পুরী বেড়াতে যাননি, এমন বাঙালির সংখ্যা হাতেগোনা। পুরীর সমুদ্র, জগন্নাথ মন্দির, গজা আর কটকি প্রিন্টের পোশাকের সঙ্গে বাঙালির নিবিড় সম্পর্ক।
পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দার্জিলিং, দিঘার সঙ্গে পুরীর কথাই মাথায় আসে বাঙালির।
তবে দেশের অন্যতম এই শ্রীক্ষেত্রে ঘুরতে গিয়ে যে কেউ জালিয়াতির শিকার হতে পারেন।
যেমন ধরা যাক, পুরী গিয়ে আপনি কোথায় থাকবেন, সে জন্য অনলাইনে হোটেল খুঁজতে বসলেন।
পেয়েও গেলেন একটি হোটেল। ওয়েবসাইট থেকে হোটেলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, মেল আইডি সব বার করে যোগাযোগ করলেন।
উত্তর এল, ঘর ভাড়া বাবদ ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম পাঠাতে হবে। আপনি সেই টাকা পাঠিয়েও দিলেন।
কিন্তু পুরীতে নেমে হোটেলে পৌঁছে দেখলেন, আপনার নামে কোনও বুকিং তো হয়ইনি। ওই ৫০ শতাংশ টাকাও হোটেলের কাছে আসেনি। বস্তুত, আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কেই জানে না তারা!
সম্প্রতি এই ভাবে বহু মানুষ প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন। লালবাজারের সাইবার থানায় এ রকম বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।
তা নজরে রেখে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
হোটেলের ওয়েবসাইটের ‘ডোমেন নেম’ অর্থাৎ লিঙ্কটি ভাল করে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। হোটেলের নামের সঙ্গে সঙ্গতি আছে কি না, যাচাই করতে হবে।
লিঙ্কে ক্লিক করার পর পেজ খুললে লিঙ্কের পাশে ‘তালা’ চিহ্ন আছে কি না দেখুন। এতে পেজটি সুরক্ষিত কি না, তা বোঝা যায়।
‘ওয়েবসাইট চেকার’ এবং নিরাপদে ইন্টারনেটে বিচরণ করার প্রক্রিয়া অর্থাৎ ‘সেফ ব্রাউজিং টুল’ ব্যবহার করুন।
ওয়েবসাইটে বানান ভুল, কাঁচা হাতের ডিজাইন ইত্যাদি দেখলে সাবধান হোন।
ওয়েবসাইটের বয়স অর্থাৎ ‘ডোমেন এজ’ যাচাই করে নিন অনলাইনে।
ওয়েবসাইটে ভাইরাস স্ক্যান করুন। অবিশ্বাস্য অফার দেখলে সাবধান হোন।
হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ওই হোটেলে থেকেছেন, এমন গ্রাহকদের রিভিউ খুঁজুন। কোনও প্রতারণার অভিযোগ আছে কি না, ভাল করে ঘেঁটে দেখুন।
‘শিপিং’ বা ‘রিটার্ন পলিসি’ জাতীয় তথ্য ভাল করে পড়ুন। কী কী ‘পেমেন্ট অপশন’ আছে, তা ভাল করে দেখে নিন।
ওয়েবসাইটে যদি হোটেলের বহু পুরস্কার প্রাপ্তির উল্লেখ থাকে, তার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy