Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Women Pilot

Women Pilots: বিমানচালকের সংখ্যায় আমেরিকা, ব্রিটেনের চেয়েও এগিয়ে ভারতীয় মহিলারা, কারণ কী

আমেরিকা ও ব্রিটেনের বিমান পরিবহণের বাজার অনেক বড়। তা-ও ওই দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় মহিলা পাইলটের সংখ্যা বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ১১:৩৫
Share: Save:
০১ ১৬
সময়টা ১৯৮৯ সাল। ককপিটে ওঠার সময় হয়ে এসেছে। ক্রু সদস্যরা সকলেই নিজেদের কাজে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মাঝেও কানে এল, ‘‘কেউ দেখে ফেলার আগে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন।’’ তাঁকে বিমান চালাতে দেখলে যাত্রীরা ভয় পেয়ে বিমান থেকে নেমে পড়বেন! সেই আশঙ্কাতেই কি তাড়াহুড়ো করে সকলের নজর এড়িয়ে ককপিটে উঠে পড়লেন নিবেদিতা ভাসিন, ভারতের কনিষ্ঠতম মহিলা বিমান পাইলট?

সময়টা ১৯৮৯ সাল। ককপিটে ওঠার সময় হয়ে এসেছে। ক্রু সদস্যরা সকলেই নিজেদের কাজে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মাঝেও কানে এল, ‘‘কেউ দেখে ফেলার আগে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন।’’ তাঁকে বিমান চালাতে দেখলে যাত্রীরা ভয় পেয়ে বিমান থেকে নেমে পড়বেন! সেই আশঙ্কাতেই কি তাড়াহুড়ো করে সকলের নজর এড়িয়ে ককপিটে উঠে পড়লেন নিবেদিতা ভাসিন, ভারতের কনিষ্ঠতম মহিলা বিমান পাইলট?

০২ ১৬
বিশ্ব জুড়েই পুরুষেরা সব সময় মহিলাদের থেকে এগিয়ে, কর্মক্ষেত্রে এই বিভাজনরেখা আরও যেন স্পষ্ট করে অনেক সময় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লিঙ্গবৈষম্যের দিক দিয়ে বিচার করলে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৫। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এই তথ্য অনুসারে, পিতৃতান্ত্রিক সমাজচিত্র আরও প্রকট হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর সামনে। তালিকায় পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ভারতের বিমানসংস্থাগুলি সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নজির গড়ে তুলেছে।

বিশ্ব জুড়েই পুরুষেরা সব সময় মহিলাদের থেকে এগিয়ে, কর্মক্ষেত্রে এই বিভাজনরেখা আরও যেন স্পষ্ট করে অনেক সময় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লিঙ্গবৈষম্যের দিক দিয়ে বিচার করলে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৫। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এই তথ্য অনুসারে, পিতৃতান্ত্রিক সমাজচিত্র আরও প্রকট হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর সামনে। তালিকায় পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ভারতের বিমানসংস্থাগুলি সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নজির গড়ে তুলেছে।

০৩ ১৬
ভারতের বিমানচালকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহিলাদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম বিমান পরিবহণের বাজার আমেরিকায় গড়ে উঠলেও সে দেশে মহিলা পাইলট ৫.৫ শতাংশ। ব্রিটেনেও ৪.৭ শতাংশ মহিলা পাইলট রয়েছেন। তবে, বিশ্বের দুই প্রধান প্রভাবশালী দেশকে ছাপিয়ে ১২.৪ শতাংশ মহিলা বিমানচালক নিয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত।

ভারতের বিমানচালকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহিলাদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম বিমান পরিবহণের বাজার আমেরিকায় গড়ে উঠলেও সে দেশে মহিলা পাইলট ৫.৫ শতাংশ। ব্রিটেনেও ৪.৭ শতাংশ মহিলা পাইলট রয়েছেন। তবে, বিশ্বের দুই প্রধান প্রভাবশালী দেশকে ছাপিয়ে ১২.৪ শতাংশ মহিলা বিমানচালক নিয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত।

০৪ ১৬
১৯৮৯ সালের ঘটনার তিন দশক পর ভারতীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার চিত্র বদলে যায়। ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ সংস্থার বিমানচালক জোয়া অগ্রবাল সান ফ্রানসিস্কো থেকে যাত্রা শুরু করে টানা পাঁচ দিন বিমান চালিয়ে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছন। বিমানচালক-সহ সেই বিমানের সকল ক্রু সদস্যই ছিল মহিলা। অতিমারি চলাকালীন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেরও নজর কেড়েছিলেন জোয়া।

১৯৮৯ সালের ঘটনার তিন দশক পর ভারতীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার চিত্র বদলে যায়। ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ সংস্থার বিমানচালক জোয়া অগ্রবাল সান ফ্রানসিস্কো থেকে যাত্রা শুরু করে টানা পাঁচ দিন বিমান চালিয়ে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছন। বিমানচালক-সহ সেই বিমানের সকল ক্রু সদস্যই ছিল মহিলা। অতিমারি চলাকালীন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেরও নজর কেড়েছিলেন জোয়া।

০৫ ১৬
এক সাক্ষাৎকারে জোয়া বলেন, ‘‘আমার মতো মহিলারা টানা পাঁচ দিন ধরে সান ফ্রানসিস্কো থেকে বিমান চালিয়ে আসছে, এর পিছনে মূল কারণ পরিবার। পরিবারের সকলে পাশে ছিল বলেই চিন্তামুক্ত ভাবে কাজ করতে পেরেছি।’’ তিনি একাই নন, মহিলা পাইলটদের অনেকেই স্বীকার করেন যে তাঁদের সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ তাঁদের পরিবার।

এক সাক্ষাৎকারে জোয়া বলেন, ‘‘আমার মতো মহিলারা টানা পাঁচ দিন ধরে সান ফ্রানসিস্কো থেকে বিমান চালিয়ে আসছে, এর পিছনে মূল কারণ পরিবার। পরিবারের সকলে পাশে ছিল বলেই চিন্তামুক্ত ভাবে কাজ করতে পেরেছি।’’ তিনি একাই নন, মহিলা পাইলটদের অনেকেই স্বীকার করেন যে তাঁদের সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ তাঁদের পরিবার।

০৬ ১৬
তবে, চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষিকা ছাড়াও মহিলারা যে বিমানচালকের পেশায় এসেও রোজগার করতে পারেন, সেই বিষয়ে ভারতীয়দের ধারণা কম বলে দাবি করেছেন অ্যালায়েন্স এয়ার বিমানসংস্থার সিইও হরপ্রীত এ দে সিংহ। কোনও বিমানসংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন এক মহিলা! হরপ্রীত এই গুরুভার নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিলেন।

তবে, চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষিকা ছাড়াও মহিলারা যে বিমানচালকের পেশায় এসেও রোজগার করতে পারেন, সেই বিষয়ে ভারতীয়দের ধারণা কম বলে দাবি করেছেন অ্যালায়েন্স এয়ার বিমানসংস্থার সিইও হরপ্রীত এ দে সিংহ। কোনও বিমানসংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন এক মহিলা! হরপ্রীত এই গুরুভার নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিলেন।

০৭ ১৬
তিনি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পাইলট থেকে শুরু করে ট্রাফিক কন্ট্রোলার পর্যন্ত কোন কোন পদে মহিলারা আবেদন করতে পারেন সেই বিষয়ে জানাতেন হরপ্রীত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার পর বিমানসংস্থার বিভিন্ন পদে মহিলাদের চাকরি করতে দেখা গিয়েছে। তার আগে এই প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না মহিলারা।

তিনি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পাইলট থেকে শুরু করে ট্রাফিক কন্ট্রোলার পর্যন্ত কোন কোন পদে মহিলারা আবেদন করতে পারেন সেই বিষয়ে জানাতেন হরপ্রীত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার পর বিমানসংস্থার বিভিন্ন পদে মহিলাদের চাকরি করতে দেখা গিয়েছে। তার আগে এই প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না মহিলারা।

০৮ ১৬
ভারতের ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমির মুখ্য নির্দেশক কুঞ্জল ভট্ট জানিয়েছেন, তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তাঁর অন্যতম কারণ হল সমাজ। এই পেশায় আসবেন বলে অনেক সামাজিক ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে তাঁরা এই জায়গায় এসে পৌঁছন। তাই তাঁদের মধ্যে নতুন কিছু শেখার অদম্য জেদ দেখা যায়।

ভারতের ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমির মুখ্য নির্দেশক কুঞ্জল ভট্ট জানিয়েছেন, তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তাঁর অন্যতম কারণ হল সমাজ। এই পেশায় আসবেন বলে অনেক সামাজিক ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে তাঁরা এই জায়গায় এসে পৌঁছন। তাই তাঁদের মধ্যে নতুন কিছু শেখার অদম্য জেদ দেখা যায়।

০৯ ১৬
মহিলারা যেন আরও বেশি করে এই চাকরির জন্য আবেদন করে সে দিকে লক্ষ রেখে মহিলা কর্মীদের জন্য নানা রকম অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ১৯৪৮ সাল থেকেই বহু ভারতীয় মহিলা ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাইক্রোফ্লাইট এয়ারক্রাফ্ট পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হত তাঁদের। তবে, এর খরচ প্রচুর। মহিলাদের খরচের ভার কমানোর জন্য কোনও কোনও রাজ্য সরকার বিশেষ ভর্তুকি চালু করেন।

মহিলারা যেন আরও বেশি করে এই চাকরির জন্য আবেদন করে সে দিকে লক্ষ রেখে মহিলা কর্মীদের জন্য নানা রকম অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ১৯৪৮ সাল থেকেই বহু ভারতীয় মহিলা ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাইক্রোফ্লাইট এয়ারক্রাফ্ট পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হত তাঁদের। তবে, এর খরচ প্রচুর। মহিলাদের খরচের ভার কমানোর জন্য কোনও কোনও রাজ্য সরকার বিশেষ ভর্তুকি চালু করেন।

১০ ১৬
এমনকি ‘হণ্ডা মোটরস কোম্পানি’র মতো সংস্থা ১৮ মাসের কোর্সের প্রশিক্ষণের জন্য মহিলাদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থাও করে। তা ছাড়াও প্রশিক্ষণ লাভের পর তাঁরা যেন নিশ্চিত ভাবে চাকরি পান সে দিকেও নজর রাখে সংস্থা। কিছু বিমানসংস্থা মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতায়াতের সময় যেন কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই তাঁদের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করা থাকে।

এমনকি ‘হণ্ডা মোটরস কোম্পানি’র মতো সংস্থা ১৮ মাসের কোর্সের প্রশিক্ষণের জন্য মহিলাদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থাও করে। তা ছাড়াও প্রশিক্ষণ লাভের পর তাঁরা যেন নিশ্চিত ভাবে চাকরি পান সে দিকেও নজর রাখে সংস্থা। কিছু বিমানসংস্থা মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতায়াতের সময় যেন কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই তাঁদের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করা থাকে।

১১ ১৬
শুধু তা-ই নয়, অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য সংস্থার তরফে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রিবাহী বিমানসংস্থা, ‘ইন্ডিগো’ সেই সংস্থার মহিলা কর্মীদের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় ২৬ মাসের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়। নবজাতকের দেখাশোনা করার জন্য কোনও ক্রেশে রাখলে সংস্থার তরফে তার বেতন দেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলা পাইলটরা এক মাসে দু’সপ্তাহের জন্য ছুটির আবেদন করতে পারেন।

শুধু তা-ই নয়, অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য সংস্থার তরফে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রিবাহী বিমানসংস্থা, ‘ইন্ডিগো’ সেই সংস্থার মহিলা কর্মীদের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় ২৬ মাসের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়। নবজাতকের দেখাশোনা করার জন্য কোনও ক্রেশে রাখলে সংস্থার তরফে তার বেতন দেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলা পাইলটরা এক মাসে দু’সপ্তাহের জন্য ছুটির আবেদন করতে পারেন।

১২ ১৬
‘ভিস্তারা’ সংস্থার তরফে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলা পাইলটদের অন্য পদে স্থানান্তর করা হয়। যত দিন না তাঁরা আবার উড়ানের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে তৈরি হন, তত দিন তাঁরা গ্রাউন্ডের কোনও উচ্চ পদে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়াও ছয় মাসের জন্য সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি-সহ ক্রেশের বেতনও দেওয়া হয়।

‘ভিস্তারা’ সংস্থার তরফে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলা পাইলটদের অন্য পদে স্থানান্তর করা হয়। যত দিন না তাঁরা আবার উড়ানের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে তৈরি হন, তত দিন তাঁরা গ্রাউন্ডের কোনও উচ্চ পদে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়াও ছয় মাসের জন্য সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি-সহ ক্রেশের বেতনও দেওয়া হয়।

১৩ ১৬
আগে যেমন প্রায়ই বিমান বাতিল হয়ে যেত অথবা বিমানের সংখ্যা কম ছিল, শূন্যপদে মহিলা কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বলে তার পরিমাণ অনেকাংশেই কমেছে। তবুও বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, আগামী দুই দশকে সারা বিশ্বে ছয় লক্ষ বিমানচালকের শূন্যপদ তৈরি হবে।

আগে যেমন প্রায়ই বিমান বাতিল হয়ে যেত অথবা বিমানের সংখ্যা কম ছিল, শূন্যপদে মহিলা কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বলে তার পরিমাণ অনেকাংশেই কমেছে। তবুও বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, আগামী দুই দশকে সারা বিশ্বে ছয় লক্ষ বিমানচালকের শূন্যপদ তৈরি হবে।

১৪ ১৬
এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৯৪৫ সাল থেকে সারা বিশ্বে যত বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে তার মধ্যে ব্রিটেন ও আমেরিকায় সবচেয়ে এগিয়ে। ভারতের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে আমেরিকায়। এ ছাড়া ব্রিটেনও ভারতের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৯৪৫ সাল থেকে সারা বিশ্বে যত বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে তার মধ্যে ব্রিটেন ও আমেরিকায় সবচেয়ে এগিয়ে। ভারতের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে আমেরিকায়। এ ছাড়া ব্রিটেনও ভারতের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

১৫ ১৬
আমেরিকায় বিমান পরিবহণের বাজার বড় হওয়ার কারণে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেশি বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে, ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনাগুলি লক্ষ করলে দেখা যায়, আমেরিকায় এই পরিমাণ ১০ শতাংশ হলে এর মধ্যে তিন শতাংশ দুর্ঘটনায় সেই বিমানের পাইলট ছিলেন মহিলা।

আমেরিকায় বিমান পরিবহণের বাজার বড় হওয়ার কারণে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেশি বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে, ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনাগুলি লক্ষ করলে দেখা যায়, আমেরিকায় এই পরিমাণ ১০ শতাংশ হলে এর মধ্যে তিন শতাংশ দুর্ঘটনায় সেই বিমানের পাইলট ছিলেন মহিলা।

১৬ ১৬
এম্ব্রি-রিডল এরোন্যটিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হলেরান জানিয়েছেন, সাধারণত, পুরুষদের তুলনায় মহিলা পাইলটরা বিমান চালানোর সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকেন। ফলে দুর্ঘটনাও কম হয়।

এম্ব্রি-রিডল এরোন্যটিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হলেরান জানিয়েছেন, সাধারণত, পুরুষদের তুলনায় মহিলা পাইলটরা বিমান চালানোর সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকেন। ফলে দুর্ঘটনাও কম হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy