উল্লেখ্য, ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবারের গোলা বফোর্স-সহ অধিকাংশ হাউৎজ়ার কামানে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে পাক ফৌজের থেকে মসকো উপত্যকা পুনর্দখলের জন্য এই গোলা ব্যবহার করেছিল ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী। পাহাড়ি যুদ্ধে নিখুঁত নিশানায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই গোল। এর ধ্বংসক্ষমতাও মারাত্মক।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে ভারত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অস্ত্র নির্মাণকারী শিল্পের সঙ্গে জড়িত ১১টি সূত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া শুল্ক দফতরের নানা তথ্যও সেখানে তুলে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটির দাবি, নয়াদিল্লি জানে যে ইউরোপে তাঁদের বিক্রি করা অস্ত্র শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও গোলাবারুদ রফতানি বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি।
এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ‘‘ইউক্রেনকে কোনও গোলাবারুদ বিক্রি করা হয়নি।’’ রয়টার্সের ওই রিপোর্টের পরও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘সমরাস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। নিয়ম ভেঙে অস্ত্র বিক্রির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এই রিপোর্ট পুরোপুরি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।’’
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, রয়টার্সের প্রতিবেদন ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ, নয়াদিল্লি যে ভারসাম্যের রাজনীতি করতে চাইছে তা ভাল ভাবেই বুঝতে পারছে মস্কো। ঘুরপথে সামান্য অস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছলে খুশি হবে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশ। তখন তাঁদের সঙ্গে অন্যান্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়াদিল্লির পথে অনেক সহজ হবে।
আর এই কারণেই রয়টার্সের ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা-সহ সমস্ত পশ্চিমি দেশ। সেই নিষেধাজ্ঞা উ়ড়িয়েই মস্কোর থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনছে নয়াদিল্লি। যা ভারসাম্যের রাজনীতির অঙ্গ বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
শুধু তাই নয়, রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনাও বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি। রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ হাতে পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তলোয়ার ক্লাসের দু’টি যুদ্ধজাহাজও রাশিয়ায় তৈরি করেছে ভারত। যার পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রার সময় হাজির ছিলেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। খুব অল্প দিনের মধ্যেই ওই দু’টি যুদ্ধজাহাজ হাতে পাবে ভারতীয় নৌসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy