Aditya Chopra left no stone unturned to marry Rani Mukherji dgtl
bollywood
রানিকে পছন্দ করতেন না চোপড়া পরিবারের কেউই, ডিভোর্স পেতে হোটেলে আশ্রয় নেন আদিত্য
তাঁদের প্রেম বহু ওঠাপড়া দেখেছে। রানিকে চোপড়া পরিবারে কেউ পছন্দ করতেন না। আদিত্যর মা তথা যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলাও ছিলেন এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
অদিত্য চোপড়া এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের প্রেম পর্ব হার মানায় যে কোনও সুপারহিট হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যকে। প্রযোজক আদিত্যকে বিয়ে করার সময় রানির নামে অপবাদ উঠেছিল তিনি সংসার ভেঙে দেন।
০২১৬
সমসাময়িক নায়িকাদের থেকে কিছুটা দেরিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন রানি। বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ‘রাজা কি আয়েগি বরাত’ ছবি দিয়ে। কিন্তু রানিকে কোনও দিন ‘বি গ্রেড ছবির নায়িকা’ হিসেবে দেখেননি আদিত্য।
০৩১৬
শোনা যায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে টিনার ভূমিকায় রানিকে নেওয়ার জন্য আদিত্যই বলেছিলেন কর্ণ জোহরকে। এই ছবির পরে রানিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
০৪১৬
আদিত্য-রানির বন্ধুত্বের কথা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বলিউডে রানিকে আক্ষরিক অর্থে ‘রানি’ করেছিলেন আদিত্যই। টিনসেল টাউনে সকলে বুঝেছিল রানির পিছনে আদিত্য আছেন।
০৫১৬
কিন্তু তাঁদের প্রেম বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী। রানিকে চোপড়া পরিবারে কেউ পছন্দ করতেন না। আদিত্যর মা তথা যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলাও ছিলেন এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে।
০৬১৬
কিন্তু প্রথম স্ত্রী পায়েলের সঙ্গে আদিত্যর সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। তিনি যে করেই হোক বিয়ে থেকে মুক্তি চাইছিলেন।
০৭১৬
‘কভি আলবিদা না কহেনা’ ছবির শ্যুটিং শেষে বাড়িতেই ফেরেননি আদিত্য। পরিবর্তে তিনি একটি পাঁচতারা হোটেল ছিলেন। বাড়ির লোকের কাছে শর্ত রাখেন, যদি তাঁর প্রথম স্ত্রী পায়েল বাড়ি ছেড়ে চলে যান, তবেই তিনি ফিরবেন।
০৮১৬
যশ এবং পামেলা চোপড়া ছেলের এই দাবি মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। কারণ, তাঁরা পায়েলকে ভালবাসতেন। কিন্তু শোনা যায়, শেষ অবধি আদিত্য হুমকি দেন, ডিভোর্স করতে না পারলে তিনি আলাদা প্রোডাকশন হাউস খুলবেন।
০৯১৬
এই সময় শোনা যেতে থাকে, আদিত্য ও রানি এ বার সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছেন। সে সময় রানি সাক্ষাৎকারে বলেওছিলেন তিনি আদিত্যর শুধুই ভাল বন্ধু। আদিত্য ডিভোর্স করার পরে তবেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে ভাববেন তাঁরা।
১০১৬
অন্য দিকে পায়েল ছিলেন চোপড়া পরিবারে প্রিয় বধূ। তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও পায়েল ছিলেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
১১১৬
কিন্তু পায়েল জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। বিচ্ছেদের পরে তিনি চোপড়া পরিবার ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান।
১২১৬
রানি এবং আদিত্য দু’জনেই কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক লুকিয়ে রেখেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তাঁরা কোনও দিন মুখ খুলতেন না। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন জোরালো হয় ‘বীর জারা’ ছবির সময়ে। তখন আদিত্যর জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে যেতেন রানি।
১৩১৬
বিয়ের আগে থেকেই আদিত্যর যোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন রানি। যশ চোপড়ার মৃত্যুর পরে তিনি আদিত্যর পাশে ছিলেন মানসিক শক্তির স্তম্ভের মতো।
১৪১৬
২০১২ থেকেই তাঁদের বিয়ের গুঞ্জন জোরালো হয়। এর পর এক অনুষ্ঠানে শত্রুঘ্ন সিংহ প্রকাশ্যে রানিকে সম্বোধন করেন ‘রানি চোপড়া’ বলে। ফলে সম্ভাবনা আরও পোক্ত হয়ে ওঠে।
১৫১৬
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল আদিত্য ও রানি যৌথ ভাবে জানান, তাঁরা বিয়ে করেছেন। পরের বছর জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র মেয়ে আদিরার।
১৬১৬
তবে বিয়ের পরেও নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রেখেছেন আদিত্য ও রানি। মেয়ে আদিরাকেও তাঁরা রেখেছেন প্রচারের আলো থেকে দূরেই।