Dubai Hindu temple is open for public on Dusshera dgtl
Dubai
১৬ দেবতার ‘বাসস্থান’, ১৩১ কোটি টাকায় তৈরি দুবাইয়ের এই মন্দির দর্শনে লাগে অনলাইন বুকিং
৫ অক্টোবর, বুধবার সবার জন্য খুলে দেওয়া হল দুবাইয়ের হিন্দু মন্দির। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১১:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
৫ অক্টোবর, বুধবার সবার জন্য খুলে দেওয়া হল দুবাইয়ের হিন্দু মন্দিরের দরজা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এটি। এক নজরে দেখলে, যে কোনও বিলাসবহুল আবাসনের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে এই মন্দির।
০২১৪
৭০ হাজার বর্গফুট এলাকার উপর এই মন্দিরটি বানাতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায়১৩১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা)।
০৩১৪
এই হিন্দু মন্দিরের মূল আকর্ষণ হল দেবতাদের মূর্তির সংখ্যা। কোনও নির্দিষ্ট দেবতা নন, ১৬টি ভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। মন্দির নির্মাতার মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে।
০৪১৪
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
০৫১৪
দুবাইয়ের জেবেল আলি এলাকা যা ‘ওয়ারশিপ ভিলেজ’ নামে বেশি প্রসিদ্ধ, সেখানেই গড়ে উঠেছে এই বিশালাকার মন্দির।
০৬১৪
মন্দিরের আদল, দেওয়ালের নকশা লক্ষ করলে দেখা যায়, এখানে রয়েছে আরব এবং হিন্দু সংস্কৃতির মেলবন্ধন।
০৭১৪
সাদা মার্বেলের তৈরি এই মন্দিরের সঙ্গে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।
০৮১৪
এই মন্দিরের গম্বুজ আলাদা ভাবে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উত্তর ভারতের মন্দিরের গম্বুজ যে আদলে তৈরি, এখানেও সেই ছাপ রয়েছে। গোলাপি রঙের একটি থ্রি-ডি পদ্মও দেখা যায় এই গম্বুজে।
০৯১৪
মন্দিরের তলায় দু’টি বেসমেন্ট ছাড়াও আরও দুই তলা জুড়ে মন্দির বানানো হয়েছে।
১০১৪
একসঙ্গে ১০০০ থেকে ১২০০ দর্শনার্থী এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।
১১১৪
পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এই মন্দিরে আলাদা ভাবে শেখানো হয় ভরতনাট্যম এবং গীতা পাঠ।
১২১৪
সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে এই মন্দির দর্শনের জন্য পর্যটকদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিউআর কোড স্ক্যান করে মন্দিরের ভিতরে ঢুকেছিলেন পর্যটকরা।
১৩১৪
জনসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পর ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে। ভিড় এড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুক করে মন্দিরে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।
১৪১৪
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মন্দির খোলা থাকে। ভবিষ্যতে শুধু মাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করেই মন্দিরে প্রবেশ করানো যায় কি না, এই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানা গিয়েছে।