এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
সম্প্রতি ভিকি-ক্যাটের বিয়ে উপলক্ষে বলিপাড়ায় বিয়ের সানাই বেজেছে। পাপারাৎজি থেকে অনুরাগী— সকলেই তাঁদের নিয়ে উৎসুক। নেটমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নেন এই জুটি।
০২১৫
তবে, এই দম্পতি কিছু দিন আগেই ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, অভিনেতা ভিকি মুম্বইয়ের সান্তা ক্রুজ থানায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মনভিন্দর সিংহ।
০৩১৫
‘স্ট্রাগলিং’ অভিনেতা মনভিন্দর নাকি ক্যাটরিনাকে নেটমাধ্যমে ‘স্টক’ করছিলেন বহু দিন ধরেই। বার বার বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন অভিনেত্রীকে। শুধু তা-ই নয়, ক্যাটরিনার সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে বিকৃত ছবি এবং ভিডিয়োও পাঠাতেন ক্যাটকে।
০৪১৫
এর পরেও থামেননি মনভিন্দর। ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে, নিজেদের সুরক্ষার জন্য মনভিন্দরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ভিকি। মনভিন্দরকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
০৫১৫
তবে, মনভিন্দরের আইনজীবী জানিয়েছেন, মনভিন্দরকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এক তরফের বক্তব্য শুনে নাকি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যাটরিনা ও তাঁর বোনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে যত মেসেজ ছিল, সব মুছে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন সেই আইনজীবী।
০৬১৫
শুধু ক্যাটরিনাই নয়, হুমকি পেয়েছিলেন বলিউডের আরও এক অভিনেত্রী। সুশান্ত সিংহ রাজপুত মারা যাওয়ার পর সেই আক্রোশে আলিয়া ভট্টকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি আসতে থাকে। এমনকি, ভট্ট পরিবারের সকল সদস্যের কাছেই হুমকি আসতে থাকে।
০৭১৫
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তের নাম সন্দীপ সাহু। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। ভট্ট পরিবারের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পাঠালে সকলকে গুলি করে মেরে ফেলবেন বলেও ভয় দেখান তিনি।
০৮১৫
মুম্বই ও উত্তর প্রদেশের পুলিশ এবং মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের সহায়তায় সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মহেশ ভট্ট তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সকলকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন।
০৯১৫
বলিউডের ‘কিং খান’ও রয়েছেন এই তালিকায়। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন শাহরুখ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে খোলা চিঠি পাঠানো হয়। লেখা হয়, ‘এসআরকে আমাদের পরবর্তী টার্গেট’।
১০১৫
শুধু ফিল্ম সেটেই নয়, শাহরুখের বাড়িতে যে অফিস রয়েছে, সেখানেও ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। তদন্তে জানা যায়, এ সব কিছুর পিছনে গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের হাত রয়েছে। এর আগেও ছোটা শাকিল, আবু সালেম-সহ অন্যান্য গ্যাংস্টারও শাহরুখকে হুমকি দিয়েছেন।
১১১৫
এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে প্রযোজক নাজিম রিজভি একটি ছবিতে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর কাছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি সেই ছবিতে কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন শাহরুখ।
১২১৫
এই ঘটনার ছয় মাস পর রিজভি তাঁর বাড়িতে আসেন এবং গ্যাংস্টার শাকিলকে ফোনে নিয়ে অভিনেতাকে হুমকি দিতে শুরু করেন। এমনকি, আবু সালেমও একটি ছবিতে কাজ করার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন শাহরুখকে।
১৩১৫
পঞ্জাবে তরুণ গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার মৃত্যুর পর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান এবং তাঁর বাবা সেলিম খানও। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া একটি চিঠিতে লেখা ছিল, ‘মুসে ওয়ালার মতো করে দেব।’ সে চিঠি সেলিমের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আসে।
১৪১৫
রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা বিক্রম বারাদ এই সবের পিছনে রয়েছেন। তিনিই সলমনকে হুমকি চিঠিটি পাঠান। সকলের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই সলমন ও সেলিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন বিক্রম। এই প্রথম নয়, কৃষ্ণসার হরিণ মামলা চলাকালীনও ‘ভাইজান’কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন গ্যাংস্টাররা।
১৫১৫
এ ছাড়াও গ্যাংস্টার রবি পূজারী বলিউডের ‘খিলাড়ি’কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। তদন্তে জানা যায়, অক্ষয় কুমার তাঁর বাড়ির পরিচারিকার কাজ ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে রবি অক্ষয়কে হুমকি দেন। শুধু অক্ষয়কেই নয়, ফারহান আখতার, সোহেল খান, ফারহান আজমিকেও রবি এবং তাঁর দলের সদস্যরা হুমকি পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ।