এই সময়ের মধ্যে নয় নয় করে ১৪৫টিরও বেশি কোর্স করে ফেলেছেন। তা-ও আবার বিশ্বের তাবড় নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই মুহূর্তে তাঁর কাছে রয়েছে ইয়েল, প্রিন্সটন, কলম্বিয়া, স্ট্যানফোর্ড-সহ আইভি লিগের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি। সব মিলিয়ে ১৩০টিরও বেশি শংসাপত্র আদায় করে নিয়েছেন। এমনটাই দাবি করছেন সফি।
এই বয়সে এসে নতুন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করাটা সহজ ছিল না। গোড়ার দিকে বেশ অসুবিধাই হত বলেও জানিয়েছেন সফি। তাঁর কথায়, “প্রথম দিকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সে নাম লিখিয়েছিলাম। গোড়ায় সব কিছু আটকে যাচ্ছিল। খুবই কষ্টকর মনে হয়েছিল। প্রথম কোর্স শেষ করতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম।”
উচ্চপদে কর্মরত থাকায় সফিকে অফিসের বহু দায়িত্ব সামলাতে হত। সে সব সামলে কী ভাবে এতগুলি কোর্সের পড়াশোনা করতেন? সফি বলেন, “অফিস সেরে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করতে বসে যেতাম। সন্ধ্যে ৬টা থেকে পরের দিন ভোর ৪টে পর্যন্ত তা চলত। কোনও কোনও দিন ঘুমোতাম না। তিন-চার মাস দিনে দু’ঘণ্টা করে ঘুমিয়েছি, এমনও হয়েছে।” মূলত বিদেশের একাধিক দেশের সঙ্গে এখানকার সময়ের ফারাক থাকায় পড়াশোনার নেশায় ঠিক মতো ঘুমোতে পারতেন না বলেও জানিয়েছেন সফি।
শেষমেশ পড়াশোনা করার নেশা বজায় রাখতে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সফি। তিনি বলেন, “এক সময় আমাকে চাকরির জন্য দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে যাতায়াত করতে হত। লকডাউনের জন্য তাতে বিস্তর বিধিনিষেধ ছিল। ফলে স্থির করলাম, পড়াশোনার জন্য চাকরি ছেড়ে দেব।” যেমন ভাবা তেমনই করেছিলেন সফি। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাকরিতে ইস্তফা দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy