Fawad Khan's The Legend of Maula Jatt crosses Rs. 100 crore mark for the first time in Pakistan dgtl
Pakistani Movie
দশ দিনেই বাজিমাত! এই প্রথম ১০০ কোটির ক্লাবে পাকিস্তান
চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’। ছবি মুক্তির দশ দিন পর ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করে এই পাকিস্তানি ছবিটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৩
১০০ কোটি টাকার ক্লাবে যে ছবিগুলি রয়েছে, সেই তালিকায় ‘দঙ্গল’, ‘পিকে’, ‘সঞ্জু’র মতো বলিউডের বহু ছবি রয়েছে। ভারতের বক্স অফিসের পাশাপাশি বিশ্বদরবারেও সেই ছবিগুলি বহুল প্রশংসা পায়।
০২২৩
কিন্তু পাকিস্তানের কাহিনি অন্য রকম। ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত একটি পাকিস্তানি ছবিও উপার্জনের দিক দিয়ে সে দেশের মুদ্রায় ১০০ কোটি টাকার গণ্ডি পেরোতে পারেনি। অন্য দিকে ভারতে ‘আরআরআর’, ‘বাহুবলি’র মতো বহু ছবি ১০০ কোটির গণ্ডি পেরোয়।
০৩২৩
চলতি মাসেই এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রথম প্রবেশ করে পাকিস্তান, ‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’ ছবির মাধ্যমে।
০৪২৩
তা-ও আবার ছবি মুক্তি পাওয়ার দশ দিনের মাথায় এই সাফল্য। নেপথ্য কাহিনি কী? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
০৫২৩
চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’।
০৬২৩
এই ছবিটি ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৌলা জাঠ’ নামের ক্লাসিক ঘরানার ছবির উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।
০৭২৩
‘দ্য লেজেন্ড অফ মৌলা জাঠ’ ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিলাল লসহরি।
০৮২৩
২০১৩ সালেই পরিচালক এই ছবি প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিলেন।
০৯২৩
চিত্রনাট্যের কাজ শেষ হওয়ার তিন বছর পর মুখ্য চরিত্র হিসাবে ফাওয়াদ খান এবং হামজা আলি আব্বাসি সই করেন।
১০২৩
এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খানকেও।
১১২৩
‘হমসফর’ ধারাবাহিকের পর ফাওয়াদ-মাহিরার জুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। দর্শক মহল তাঁদের জুটি হিসাবে দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে থাকে।
১২২৩
এই ছবির মাধ্যমে দর্শকের সেই স্বাদও মিটেছে। ছবি মুক্তি পাওয়ার আট দিনের মধ্যেই ছবিটি ৮০ কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলে।
১৩২৩
মুক্তির দশ দিন পরেই এই ছবি ১০৯ কোটি টাকা উপার্জন করে।
১৪২৩
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন-সহ এই ছবি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও মুক্তি পেয়েছে।
১৫২৩
এত দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ছবির তালিকার শীর্ষে ছিল ‘জওয়ানি ফির নেহি আনি ২’। ২০১৮ সালে ছবিটি মুক্তি পায়।
১৬২৩
বক্স অফিস থেকে এই ছবিটি পাকিস্তানি মুদ্রায় মাত্র ৭০ কোটি টাকা উপার্জন করেছিল।
১৭২৩
১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখানোয় ছবির নির্মাতা-সহ অভিনেতারাও আপ্লুত। ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলেই এই উপলক্ষে বিশেষ পোস্টার নিজেদের সমাজমাধ্যমে ভাগ করেছেন।
১৮২৩
ছবিতে কাজ করার উপলব্ধি কী রকম, তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন ফাওয়াদ খান।
১৯২৩
অভিনেতা জানান, ছবিটি পঞ্জাবি ভাষায় বানানোর ফলে শুরুর দিকে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সকলে সাহায্য করেছিলেন বলে শুটিঙের সময় কোনও অসুবিধা হয়নি ফাওয়াদের।
২০২৩
এই চরিত্রে অভিনয় করার সময় কোনও মেক আপের দরকার হত না বলে জানিয়েছেন ফাওয়াদ। অধিকাংশ সময় ধুলো-কাদার মধ্যেই শুটিং করতে হত তাঁকে। তাই মেক আপের পিছনে বেশি সময় খরচ হত না বরং অন্য সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি।
২১২৩
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জাঠের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যে ধরনের শারীরিক গঠন থাকা প্রয়োজন, আমার তা ছিল না। জিমে গিয়ে অনেকটা সময় কাটাতে হত আমায়।’’
২২২৩
অভিনেতা আরও জানান, এত কঠিন পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করার অভ্যাস ছিল না ফাওয়াদের। তাই শরীরের উপর চাপ পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
২৩২৩
ফাওয়াদ বলেন, ‘‘শরীরের ক্লান্তি এবং দুশ্চিন্তার কারণে আমার শরীর ভেঙ্গে পড়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা হওয়ার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছি।’’