নেটমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি পোস্টও করেন নিনা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডে যোগ দেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে আমাকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। তিন-চার জন পুরুষ অবতার, যাদের গলার স্বরও পুরুষের ছিল, তাঁরা আমাকে ভার্চুয়ালি ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে নেন।’ নিনা আরও লিখেছেন, ‘ঘটনার সময় ওই অবতারদের ব্লক ও রিপোর্ট করার চেষ্টাও করেও সফল হইনি।’ শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটটি খুলে ফেলতে বাধ্য হন এবং সেটিকে বন্ধ করে দেন।
তাঁদের মতে, ভারতে অনলাইন হয়রানির শিকারদের অনেকে। তাঁরা ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ধারা ৩৫৪এ, ৩৫৪ডি, ৪৯৯, ৫০৭, ৫০৮ ইত্যাদি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬সি, ৬৬ডি, ৬৬ই, ৬৭ এবং ৬৭এ-র মধ্যে যে কোনও আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু মেটাভার্সে হয়রানির জন্য কোনও অবতারকে কোন আইনে দণ্ড দেওয়া হবে তা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ, এখানে সরাসরি স্পর্শের কোনও ব্যাপার নেই এবং এই অবতারগুলি যে কেউ হতে পারে। কোনও প্রাপ্তবয়স্ক একটি বাচ্চা বা কোনও মহিলার অবতারও গ্রহণ করতে পারে। কোনও সংস্থার কাছে এখনও অবধি কোনও অবতারের পরিচয়ের সত্যতা নির্ণয়ের উপায়ও নেই।
মেটাভার্স, যা কিনা একটি ডিজিটাল দুনিয়া সেখানেও অনেককে বাস্তব দুনিয়ার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বাস্তব দুনিয়ার মতে এখানেও হেনস্থার শিকারিদের হেনস্থার প্রমাণ জোগাড় করতে হচ্ছে নিজেদের রক্ষা করার তাগিদে। বাস্তব সমাজে অনেক লড়াইয়ের পর এই ধরনের আলোচনা মূল স্রোতে জায়গা করে নিলেও, মেটাভার্সের মতো নতুন দুনিয়ার ক্ষেত্রে তা এখনও অনেক দেরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy