Kangana Ranaut’s Protest on Sushant Singh Rajput’s Death Has Been Appreciated on Social Media dgtl
bollywood
কর্ণকে ‘মুভি মাফিয়া’ বলেন কঙ্গনা, মুখের উপর অভিযোগ করেন নতুনদের কাজ করতে না দেওয়ার
স্বজনপোষণকারীরা সুশান্তকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি। সেই হতাশা থেকেই এমন চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন সুশান্ত, যা কার্যত খুনই, বলছেন কঙ্গনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ১৪:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
প্রতিবাদী হিসেবে সুনাম এবং দুর্নাম, ইন্ডাস্ট্রিতে দুইয়েরই ভাগীদার হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অকালমৃত্যুর পর তীব্র ভাষায় সোচ্চার হয়ে নিজের ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন পর্দার মণিকর্ণিকা।
০২১৬
স্বজনপোষণ প্রশ্নে বহু দিন ধরেই সোচ্চার কঙ্গনা। এর আগে সরাসরি তিনি কর্ণ জোহরকে অভিযুক্ত করেছিলেন। সেই টক শো-এর অংশবিশেষ এখন ভাইরাল।
০৩১৬
সেখানে কঙ্গনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সইফ আলি খানও। কথা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, তাঁর বায়োপিক হলে কর্ণ সেখানে থাকবেন ‘মুভি মাফিয়া’ হিসেবে। যিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগতদের কাজ করতে দেন না। তাঁর মতে কর্ণই যে বলিউডে স্বজনপোষণ নীতির ধারক ও বাহক, সে কথা প্রকাশ্যেই বলেন সিনেমার কুইন।
০৪১৬
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু নিয়েও কারও নাম না করে কর্ণ জোহর ও তাঁর অনুগামীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কঙ্গনা রানাউত।
০৫১৬
তাঁর অভিযোগ, ‘কাই পো চে’, ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ এবং ‘ছিছোড়ে’র মতো ছবি করা সত্ত্বেও বলিউডে সুশান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি।
০৬১৬
স্বজনপোষণকারীরা সুশান্তকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি। সেই হতাশা থেকেই এমন চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন সুশান্ত, যা কার্যত খুনই, বলছেন কঙ্গনা।
০৭১৬
নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রায় দু’মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে কঙ্গনা বলেন, “সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেও কেউ কেউ অন্য যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বলা হচ্ছে মানসিক ভাবে দুর্বল ব্যক্তিরাই অবসাদগ্রস্ত হন এবং আত্মহত্যা করেন।”
০৮১৬
কিন্তু সেই প্রসঙ্গে কঙ্গনার প্রশ্ন, যে ছেলে স্ট্যানফোর্ডের স্কলারশিপ পান, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষায় যিনি র্যাঙ্ক করেন, সেই ছেলের মস্তিষ্ক দুর্বল হয় কী করে?
০৯১৬
নিজের অভিনয়ের মতো পর্দার বাইরেও সমান সাবলীল কঙ্গনা। স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত এই নায়িকা মনে করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে অসহায়তা কুরে কুরে দগ্ধ করছিল সুশান্তকে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে থাকা অভিনেতা বাধ্য হন সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি আবেদন করতে। যাতে অনুরাগীরা তাঁর ছবি দেখেন।
১০১৬
সুশান্তের অপমৃত্যুকে কার্যত খুন হিসেবেই দেখছেন কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে উচ্ছিষ্ট বলে মনে করতেন সুশান্ত। মাত্র চৌত্রিশেই শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে কি এর কোনও সম্পর্ক নেই? জানতে চেয়েছেন কঙ্গনা।
১১১৬
কিন্তু কেন সুশান্তকে কোণঠাসা করা হয়েছিল বলে মনে করেন কঙ্গনা? ‘রিভলবার রানি’ ছবির অলকা সিংহের সাফ জবাব, বাইরে থেকে এসে, শুধু প্রতিভার জোরে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন সুশান্ত। সেটা সহ্য হয়নি প্রভাবশালীদের।
১২১৬
তাই ‘কাই পো চে’ থেকে ‘ছিছোড়’ কোনও ছবিতেই, কেরিয়ারে প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি সুশান্তকে। নবাগত বা প্রতিষ্ঠিত কোনও ভূমিকাতেই তিনি বাহবা পাননি।
১৩১৬
শুধু সুশান্তকেই নয়। তাঁকেও একসময় আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন কঙ্গনা। সে সময় হৃতিক তথা রোশন পরিবারের সঙ্গে তিক্ততা চরমে পৌঁছেছিল কঙ্গনার।
১৪১৬
জীবনের সেই দুঃসময়ে তথাকথিত হিতৈষীরা তাঁকে আত্মহত্যার উস্কানি দিতেন বলে দাবি কঙ্গনরা। জাভেদ আখতার নাকি বলেছিলেন, ক্ষমা না চাইলে ক্ষমতাবান রোশন পরিবার তাঁকে জেলে পাঠাবে। তখন অত্মহত্যা করা ছাড়া কঙ্গনার আর পথ থাকবে না!
১৫১৬
সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে কঙ্গনা দাবি করেন, তিনি চুপ করে বসে সে দিন শুনেছিলেন জাভেদের হুমকি। আর ভয়ে ঠকঠকিয়ে কেঁপেছিলেন। জাভেদ নাকি তখন স্থান-কাল ভুলে চিৎকার করছিলেন।
১৬১৬
কঙ্গনার প্রশ্ন, ‘হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চাইলে আত্মঘাতী হতে হবে?’ নিজের এই প্রতিবাদী ভাবমূর্তিতে অসংখ্য ভক্ত ও নেটাগরিকদের পাশে পেয়েছেন কঙ্গনা। টিনসেল টাউনের লৌহমানবীর ইস্পাতকঠিন মানসিকতাকে আরও এক বার কুর্নিশ জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বড় অংশ।