বুলি ফোটার আগেই কোটিপতি! মাত্র চার মাস বয়সে ২৪০ কোটির মালিক, কে সেই ভাগ্যবান?
কে সেই ভাগ্যবান শিশু? কী ভাবেই বা সে এত সম্পত্তির মালিক হল?
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
বয়স মাত্র চার মাস। আর এই বয়সেই ২৪০ কোটি টাকার মালিক! কথা হচ্ছে ইনফোসিস কর্তা এন আর নারায়ণ মূর্তির নাতি একাগ্র নারায়ণমূর্তির।
০২১৫
একাগ্র নারায়ণ মূর্তির কনিষ্ঠ সন্তান রোহনের পুত্র। চার মাস আগেই জন্ম হয়েছে তার। তা হলে কী ভাবে মুখ থেকে বুলি ফোটার আগেই ২৪০ কোটির মালিক হয়ে গেল একাগ্র?
০৩১৫
এর নেপথ্যে রয়েছে দাদু নারায়ণমূর্তির হাত। সম্প্রতি নাতি একাগ্রকে ২৪০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ১৫ লক্ষ শেয়ার উপহার দিয়েছেন নারায়ণ মূর্তি।
০৪১৫
৭৭ বছর বয়সি নারায়ণমূর্তি শুক্রবারই ইনফোসিসের ০.০৪ শতাংশ শেয়ার নাতি একাগ্রের নামে হস্তান্তর করেছেন৷
০৫১৫
শেয়ার হস্তান্তরের পরে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সফ্টঅয়্যার পরিষেবা প্রদানকারী ইনফোসিসে নারায়ণৎমূর্তির শেয়ার ০.৪০ শতাংশ থেকে ০.৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
০৬১৫
বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) শুক্রবার ইনফোসিসের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ১,৬০২.৩০ টাকা।
০৭১৫
অর্থাৎ, নারায়ণ মূর্তি নাতি একাগ্রকে যে ১৫ লক্ষ শেয়ার দিয়েছেন, তার মোট মূল্য ২,৪০৩,৪৫০,০০০ টাকা।
০৮১৫
নারায়ণ মূর্তির পুত্র রোহন এবং অপর্ণা কৃষ্ণনের সন্তান একাগ্র। গত বছরের ১০ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে তার জন্ম।
০৯১৫
রোহন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন। আমেরিকার বস্টনে ‘সোরোকো’ নামে একটি সফ্টঅয়্যার সংস্থা রয়েছে তাঁর। অন্য দিকে, তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ‘মূর্তি মিডিয়া’র প্রধান।
১০১৫
নারায়ণ মূর্তি এবং স্ত্রী সুধা মূর্তির কন্যা অক্ষতারও দুই কন্যা রয়েছে—অনুষ্কা এবং কৃষ্ণা।
১১১৫
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে ২০০৯ সালে বিয়ে হয় অক্ষতার।
১২১৫
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর পর্যন্ত ইনফোসিসে সুধা মূর্তির শেয়ার ছিল ০.৯৩ শতাংশ। অন্য দিকে, অক্ষতা এবং রোহনের শেয়ারের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১.০৫ শতাংশ এবং ১.৬৪ শতাংশ৷
১৩১৫
অন্য ছয় সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে ১৯৮১ সালে ইনফোসিস শুরু করেছিলেন নারায়ণ। সব সহ-প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে অশোক অরোরা ১৯৮৯ সালে ইনফোসিস ছেড়ে আমেরিকা চলে যান।
১৪১৫
সম্প্রতি দেশের তরুণদের কাজ করা উচিত, তা নিয়ে ‘নিদান’ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন নারায়ণ।
১৫১৫
নারায়ণের দাবি ছিল, দেশে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তরুণদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করা উচিত।