Bollywood actor Sanjay Dutt opens up about his drug addiction, carried one kg heroin in airport once dgtl
Sanjay Dutt
মহিলাদের সঙ্গে মেশার জন্য নেশা করতেন, মোজার ভিতর মাদক লুকিয়ে বিমানে ওঠেন সঞ্জয় দত্ত
সঞ্জয়ের দাবি, কলেজে পড়ার সময় থেকেই নেশা করা শুরু করেছিলেন তিনি। স্রেফ শখের কারণে বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করতেন অভিনেতা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১২:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
আশির দশকে প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। অভিনয়ের জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নিলেও সঞ্জয় ছিলেন বলিপাড়ার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৪
মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়ে প়ড়া থেকে শুরু করে বেআইনি পথে অস্ত্র রাখার কারণে জেলেও যেতে হয়েছে সঞ্জয়কে। কিন্তু সঙ্গিনীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে নায়কের।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৪
এমনকি, মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই নাকি মাদকের নেশায় ডুবেছিলেন স়ঞ্জয়। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। আমার বন্ধুরা বলেছিল, নেশা করলে মেয়েদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলার আত্মবিশ্বাস জন্মায়। সেই লোভেই নেশা করা শুরু করি আমি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৪
সঞ্জয়ের দাবি, কলেজে পড়ার সময় থেকেই নেশা করা শুরু করেছিলেন তিনি। স্রেফ শখের কারণে বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করতে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু তা যে কখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেননি সঞ্জয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৪
হেরোইন থেকে শুরু করে সব ধরনের মাদকের নেশা করেছিলেন সঞ্জয়। অভিনেতা জানান, তাঁর জীবনে এমন এক সময় এসেছিল যখন তিনি মাদক ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতেন না।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৪
সঞ্জয় জানান, কলেজ ছাড়ার ন’বছর পরেও মাদকের নেশা ছাড়তে পারেননি তিনি। ১৯৮১ সালে যখন তাঁর প্রথম ছবি ‘রকি’ মুক্তি পায়, তখন আরও বেশি মাত্রায় মাদক নিতেন তারকা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৪
‘রকি’ ছবির শুটিংয়ের সময় সঞ্জয়ের মা ক্যানসারে সঙ্গে লড়াই করছিলেন। মাদক না নিলে সেই পরিস্থিতিতে নিজেকে সামাল দিতে পারতেন না বলে দাবি করেন নায়ক।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৪
নিজের জীবনের অন্ধকার অধ্যায় নিয়েও সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি আলোচনা করেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘হেরোইন নিয়ে আমি এক দিন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙার পর দেখি খুব খিদে পেয়েছে। আমার ভৃত্যকে গিয়ে কিছু খেতে দিতে বলি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৪
সঞ্জয়কে দেখে নাকি তাঁর ভৃত্য কেঁদে ফেলেছিলেন। সঞ্জয়ের তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন পর আপনার জ্ঞান ফিরল।’’ শুনেই আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে ছুটে যাই আমি। নিজেকে দেখে কেঁদে ফেলি। তার পর সোজা বাবার কাছে যাই। মাদকের নেশা কাটানোর জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রেও গিয়েছিলেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৪
এক বার সঞ্জয় তাঁর দুই বোন প্রিয়া এবং নম্রতাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে যাত্রা করছিলেন। কিন্তু বিমানে থাকার সময়টুকুও মাদক ছাড়া থাকতে পারছিলেন না অভিনেতা।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৪
সঞ্জয় বলেন, ‘‘বিমানে তখন নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি ছিল না। তাই মোজার ভিতরে এক কেজি ওজনের হেরোইন লুকিয়ে রেখেছিলাম। কোথাও ধরাও পড়িনি আমি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৪
কিন্তু পরে মাদক নিয়ে বিমানে ওঠার ঘটনা মনে পড়লে শিউরে ওঠেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি খুব ভয় পাই যখন এই ঘটনাটি মনে পড়ে। আমার তো জেল হতই। কিন্তু আমার দুই বোনের কী হত? পুরো পরিবারের বিপদ ডেকে আনতাম আমি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৪
সঞ্জয় জানান, জেলে থাকার সময় তাঁর সমস্ত অহঙ্কার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘চোর, ডাকাতদের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকতাম আমি। ওই অবস্থায় ছিলাম বলেই আগের তুলনায় আমি অনেক বেশি সহনশীল হয়েছি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৪
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যুবক-যুবতীদের উদ্দেশে সঞ্জয় বলেন, ‘‘জীবনে যদি ‘হাই’ হতে চাও, তা হলে ভাল কাজ করো। নিজের পরিচিতি তৈরি করো। নেশা করে ‘হাই’ হয়ে কোনও লাভ নেই। নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে।’’