ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট হামলা থেকে বাঁচতে ইজ়রায়েল জুড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে ‘বম্ব শেল্টার’। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইহুদি দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করতেই নাগরিকদের সেই সব আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। যার জেরে প্রাণহানি ঠেকানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইহুদি প্রশাসন। এই হামলায় বেশ কয়েক জন ইজ়রায়েলির আহত হওয়ার খবর এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অবশ্য দাবি, হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার হত্যার বদলা নিতেই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজ়রায়েলের উপর হামলা চালিয়েছে ইরান। তেহরানের ‘তৈরি করা’ শিয়াপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা লুকিয়ে ছিলেন ইহুদিদের প্রতিবেশী দেশ লেবাননে। দিন কয়েক আগে ইজ়রায়েলের হানায় প্রাণ গিয়েছে তাঁর।
ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের কাছে রয়েছে আমেরিকার তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। যা দিয়ে তাঁরা ইরানের খনিজ তেলের ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞেরা। কেউ কেউ আবার তেহরানের হাতে থাকা রাশিয়ার এস-৩০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংসের ব্যাপারে বাজি ধরেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ইউনিটকে কয়েক মাস আগেও একবার উড়িয়েছে আইডিএফ।
এর মধ্যেই আবার প্রাক্তন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেফটালি বেনেট ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির যাবতীয় গবেষণা ও প্রস্তুতিকে পুরোপুরি নষ্ট করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, ইহুদিদের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রত্যাঘাত শানাবে নেতানিয়াহুর ফৌজ। যা সামলানোর ক্ষমতা নেই ইরানের।
আহমেদিনেজাদের দাবি, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইরানি গুপ্তচর বাহিনীতে এমন ২০ জন এজেন্ট রয়েছেন, যাঁরা ইহুদিদের হয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। ‘‘এই ডাবল এজেন্টরাই ইজ়রায়েলকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সংবেদনশীল তথ্য তুলে দিয়েছে। ২০১৮ সালে ওই নথি চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরা।’’ সিএনএনকে বলেছেন আহমেদিনেজাদ।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ জানিয়েছেন, ইরানি পরমাণু গবেষকদের খুনে মোসাদকে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করেছেন ইরানের ডাবল এজেন্টরা। সেপ্টেম্বরেই শিয়া মুলুকটিতে গিয়ে আইআরজিসির পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন হিজ়বুল্লা প্রধান নাসরাল্লা। ওই সময় তাঁর গতিবিধির খবর ডাবল এজেন্টদের থেকে পেয়েছিল মোসাদ। সেই মতো নাসরাল্লা লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ফিরতেই বিমান হামলা চালায় আইডিএফ।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই তেহরানে একটি বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। যার নেপথ্যে মোসাদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। হানিয়ের মৃত্যুর দু’মাসের মধ্যেই নাসরাল্লাকে খতম করেছে আইডিএফ। এই অবস্থায় ইজ়রায়েলি হামলার আশঙ্কা থাকায় দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খোমেইনিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে তেহরান প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy