Automatic weapon being home delivered like pizza in Dara Adamkhel of Pakistan dgtl
pakistan
Pakistan: ‘হোম ডেলিভারি’ হয় অস্ত্রের, পাকিস্তানের এই বাজারে বিক্রি হয় মেশিনগান, মর্টার, কামানও!
পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা আদমখেলের অস্ত্র বাজারে ঢেলে বিকোচ্ছে নানা প্রাণঘাতী হাতিয়ার। দাবি, সে দেশেরই নানা সংবাদমাধ্যমের।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
বিশ্বের সব দেশের অস্ত্রসম্ভারই রয়েছে এখানে। কিন্তু, কোনও দেশের আইনই চলে না। এমনই জনশ্রুতি আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অস্ত্রের চোরাবাজার সম্পর্কে।
০২১১
নব্বইয়ের দশকের চিনা ৯ এমএম পিস্তল থেকে হালফিলের জার্মান এমপি-৫ সাব-মেশিনগান। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা আদমখেলের অস্ত্র বাজারে ঢেলে বিকোচ্ছে নানা প্রাণঘাতী হাতিয়ার। দাবি, সে দেশেরই নানা সংবাদমাধ্যমের।
০৩১১
আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকা জুড়ে বেআইনি অস্ত্র কারবারে নতুন জোয়ার এসেছে। হালকা অস্ত্রের পাশাপাশি জোগান বেড়েছে মাঝারি ও ভারী মেশিনগান, মর্টার, রকেট লঞ্চারের।
০৪১১
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলেছে ব্যবসার ধরনও। চালু হয়েছে ‘হোম ডেলিভারি’ পদ্ধতি। নেটমাধ্যমে রীতিমতো তালিকা দেখে পছন্দের অস্ত্র বাছাই করে ডিলারকে জানালেই লোক মারফত তা পছন্দের জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
০৫১১
অস্ত্রের দামও নাগালের মধ্যেই। একটু পুরনো মডেলের কালাশনিকভ রাইফেল বা পিস্তল মেলে সস্তা স্মার্টফোনের চেয়েও কম দামে। তার চেয়ে কয়েক হাজার পাকিস্তানি টাকা বেশি খরচ করলেই মিলবে বিশ্বখ্যাত অস্ত্রনির্মাতা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ’-এর এমপি-৫।
০৬১১
আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনার প্রবেশের পর থেকেই ডেরা আদমখেলের অস্ত্র বাজারের রমরমা শুরু। খাইবার-পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের ৩৫ কিলোমিটার দূরের এই গঞ্জ ছিল আফগান মুজাহিদের অস্ত্রাগার।
০৭১১
জনশ্রুতি, সোভিয়েত সেনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ পাকিস্তানের আইএসআই মারফত আফগান মুজাহিদিনদের যে অস্ত্র পাঠাত, তারই একাংশ ঘুরপথে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসত পাকিস্তানের চোরাবাজারে।
০৮১১
সোভিয়েত সেনার উপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্রও সে সময় দেদার বিকোত পেশোয়ার এবং আশপাশের এলাকায়। সিলভেস্টার স্ট্যালোন অভিনীত ‘র্যাম্বো-৩’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সেই বেআইনি অস্ত্রবাজারের দৃশ্য।
০৯১১
খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং সন্নিহিত আফগান অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী উপজাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার চল ব্রিটিশ জমানা থেকেই। ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও আকর্ষিত হয় পাক অস্ত্র-বাজারে। বেআইনি অস্ত্র রফতানির ঘাঁটি হয় করাচি।
১০১১
তবে সব অস্ত্রই আসল নয়। আদমখেলের কারিগরেরা ইটালিয়ান ব্যারেটা বা বেলজিয়ান ব্রাউনিং পিস্তলের হুবহু নকল তৈরিতেও সিদ্ধহস্ত। পাল্লা বা মারণক্ষমতা প্রায় সমান হলেও নকল অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার সময় আওয়াজ এবং ঝাঁকুনি (রিকয়েল) বেশি হয়।
১১১১
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ফৌজ আফগানিস্তান ছাড়ার পরে তাদের ফেলে যাওয়া সাঁজোয়া গাড়ি, হালকা কামান (মাউন্টেন আর্টিলারি)-ও বিক্রি হয়েছে পাক চোরাবাজারে। আর সাম্প্রতিক রমরমার কারণ আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর রেখে যাওয়া নানা মারণাস্ত্র।