Bollywood producer Rakesh Roshan considered Aditya Chopra's advice for the ending of Koi...Mil Gaya movie dgtl
Hrithik Roshan
শেষ মুহূর্তে চিত্রনাট্যে বদল, পর পর ফ্লপের পর হৃতিকের কেরিয়ার বদলে দিয়েছিলেন যশ-পুত্র
বলি পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র হিসাবে নয়, বরং অভিনেতা হিসাবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন হৃতিক রোশন। কিন্তু তাঁর পেশাগত জীবনে নয়া মাইলফলক গড়ার নেপথ্যে রয়েছেন বলিপাড়ার প্রথম সারির ছবি নির্মাতা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১৫:১৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
কেরিয়ার শুরুর তিন বছরের মধ্যে বলিউডে পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছিলেন হৃতিক রোশন। বলি পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র হিসাবে নয়, বরং অভিনেতা হিসাবে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন হৃতিক। কিন্তু হৃতিকের কেরিয়ারে নয়া মাইলফলক গড়ার নেপথ্যে ছিলেন বলিপাড়ার প্রথম সারির ছবি নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।
০২১৫
২০০০ সালে বাবার হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন হৃতিক। রোম্যান্টিক ঘরানার ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবিটি মুক্তির পর বলি ইন্ডাস্ট্রির নবাগত অভিনেতা হিসাবে দর্শকমহলের কাছে বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন হৃতিক।
০৩১৫
হৃতিকের কেরিয়ারের প্রথম ছবি বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করে। তার পর কখনও বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গে, কখনও বা সুভাষ ঘাই এবং কর্ণ জোহরের মতো বলিপাড়ার নামকরা ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেন হৃতিক।
০৪১৫
কেরিয়ার শুরুর তিন বছরের মধ্যে হৃতিকের ঝুলিতে হিট ছবির পাশাপাশি ফ্লপ ছবিও জোটে। ২০০২ সালের শেষের দিকে হৃতিকের কেরিয়ারের রেখচিত্র নিম্নমুখী হতে শুরু করে। সেই সময় রাকেশ বলিউডে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের ছবির মাধ্যমে হৃতিকের কেরিয়ারে বদল আনার চেষ্টা করেন।
০৫১৫
কল্পবিজ্ঞানে মোড়া চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করে ‘কোই...মিল গয়া’ ছবিটির শুটিং শেষ করেন রাকেশ। তাঁর পরিচালিত এই ছবিতে হৃতিকের পাশাপাশি অভিনয় করতে দেখা যায় রেখা এবং প্রীতি জ়িন্টাকে।
০৬১৫
তবে ‘কোই...মিল গয়া’ ছবিটি দর্শকের মনে ধরবে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন রাকেশ। শেষ পর্যন্ত ছবির প্রযোজক যশ চোপড়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যশের পুত্র আদিত্য চোপড়াও।
০৭১৫
রাকেশ তাঁর ছবির চিত্রনাট্যের খসড়া পড়ে শোনান যশ এবং আদিত্যকে। ছবির অন্তিম পর্বে সামান্য বদল আনার পরামর্শ দেন যশ। তিনি জানান, জাদু নামের ভিন্গ্রহী রাহুলকে (হৃতিক রোশন) যা শক্তি দিয়েছিল, তা আবার ফেরত নিয়ে নেবে।
০৮১৫
যশের মতের বিরোধিতা করেন আদিত্য। তিনি বলেন, ‘‘রাহুলের কাছে যেন সব ক্ষমতা ফিরে আসে। অন্তিম দৃশ্যে এই চমক থাকলে তবেই তা দর্শকের নজর কাড়বে।’’
০৯১৫
আদিত্যের পরামর্শ মনে ধরে রাকেশের। সেই অনুযায়ী চিত্রনাট্যের অন্তিম পর্বে বদলও করেন তিনি। ২০০৩ সালে ৮ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কোই...মিল গয়া’ ছবিটি। ৩৫ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ৮২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে।
১০১৫
‘কোই...মিল গয়া’ ছবিটির সাফল্যের তিন বছরের মধ্যে তার সিকুয়েল ‘কৃশ’ ছবিটি মুক্তি পায়। পর পর তিনটি ছবি নিয়ে তৈরি হয় এই ফিল্ম সিরিজ়।
১১১৫
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, ‘কৃশ’ ফিল্ম সিরিজ়ের চতুর্থ পর্ব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। হৃতিকের পাশাপাশি নোরা ফতেহি, অমিতাভ বচ্চনকে দেখা যেতে পারে এই ছবিতে। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানা যায়নি।
১২১৫
‘কোই...মিল গয়া’ ছবির পরিকল্পনা রাকেশের মাথায় আসে তাঁর নাতনির জন্য। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। রাকেশের কন্যা সুনয়না রোশনের কন্যার কাছে ভিন্গ্রহীদের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাকেশ।
১৩১৫
রাকেশ বলেন, ‘‘এক দিন আমার চোখে পড়ে আমার নাতনি টিভিতে ভিন্গ্রহীদের কার্টুন দেখছে। কার্টুনের গল্প জিজ্ঞাসা করায় ও সব গড়গড় করে বলে দিল। তখন আমি বুঝলাম যে বাচ্চারা ভিন্গ্রহীদের গল্প ভালবাসে, সেই গল্প বোঝে। তখন এই নিয়ে ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিই আমি।’’
১৪১৫
রাকেশের বক্তব্য, ‘‘আমি এমন ধরনের ভিন্গ্রহী তৈরি করতে চেয়েছিলাম যাকে দেখে বাচ্চারা ভয় পাবে না। তাই বাচ্চাদের যেমন উচ্চতা হয় তার সঙ্গে মিল রেখে ওই আদলেই জাদুকে তৈরি করি।’’
১৫১৫
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, আদিত্য আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন যে, ‘কোই...মিল গয়া’ ছবিটি ভাল ব্যবসা করবে। কাহিনির অন্তিম পর্বে তিনি সেই কারণেই বদল আনতে বলেছিলেন। পরে এই ছবির উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় ফিল্ম সিরিজ়। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, আদিত্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই হৃতিকের কেরিয়ারগ্রাফ আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়।