মেয়ের কেরিয়ারের জন্য দিল্লি থেকে মুম্বই চলে আসে চৌহান পরিবার। নতুন শহরে শুরুর দিকে চলার পথ খুব মসৃণ ছিল না। অর্থকষ্টে পড়তে হয়েছিল পরিবারকে। সে সময়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন কিশোরী সুনিধি। কল্যাণজি আনন্দজি-র গ্রুপে শিশুশিল্পী হিসেবে গান গাইতেন। ‘লিটল ওয়ান্ডার্স’ ট্রুপে তিনি ছিলেন শিশুশিল্পী। এরপর জলসায় সুযোগ আসতে দেরি হয়নি। তবে সুনিধির বাবার ইচ্ছে ছিল, মেয়ে প্লেব্যাক করুক।
মাত্র ১১ বছর বয়সে নিধি ‘মেরি আওয়াজ শুনো’-তে বিজয়িনী হন। তার আগে তিনি গান গেয়েছিলেন অভিনেত্রী তবসুমের শো ‘তবসুম হিট প্যারাড’-এ। তিনি-ই পরিচয় করিয়ে দেন কল্যাণজি আনন্দজি-র সঙ্গে। কল্যাণজি তাঁর নাম নিধি থেকে পাল্টে করে দেন সুনিধি। তাঁর মনে হয়েছিল ‘সু’ শব্দটি সৌভাগ্য বয়ে আনবে। এবং তাঁর পূর্বাভাস সব দিক দিয়ে সত্যি হয়েছিল।
১৯৯৫ সালে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মঞ্চে গান করেন সুনিধি। তাঁর গান শুনে আদেশ শ্রীবাস্তব তাঁকে ‘শাস্ত্র’ ছবিতে প্লেব্যাকের সুযোগ দেন। মেরি আওয়াজ শুনো-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সুনিধির কাছে প্লেব্যাকের সুযোগ আসতে থাকে। নয়ের দশকের শেষ দিকে বলিউডে সুনিধি-যুগের সূচনা। তাঁর গলায় ‘মস্ত’ ছবির ‘রুকি রুকি সি’, ‘মিশন কাশ্মীর’-এর ‘বুমরো’ এবং ‘ফিজা’-র ‘মেহবুব মেরে’ তুমুল জনপ্রিয় হয়।
তথাকথিত সুরেলা কণ্ঠ না হয়েও সুনিধি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। ঈষৎ ভাঙা গলাতেই তিনি অনন্য। ‘আজনবি’, ‘চামেলি’, ‘ধুম’,‘এহসাস’, ‘ইয়াদেঁ’, ‘আওয়ারা পাগল দিওয়ানা’, ‘ওমকারা’, ‘আ জা নাচ লে’, ‘রব নে বনা দে জোড়ি’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘গুজারিশ’, ‘তিস মার খান’, ‘লভ আজ কাল’, ‘দিল ধড়কনে দো’-সহ অসংখ্য বক্সঅফিস সফল ছবিতে গান গেয়েছেন সুনিধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy