এক সময় ওই এলাকা ছিল মাওবাদী কার্যকলাপের আঁতুরঘর। একই সঙ্গে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-র অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার স্পেশাল জোনাল কমিটির সদর দফতর।
০৫১৩
অতীতে ওড়িশার ওই এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপনের বিরোধিতা করত ওই নিষিদ্ধ সংগঠন। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে তিরঙ্গার বদলে তারা ওড়াত কালো পতাকা।
০৬১৩
কিন্তু রাজ্য সরকার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বদলেছে ওই এলাকায়।
০৭১৩
এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। যার মধ্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের স্মার্টফোন বিলি অন্যতম।
০৮১৩
বিচ্ছিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি নিরাপত্তার শিবির তৈরি করা হয়। এর ফলেই ধীরে ধীরে ওই এলাকা থেকে পাততাড়ি গোটান মাওবাদীরা।
০৯১৩
সেই সব দিন পেরিয়ে সোমবার অন্য সকল দেশবাসীর মতো ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনে মেতে ওঠেন ওড়িশার ওই বিচ্ছিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
১০১৩
রবিবার দেখা গেল স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করছে।
১১১৩
মাওবাদীদের তৈরি স্মৃতিসৌধে পতাকা হাতে ওই গ্রামের খুদেদের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
১২১৩
এখনও এই অঞ্চলে টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁদের সঙ্গেও গ্রামবাসীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবি তুলেছেন।
১৩১৩
সব মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে, গত কয়েক বছরে বেশ খানিকটা বদলে গিয়েছে মলকানগিরি। তারই পরিচয় মিলল ১৫ অগস্ট।