন যে, ভোর ৩টের সময়ই শো হাউসফুল হয়েছিল। ওড়িশার ইতিহাসে যা প্রথম। একই কাণ্ড ঘটেছিল গুজরাতের সুরতে। সেখানে সকাল ৬টার সময়ই শো হাউসফুল হয়েছিল।
ছবি সংগৃহীত।
১৯২০
যশের অনুরাগীর সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। আর তাঁদের পাগলামিরও এমন ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত রয়েছে। বহু যশ-ভক্তের হাত, বুকে নায়কের মুখাবয়বের ট্যাটু রয়েছে।
ছবি সংগৃহীত।
২০২০
তিনি সুপারস্টার। ব্যস্ত নায়ক। তবে মাঝেমধ্যেই ভক্তদের আবদারও মেটান যশ। যেমন বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে একে একে ৭০০ ভক্তের সঙ্গে আলাদা আলাদা ছবি তুলেছিলেন যশ। এই খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা বলেছিলেন, ‘‘যশই হল আসল তারকা।’’