একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি অন্যান্য বাঙালি মডেল, বিপাশা বসু, কোয়েনা মিত্র বা সেলিনা জেটলির মতো হতে চান কিনা। তিনি প্রশ্নটিকে সুন্দর করে এড়িয়ে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি গীতা দত্ত, দেবীকা রানি ও কানন দেবীর মতো পারফর্মার হতে চান।

শোনা যায়, নিজের বৌদি রমাকে বিয়ে করেন সেতার বাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দুই কন্যা হয়। ঠাকুর পরিবারে বিয়ে হয় ব়ড় মেয়ের। বিদেশে থাকেন। ছোট মেয়ে দেবদত্তা। ১৯৮৬ সালের ২৭ জানুয়ারি দেবদত্তার জন্মদিনে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নিখিল।

আর্যা নিজেও শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিখেছেন। স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে। তবে, বাবার কাছে তালিম নেওয়ার সুযোগ হয়নি। পরে তিনি শাস্ত্রীয়সঙ্গীত চর্চাও করেননি সে ভাবে।

২০১৫ সালে আর্যা একটি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। ভারসোভার ফ্ল্যাটের ভা়ড়া দিচ্ছিলেন না ঠিক মতো। সেই নিয়ে ঝামেলা হয় বাড়িওয়ালির সঙ্গে। সেই রাতেই পুলিশ এসে পৌঁছায় সেখানে। আর্যা মদ্যপ অবস্থায় মুম্বইয়ের ভারসোভা থানার মহিলা অফিসারদের মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে মুম্বই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। সেই রাতেই স্থানীয় এক হাসপাতালে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

যোধপুর পার্কে থাকাকালীনও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী। সেই ফ্ল্যাটেই ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা একা থাকতেন। শোনা যায়, তাঁকেও মারধর করেছিলেন আর্যা। সে দিনই বৃদ্ধাকে নিয়ে তাঁর মেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করান এবং লেক থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ একটি মামলা রুজু করে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

আর্যার মৃত্যুর পর তাঁর পরিচারিকা চন্দনা ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি খুব একটা বেশি বাইরে বেরতেন না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন মিশতেন না। পরিচারিকার সঙ্গেও প্রয়োজন ছাড়া বাক্যালাপ হত না।

মায়ের মৃত্যুর পর থেকে একাই থাকতেন আর্যা। কোভিড অতিমারির সময় থেকে যোধপুর পার্কের ফ্ল্যাটে ছিলেন। তাঁর একটি পোষা কুকুর রয়েছে। কেবল তাঁর সঙ্গেই সময় কাটাতেন আর্যা। বেশ কিছু দিন ধরে অনলাইনে খাবার অর্ডার করতেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি বাইরে থেকে কোনও খাবার অর্ডার করেছিলেন কি না বা তিনি কাকে কাকে ফোন করেছিলেন, সব তথ্য জোগাড় করা হবে। গোটা শহর এখন সেই সব উত্তরের জন্যই অপেক্ষা করছে।