Sir Isaac Newton's prediction on the world will come to an end in 2060 dgtl
Rediscovered Letter Of Isaac Newton
৩৫ বছর পর ধ্বংস হবে পৃথিবী, চিঠিতে জানিয়ে গিয়েছেন খোদ নিউটন! আর কী লেখা সেখানে?
নিউটনের মতে, রোমান সাম্রাজ্য পতনের ১২৬০ বছর পর পৃথিবী ধ্বংসের লীলাখেলায় মেতে উঠতে পারে। নিউটন যে সময় এই গণনা করেছিলেন, সেই সময় দাঁড়িয়ে এই সময়কে অনেক মনে হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যেই এ সব নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
পৃথিবী কবে ধ্বংস হতে পারে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের অন্ত নেই। তবে এই বিষয়ে বিজ্ঞানের অন্যতম বরপুত্র নাকি গণনা করে তার দিনক্ষণ বার করে ফেলেছিলেন। একটি চিঠিতে সেই কথা লিখে জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই চিঠি আবার প্রকাশ্যে এসেছে।
০২১৫
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাধ্যাকর্ষণের আবিষ্কর্তা আইজ্যাক নিউটন তাঁর লেখা চিঠিতে জানিয়ে গিয়েছিলেন পৃথিবীর আয়ু কবে ফুরিয়ে যেতে পারে।
০৩১৫
১৭০৪ সালে লেখা চিঠিতে নিউটন লিখেছিলেন যে, ২০৬০ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে মাত্র ৩৫ বছর পর পৃথিবী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে। তবে পরিস্থিতির নিরিখে সেই তারিখে হেরফেরও হতে পারে।
০৪১৫
নিউটন জানিয়েছিলেন, এর আগেও পৃথিবীর ধ্বংসের সম্ভাবনা রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ওয়াইআর৪ ২০২৪ গ্রহাণু, যা ‘সিটি কিলার’ নামে অধিক পরিচিত, তার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটে, সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর আয়ু আরও তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতে পারে।
০৫১৫
জ্যোর্তিবিদদের অধিকাংশের দাবি, ‘সিটি কিলার’-এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা ১ থেকে ২ শতাংশ। ফলে তা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
০৬১৫
আজ থেকে মাত্র সাত বছরের মাথায়, অর্থাৎ ২০৩২ সালে ‘সিটি কিলার’-এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটতে পারে। শুধু পৃথিবী নয়, এই সংঘর্ষের ফলে পুড়তে পারে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদও।
০৭১৫
আইজ্যাকের লেখা চিঠিটি বর্তমানে জেরুসালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির সংগ্রহশালায় সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু পৃথিবী কবে ধ্বংস হতে পারে তা কী ভাবে নির্ধারণ করেছিলেন তিনি?
০৮১৫
নিউটন জানিয়েছিলেন, বাইবেলের ‘বুক অফ ড্যানিয়েল’-এ উল্লেখ করা তারিখ এবং সময় গণনা করে তিনি নির্দিষ্ট বছরটি নির্ধারণ করতে সফল হয়েছিলেন।
০৯১৫
নিউটনের মতে, রোমান সাম্রাজ্য পতনের ১২৬০ বছর পর পৃথিবী ধ্বংসের লীলাখেলায় মেতে উঠতে পারে। নিউটন যে সময়ে এই গণনা করেছিলেন, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই সময়কে অনেক মনে হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যেই এ সব নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
১০১৫
এই গণনা বাস্তবে ফলবে কি না তা জানা নেই। তবে বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের দাবি, মহাকাশে যে ধরনের গ্রহাণু ঘুরে বেড়ায়, তাদের বেশির ভাগের আকার বড়জোর একটি গাড়ির মতো। পৃথিবীর কাছে পৌঁছোতে না পৌঁছোতেই সেই গ্রহাণুগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১১১৫
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ বছর পর পর মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়। বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে তাতে আগুন ধরে যায়। খুব কম অংশ জল অথবা স্থলভাগে এসে পড়ে। তীব্র গতিবেগে আসার ফলে সেখানকার এলাকায় গ্রহাণুর ওজনের কারণে গর্ত তৈরি হতে পারে।
১২১৫
বিশালাকার গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম, এমনটাই দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, পাঁচ থেকে দশ লক্ষ বছরে এক বার এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
১৩১৫
হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি কিংস কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ডি স্নোবেলেনের মতে, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক বিজ্ঞানী নন, নিউটন ছিলেন ‘প্রাকৃতিক দার্শনিক’।
১৪১৫
অধ্যাপকের দাবি, আইজ্যাক ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে কোনও বাধা দেখতে পাননি এবং তিনি সারা জীবন ঈশ্বরের সত্য আবিষ্কারের জন্য পরিশ্রম করেছিলেন। বাইবেল এবং সহজ পাটিগণিতের ব্যবহার করেই নাকি গণনা করেছিলেন তিনি।
১৫১৫
তবে নিজের গণনার প্রতি প্রশ্নও তুলতে পিছপা হননি আইজ্যাক। তাড়াহুড়ো করে ভবিষ্যদ্বাণী করা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘সঠিক সময় কেবল ঈশ্বর জানেন।’’