Chinese Army has single weak point in comparison with Indian Army dgtl
Chinese Army Weakness
শক্তির নিরিখে আমেরিকাকেও টেক্কা! তবু ভারতের চেয়ে কোথায় পিছিয়ে চিনের সেনা?
শক্তির নিরিখে বিশ্বের তালিকায় এই মুহূর্তে চিন তৃতীয়। তার আগে কেবল আমেরিকা এবং রাশিয়ার সেনা। তবু ভারতীয় সেনার সঙ্গে তুলনায় চিনের একটি দুর্বলতা ধরা পড়ে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ০৮:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
শক্তির নিরিখে আমেরিকা, রাশিয়াকে সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে চলে চিন। সেনাবাহিনীর দক্ষতা, কৌশল এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর অস্ত্রশস্ত্রের জোরে চিনের লালফৌজ সারা বিশ্বের অন্যতম ত্রাস।
০২১৮
এই মুহূর্তে সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের তালিকায় চিন আছে তৃতীয় স্থানে। তাদের আগে কেবল আমেরিকা এবং রাশিয়ার সেনার অবস্থান। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই দুই দেশকেও অনায়াসে টপকে যেতে পারে ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’।
০৩১৮
২০২১ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সে বছর আমেরিকা, রাশিয়া-সহ অন্য সকল দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল চিনের সেনা। শক্তির নিরিখে তারাই পৌঁছে গিয়েছিল শীর্ষে।
০৪১৮
বিশ্বে সামরিক বাহিনীর তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যায়, ভারতও খুব একটা পিছিয়ে নেই। আমেরিকা, রাশিয়া কিংবা চিনের সেনাবাহিনীর শক্তি ভারতের চেয়ে বেশি ঠিকই, তবে নয়াদিল্লির র্যাঙ্ক কম কিছু নয়।
০৫১৮
ভারতীয় সেনা সামরিক শক্তির নিরিখে আছে চতুর্থ স্থানে। অর্থাৎ, আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই তার স্থান। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের জোগান এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বার বার সীমান্ত সংঘাত সেনার শক্তি বৃদ্ধি করেছে।
০৬১৮
সামরিক শক্তির এই তালিকায় ভারতের পরে আছে জাপান। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র অত্যন্ত উন্নত। সেই সঙ্গে আমেরিকার সহযোগিতা দেশটিকে সামরিক দিক থেকে এত শক্তিশালী করে তুলেছে।
০৭১৮
জাপানের পরে বিশ্বের ষষ্ঠ শক্তিশালী সেনাবাহিনী আছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। এই দেশের বায়ুসেনা, নৌসেনা যথেষ্ট শক্তিশালী। শুধু দেশটিতে জনসংখ্যা কম হওয়ায় সেনাবাহিনীর লোকবলও কম।
০৮১৮
দক্ষিণ কোরিয়ার পরে সেনার শক্তি সবচেয়ে বেশি ফ্রান্সে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্স সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর অধিকারী। এই দেশে বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হয় এবং তা বিদেশে রফতানি করা হয়।
০৯১৮
বিশ্বের অষ্টম শক্তিশালী সেনাবাহিনী ব্রিটেনের। ইউরোপে তারা সামরিক শক্তির নিরিখে দ্বিতীয়। ব্রিটেনের সেনা বহু যুদ্ধে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। দু’টি বিশ্বযুদ্ধেই এই সেনার দক্ষতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
১০১৮
সেনার তালিকায় ব্রিটেনের পর আছে ব্রাজিল। এটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর অধিকারী। ব্রাজিলের সেনার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫০০। মহাদেশের মধ্যে সেনার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যয় বরাদ্দ করে এই দেশ।
১১১৮
পাকিস্তানের সেনা বিশ্বের দশম শক্তিশালী। এই দেশও সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল অর্থ খরচ করে। দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কটও সেনার প্রতিপত্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে না।
১২১৮
র্যাঙ্কিংয়ে চিনের সেনা ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অস্ত্রশস্ত্র, প্রযুক্তির ব্যবহার, সেনা কাঠামো, সব দিক থেকেই ভারতের চেয়ে এগিয়ে চিন। কিন্তু দিল্লি বেজিংকে হারিয়েছে কেবলমাত্র একটি জায়গায়।
১৩১৮
চিন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এই দেশের সেনায় তাই লোকবলের অভাব নেই। লোকবলের দিক থেকে চিনা সেনাই বিশ্বে সকলের চেয়ে এগিয়ে।
১৪১৮
কিন্তু চিনের এই বিশাল সেনা শেষ বার যুদ্ধ করেছিল আজ থেকে ৪৪ বছর আগে। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধেই লালফৌজের রণকৌশল দেখা গিয়েছিল শেষ বার। তার পর থেকে ৪৪ বছর চিন আর কোনও যুদ্ধ করেনি।
১৫১৮
অন্য দিকে, ভারত শেষ বার যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, মাত্র ২৪ বছর আগে। কার্গিলের সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনা জয় পেয়েছিল। তখনই ভারতীয় সেনার পারদর্শিতা শেষ বার দেখেছিল দুনিয়া।
১৬১৮
যুদ্ধের সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সেনার ক্ষমতা, চিন দিনের পর দিন তার সামরিক শক্তি যতই বাড়িয়ে চলুক না কেন, তারা রণকৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়নি দীর্ঘ ৪৪ বছর।
১৭১৮
চিনা সেনাবাহিনীতে বর্তমানে যে জওয়ানেরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের যুদ্ধের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। ফলে ভারত এ ক্ষেত্রে চিনের চেয়ে এগিয়ে।
১৮১৮
২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে চিনের লালফৌজের সঙ্গে ভারতের সংঘাত হয়েছিল বটে, তাতে প্রাণহানিও হয়েছিল। কিন্তু এই দুই দেশ যুদ্ধের মাঠে মুখোমুখি হলে অভিজ্ঞতার নিরিখে কিছুটা হলেও তাই এগিয়ে থাকবে ভারত। এমনটাই মনে করেন সমর বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।