কবে এবং কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল? কী ভাবেই বা তিনি প্রাণ হাতে নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৬:২৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
নিজের অভিনীত ফিল্মের সমস্ত স্টান্ট নিজেই করতে পছন্দ করেন অজয় দেবগণ। রিল লাইফে স্টান্টদেখিয়ে বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছেন অজয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না রিয়েল লাইফ ‘স্টান্ট’ দেখাতে গিয়ে একবার মারমুখী জনতার হাত থেকে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন তিনি।
০২১৫
কবে এবং কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল? কী ভাবেই বা তিনি প্রাণ হাতে নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন?
০৩১৫
১৯৯১ সালে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন অজয়। তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছিল সুপার হিট।
০৪১৫
প্রথম ফিল্মেই স্টান্ট করে সকলের নজর কেড়ে নেন তিনি। এই ফিল্মে দু’টো চলন্ত মোটর সাইকেলের মাঝে দাঁড়িয়ে স্টান্ট দেখিয়েছিলেন। ফিল্মের স্টান্ট মাস্টার ছিলেন তাঁরই বাবা বিরু দেবগণ।
০৫১৫
এরপর একাধিক ফিল্মে নিজেই ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন অজয়। প্রতিবারই দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু রিয়েল লাইফে একবার ‘স্টান্ট’ দেখাতে গিয়ে মারধর খেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
০৬১৫
অজয় তখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসেননি। কলেজ জীবনের মজা নিচ্ছিলেন। কলেজ জীবন থেকেই সাজিদ খান তাঁর খুব ভাল বন্ধু ছিলেন।
০৭১৫
অজয়ের একটি সাদা রঙের জিপ ছিল। বন্ধু সাজিদের সঙ্গে একবার সেই গাড়িতে চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তখনই ঘটে সেই ঘটনা।
০৮১৫
গাড়িটি অজয় নিজেই চালাচ্ছিলেন। একটি সরু গলিতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন তাঁরা। আর তখন ঘুড়ির পিছনে ছুটতে ছুটতে আচমকাই একটি বাচ্চা তাঁর গাড়ির সামনে এসে পড়ে।
০৯১৫
কোনওক্রমে গাড়িটি ব্রেক লাগান অজয়। বাচ্চাটির কিছু ক্ষতি হয়নি ঠিকই, কিন্তু আচমকা এই ঘটনায় ভয়ে সে তারস্বরে চিৎকার করে ওঠে। তার কান্নার আওয়াজে আশপাশের বাড়ির সমস্ত বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে অজয়দের ঘিরে ফেলেন।
১০১৫
প্রায় ১০০০ লোক ঘিরে ধরেছিল তাঁদের। মারমুখী জনতাকে কোনওভাবেই তাঁরা শান্ত করতে পারছিলেন না। অজয়ের যে কোনও দোষ ছিল না তা বন্ধু সাজিদ অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন।
১১১৫
এঁদের মধ্যে ২০-২৫ জন এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন যে অজয়দের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারতে শুরু করে দেন। ঘটনাচক্রে ফিল্মের এক স্টান্টম্যানও এই এলাকায় থাকতেন। পরিস্থিতি দেখে তিনি তড়িঘড়ি অজয়ের বাবা বিরুকে খবর দেন।
১২১৫
মুহূর্তের মধ্যে কয়েকশো লোক নিয়ে এলাকায় হাজির হন তিনি। মারমুখী জনতার হাত থেকে ছেলেকে বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান।
১৩১৫
২০১৯ সালে অজয়ের বাবা বিরুর মৃত্যু হয়। তিনিই ছিলেন অজয়ের জীবনে প্রকৃত ‘সিংহম’। বাবার মৃত্যুর পর এক টেলিভিশন শো-এ কলেজ জীবনের এই ঘটনা কথা জানিয়েছিলেন অজয়।
১৪১৫
সাধারণত অজয়ের সম্পর্কে বিতর্কিত কিছু খুব একটা শোনা যায় না। নিজের কাজ এবং পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। অজয় বলিউডের প্রথম হিরো, যাঁর ব্যক্তিগত জেট রয়েছে। শ্যুটিং স্পটে পৌঁছনো থেকে শুরু করে পরিবার নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় এই জেট বিমান ব্যবহার করে থাকেন।
১৫১৫
অজয় এবং কাজল দু’জনেই তাঁদের সন্তানদের প্রতি ভীষণ যত্নশীল। ২০০৩ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান নাইসার জন্ম। ২০১০ এ জন্ম হয় ছেলে যুগের। ছেলে যুগের কর্ড ব্লাডও সংরক্ষণ করে রেখেছেন তাঁরা।