২০০৭ সালে ফারহা খানের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ওম শান্তি ওম’। এই ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ এবং দীপিকা। ফারহা চেয়েছিলেন, এই ছবিতে অতিথিশিল্পী হিসাবে আমির খান অভিনয় করুন। আমিরকে অভিনয়ের প্রস্তাবও দেন ফারহা। কিন্তু শাহরুখের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন আমির।

‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে ‘দিওয়ানগি দিওয়ানগি’র দৃশ্যে বলিপাড়ার প্রায় সকল তারকাকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না আমির।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ফারহা বলেছিলেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম গানের একটি দৃশ্যে শাহরুখ, সলমন এবং আমির— বলিপাড়ার তিন খানকেই একসঙ্গে দেখা যাক। আমিরকে জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু ও আমাকে দশ দিন ধরে পাগল করে দিয়েছিল।’’

ফারহা জানান, যখন তিনি আমিরকে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন তখন নিজের ‘তারে জ়মিন পর’ ছবির সম্পাদনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শাহরুখের সঙ্গে অভিনয়ের জন্য কোনও ভাবেই নাকি সময় বার করতে পারছিলেন না আমির।

‘ওম শান্তি ওম’ মুক্তির চার বছর পর ফারহাকে সত্য জানান আমির। ফারহা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘চার বছর পর আমির আমায় বলেছিল যে, ও আসলে অভিনয় করতেই চায়নি।’’

১৯৯৭ সালে যশ চোপড়া পরিচালিত ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিত নেনের পাশাপাশি জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল করিশ্মা কপূরকে। কিন্তু করিশ্মাই পরে শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

কর্ণ জোহরের পরিচালনায় ১৯৯৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। শাহরুখের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায় এবং কাজল। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য করিশ্মাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী।

শাহরুখের সঙ্গে কেন করিশ্মা অভিনয় করতে চাননি তা এখনও অজানা। শুধুমাত্র করিশ্মাই নন, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য টুইঙ্কল খন্না, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, তব্বু এবং রবিনা টন্ডনকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সকল অভিনেত্রীই এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখের ‘জ়িরো’ ছবিতে অতিথিশিল্পী হিসাবে অভিনয় করতে দেখা যায় শ্রীদেবীকে। কিন্তু শাহরুখের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই।

১৯৯৩ সালে যশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডর’। এই ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে শাহরুখ জনপ্রিয়তা পান। শাহরুখের সঙ্গে ‘ডর’-এ মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল এবং জুহি চাওলা।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, জুহির পরিবর্তে ‘ডর’ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন শ্রীদেবী। শ্রীদেবীকে অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রী সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

বলিপাড়ার অন্দরমহলে শোনা যায়, ‘ডর’ ছবিতে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব শ্রীদেবীকে দেওয়া হয়েছিল, সেই ধরনের চরিত্রে বহু বার অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শককে নতুন কিছু উপহার দিতে পারবেন না ভেবে ‘ডর’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী।

‘কহো না প্যার হ্যায়’, ‘গদর: এক প্রেম কথা’র মতো হিন্দি ছবি কেরিয়ারের গোড়ার দিকেই নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন অমিশা পটেল। কিন্তু বলিপাড়ার একাধিক বড় মাপের তারকার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগও হারান তিনি।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমিশা জানান, সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ এবং সলমন খানের সঙ্গে ‘তেরে নাম’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হারান অভিনেত্রী। অমিশার দাবি, ব্যস্ততার কারণে সেই ছবিগুলিতে অভিনয় করতে পারেননি তিনি।

এমনকি শাহরুখের সঙ্গে ‘চলতে চলতে’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয় অমিশাকে। সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। অমিশা জানান, ‘চলতে চলতে’ ছবির শুটিংয়ের জন্য তিনি সময় বার করতে পারেননি তাই অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করেন দেন অমিশা। পরে এই ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায়।