Bihar man was killed by wife and her lover and cut into pieces like Shraddha Walkar Murder Case dgtl
Notorious Murder
টুকরো করে কাটা দেহে ঢেলে দেওয়া হয় রাসায়নিক! শ্রদ্ধার মতো নৃশংসতার শিকার রাকেশও
শ্রদ্ধা ওয়ালকর প্রথম নন। একই ধাঁচে মাস দুয়েক আগে খুন হয়েছিলেন বিহারের রাকেশ। অভিযোগ স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শ্রদ্ধার মতোই খুনের পর রাকেশের দেহ টুকরো করে কাটা হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা
পটনাশেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসে সাড়া ফেলে দিয়েছে। খুনের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৫
পুলিশের দাবি, খুনের পর প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গীর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছেন আফতাব। সেই দেহাংশ ফ্রিজে ভরে রেখেছেন দীর্ঘ দিন। নিয়মিত একটি করে টুকরো তিনি ফেলে আসতেন নিকটবর্তী জঙ্গলে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৫
তবে শ্রদ্ধা ওয়ালকরই প্রথম নন, একই ধাঁচে বছর খানেক আগে খুন হয়েছিলেন বিহারের রাকেশ। তাঁকে খুন করার অভিযোগ তাঁরই স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শ্রদ্ধার মতোই খুনের পর রাকেশের দেহ টুকরো করে কাটা হয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৫
পুলিশের দাবি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য সারা ফ্ল্যাট রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েছিলেন আফতাব। রাকেশের স্ত্রী রাধাও একই কাজ করেন। তাঁকে সাহায্য করেছিলেন প্রেমিক সুভাষ।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৫
তবে রাধা এবং সুভাষের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। রাসায়নিক দিয়ে প্রমাণ ধুয়ে ফেলার পরিকল্পনাই তাঁদের বিপদ ডেকে আনে। রাসায়নিকের বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তাঁদের কীর্তির কথা জানতে পারে পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৫
পুলিশ তদন্তে নেমে এ-ও জানতে পারে, রাধা এবং সুভাষ ছাড়াও রাকেশকে খুনে সহায়তা করেছেন রাধার বোন কৃষ্ণা এবং তাঁর স্বামী। ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৫
রাকেশ ছিলেন বিহারের সিকন্দরপুরের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেআইনি মদের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। সেই কারণে পুলিশের খাতায় তাঁর নাম ছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৫
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতেন রাকেশ। তিনি এক জায়গায় বেশি দিন থাকতেন না। বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর দেখাশোনা করতেন সুভাষ। সেই সূত্রেই তাঁদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৫
রাধা-সুভাষের সম্পর্কের কথা প্রতিবেশীরাও জানতেন বলে দাবি পুলিশের। এই সম্পর্কের জেরেই তাঁরা রাকেশকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৫
রাকেশকে খুন করার পর সুভাষের সাহায্য নিয়ে রাধা কেটে ফেলেন স্বামীর দেহ। বেশ কয়েক টুকরোয় সেই দেহ ভাগ করা হয়। এর পর খুনের প্রমাণ লোপাটে উদ্যোগী হন তাঁরা। অভিযোগ, এই কাজে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণা এবং তাঁর স্বামীও।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৫
খুন করে দেহ টুকরো করা হয়ে গেলে রাসায়নিক সংগ্রহ করে আনেন রাধারা। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, রাসায়নিক ব্যবহার করে রাকেশের দেহের টুকরোগুলি গলিয়ে ফেলা হবে।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৫
কিন্তু পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়নি। রাসায়নিক ঢেলে দেহ গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই শব্দে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে যান। খবর যায় রাকেশের ভাই দীনেশের কাছে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৫
বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে শুনে ছুটে আসেন দীনেশ। তিনি দেখেন, তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে। এর পরেই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বৌদির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও পুলিশকে জানান।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৫
গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর এই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাকেশের টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। এক বছর পর সেই ঘটনার স্মৃতি ফিরে এল আফতাব-শ্রদ্ধার হাত ধরে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৫
তবে আফতাবের সঙ্গে রাধা-সুভাষের পরিকল্পনার তফাৎ ছিল। পুলিশের দাবি, শ্রদ্ধার দেহ কেটে ফ্রিজে রেখেছিলেন আফতাব। প্রতি দিন টুকরো ফেলে আসতেন জঙ্গলে। ৬ মাস খুনের কথা আড়ালে রাখতে পেরেছিলেন তিনি।