Arun Paudwal the husband of Anuradha Paudwal got faded away by wife’s success dgtl
Arun Paudwal
কিশোর কুমার, শচীনদেব বর্মণদের সঙ্গে কাজ, স্ত্রীর ছায়াতেই কি হারিয়ে গেলেন অরুণ পড়ওয়াল
সত্তর এবং আশির দশকে একাধিক হিন্দি জনপ্রিয় গানের নেপথ্যে কারিগর ছিলেন অরুণ। ‘সাগিনা’, ‘চলতে চলতে’, ‘জুগনু’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। হিন্দির পাশাপাশি মরাঠি গানেও পেয়েছেন সাফল্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
তাঁর স্ত্রী অনুরাধা পড়ওয়ালকে সকলেই চেনেন। দেশজোড়া খ্যাতি তাঁর। কিন্তু অরুণ পড়ওয়ালের নাম হয়তো মনে রাখেননি অনেকেই।
০২১৫
অনুরাধা পড়ওয়ালের স্বামী অরুণও কিন্তু সঙ্গীতের দুনিয়ায় দাপিয়ে কাজ করেছেন এক সময়। কিশোর কুমার, শচীনদেব বর্মণদের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
০৩১৫
সত্তর এবং আশির দশকে একাধিক হিন্দি জনপ্রিয় গানের নেপথ্য কারিগর ছিলেন অরুণ। ‘সাগিনা’, ‘চলতে চলতে’, ‘জুগনু’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালকের সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
০৪১৫
হিন্দির পাশাপাশি মরাঠি গানেও সমান অবদান রেখেছেন অরুণ। ১৯৮৭ সালে মরাঠি ছবি ‘গম্মাত জম্মাত’-এ ‘অশ্বিনী ইয়ে না’ গানটি কিশোর কুমার এবং অনুরাধা পড়ওয়ালের গলায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গানটির নির্মাণ অরুণেরই।
০৫১৫
কেরিয়ারের শুরুতে অনিল মোহিলের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতেন অরুণ। যৌথ ভাবেই এসেছিল স্বীকৃতি। তাঁরা দু’জন ‘অনিল-অরুণ’ নাম নিয়ে একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন।
০৬১৫
‘অনিল-অরুণ’ জুটি শচীনদেব বর্মণের সহকারী হিসাবে বেশ কিছু দিন কাজ করেছেন। তাঁদের দেখা গিয়েছে শচীনদেব বর্মণের স্ত্রী মীরার সহকারী হিসাবেও।
০৭১৫
তার পর দীর্ঘ ১৫ বছর বাপ্পি লাহিড়ির সহকারী হিসাবে কাজ করেন ‘অনিল-অরুণ’ জুটি। এই সময়ে তাঁদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
০৮১৫
সত্তরের দশকে ‘অনিল-অরুণ’ জুটি হিন্দি গানের দুনিয়ায় কার্যত ছেয়ে গিয়েছিল। তবে প্রথম দিকে একসঙ্গে কাজ করলেও পরে স্বতন্ত্র শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন অরুণ।
০৯১৫
‘পাপ্পি’, ‘জ়খমি’, ‘দিল সে মিলে দিল’, ‘আপ কি খাতির’, ‘পাপ কি দুনিয়া’, ‘এক বার কাহো’, ‘ক্যারাটে’ প্রভৃতি ছবিতে স্বতন্ত্র শিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন অরুণ।
১০১৫
১৯৬৯ সালে অনুরাধার সঙ্গে বিয়ে হয় অরুণের। তাঁদের দুই সন্তান, আদিত্য এবং কবিতা। গানের আবহেই ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন পড়ওয়াল দম্পতি। কবিতা পড়ওয়ালও সঙ্গীতের দুনিয়ায় বিখ্যাত নাম।
১১১৫
হিন্দি গানের নেপথ্যশিল্পী হিসাবে অনুরাধা পড়ওয়ালের জনপ্রিয়তা কার্যত আকাশ ছুঁয়েছিল আশির দশকে। তিনি ১৯৮৬ সালে ‘মেরে মন বাজো মৃদঙ্গ’ গানের জন্য সেরা মহিলা কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান।
১২১৫
হিন্দি ছাড়াও মরাঠি, তামিল, ওড়িয়া, নেপালি, বাংলা এবং কন্নড় ছবিতে গান গেয়েছেন অনুরাধা। তাঁর কণ্ঠে মজে থাকতেন সঙ্গীত অনুরাগীরা। আশির দশকে এক সময় লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলেদের চেয়েও অনুরাধাকে এগিয়ে রাখতেন কেউ কেউ।
১৩১৫
নেপথ্যশিল্পী হিসাবে অনুরাধার কেরিয়ার গ্রাফ বরাবর ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে গিয়েছেন অরুণ। স্ত্রীর জনপ্রিয়তার ছায়াতেই কি ধীরে ধীরে অস্ত গিয়েছেন তিনি? তেমনটাই মনে করেন অনেকে।
১৪১৫
অনুরাধার সাফল্যের ছটায় যেন মাথা তুলতে পারেননি অরুণ। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তাই তাঁকে ভুলতে বসেছেন অনেকে। ১৯৯১ সালে ১ নভেম্বর মৃত্যু হয় অরুণের।
১৫১৫
অরুণ-অনুরাধার পুত্র আদিত্যও অকালে চলে গিয়েছেন। কিডনির অসুখে ভুগে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে আদিত্য পড়ওয়ালের।