Because of thrust faults and shrinking moonquake happens in lunar south pole dgtl
Moon
‘কুঁকড়ে’ যায় চাঁদের মাটি, তাই কি বার বার ভূকম্পন চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে? কারণ খুঁজছে নাসা
গত বছরের ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ভারত। সফল হয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান। এই সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান নামানো দেশগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
গত বছরের ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ভারত। সফল হয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান। এই সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান নামানো দেশগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম। এর আগে কেবল আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের সেই কৃতিত্ব ছিল।
০২১৬
শুধু তাই নয়, চাঁদের মাটি ছুঁয়ে আরও একটি ইতিহাস তৈরি করেছে ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এত দিন পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত ছিল। ভারতই প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের সেই প্রান্তে পা রেখেছে। চাঁদের ‘কুমেরু’ আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাই ভারতের।
০৩১৬
ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর পর এ বার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশচারী পাঠানোর কথা ভাবতে শুরু করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
০৪১৬
কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঠিক করে সূর্যের আলো পৌঁছয় না। চাঁদের সেই অংশ চিরআঁধারে নিমজ্জিত। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অংশে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য উপযোগী সম্পদ পাওয়া যেতে পারে।
০৫১৬
তবে চাঁদের সেই অংশ যতটা সম্ভাবনাময়, ততটাই ‘বিশ্বাসঘাতক’। দক্ষিণ মেরুর পদে পদে রয়েছে বিপদ এবং প্রতিকূলতার হাতছানি। অংশটি সম্পূর্ণ রূপে ‘বরফে’ (জমাট কার্বন ডাই অক্সাইড) মোড়া। একই সঙ্গে ভূমিকম্পপ্রবণ।
০৬১৬
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশাল বিশাল কয়েকটি খাদ রয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে খাদের বিস্তার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। আলো কম থাকায় উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত মহাকাশযানও এই অংশে এসে কাবু হয়।
০৭১৬
তবে দক্ষিণ মেরুর ভূমিকম্পেই বিপদ বেশি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কেন এত ভূমিকম্পপ্রবণ চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ?
০৮১৬
‘ওয়াশিংটনের স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন’-এর বিজ্ঞানী টম ওয়াটার্সের নেতৃত্বে শুরু হওয়া একটি গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, বার বার মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চাঁদের দক্ষিণ মেরু।
০৯১৬
নাসার গবেষণা এবং ‘প্ল্যানেটারি সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, চাঁদের শীতল কেন্দ্র এবং পৃথিবীর জোয়ার, মাটিতে বার বার ভূমিকম্পন হওয়ার অন্যতম কারণ।
১০১৬
একই সঙ্গে বিজ্ঞানীদের অনুমান, মাঝেমধ্যেই চাঁদের মাটি সঙ্কুচিত হওয়ার কারণেও চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১১১৬
বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের মাটির নীচের সঙ্কোচনের কারণে চাঁদের মাটিতে ফাটল ধরছে। চাঁদের নীচের মাটি উপরে উঠে আসছে। ফলে বার বার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে ।
১২১৬
নাসার ‘লুনার লুনার রিকনেসান্স অরবিটার (এলআরও)’ চাঁদের ভূত্বক জুড়ে এ রকম অনেকগুলি ফাটল শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৩১৬
যেখানে এই ফাটলের সংখ্যা বেশি সেখানেই ‘আর্তেমিস-৩’ মহাকাশযান অবতরণ করানোর কথা ভাবছে নাসা। লক্ষ্য, ওই এলাকাগুলিতে গবেষণা চালানো।
১৪১৬
চাঁদে ভূমিকম্পের কারণে কোথাও ভূমিধস হচ্ছে কি না, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা করবে নাসার মহাকাশযান।
১৫১৬
ভবিষ্যতে চাঁদে বিস্তারিত গবেষণা চালানোর জন্য সেখানের ভূমিকম্প সংক্রান্ত সঠিক তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে থাকা অত্যন্ত আবশ্যিক বলেও মত নাসার।
১৬১৬
পাশাপাশি ভূমিকম্পের কারণে চাঁদের ওই গোলার্ধে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক হবে, তা-ও খুঁজে বার করা হবে নাসার সেই অভিযানে।