Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Partha Chatterjee

Partha-Arpita case: গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি-সোনা-নগদ! পার্থ-অর্পিতা মামলায় কী কী মিলল, কী কী নজরে

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? এই সম্পত্তির সঙ্গে পার্থের সম্পর্ক কী? সেটাই খুঁজে দেখছে ইডি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৬:৩৬
Share: Save:
০১ ২১
গত ২২ জুলাই, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধারের পর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ইঙ্গিত দিয়েছিল, এর কয়েক গুণ সম্পত্তির হদিস মিলতে পারে পার্থ-অর্পিতা মামলার তদন্তে। অর্পিতার নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাট থেকে শুধু যে বিপুল পরিমাণে কালো টাকা, বেহিসাবি গয়না ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে তা-ই নয়, মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির দলিলও। ইডি অনেক সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও।

গত ২২ জুলাই, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধারের পর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ইঙ্গিত দিয়েছিল, এর কয়েক গুণ সম্পত্তির হদিস মিলতে পারে পার্থ-অর্পিতা মামলার তদন্তে। অর্পিতার নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাট থেকে শুধু যে বিপুল পরিমাণে কালো টাকা, বেহিসাবি গয়না ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে তা-ই নয়, মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির দলিলও। ইডি অনেক সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও।

০২ ২১
এর পর থেকে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক সম্পত্তির খবর। বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ির যে তালিকা এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে, তার বাজারমূল্য কোনও ভাবেই ১০০ কোটি টাকার কম নয় বলে ধারণা তদন্তকারীদের। এ ছাড়া, অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার নগদ এবং সোনা তো আছেই।

এর পর থেকে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক সম্পত্তির খবর। বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ির যে তালিকা এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে, তার বাজারমূল্য কোনও ভাবেই ১০০ কোটি টাকার কম নয় বলে ধারণা তদন্তকারীদের। এ ছাড়া, অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার নগদ এবং সোনা তো আছেই।

০৩ ২১
ইডির প্রথম অভিযান হয় ২২ জুলাই। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ ছাড়াও, ৫৬ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকেরা। ২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে।

ইডির প্রথম অভিযান হয় ২২ জুলাই। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ ছাড়াও, ৫৬ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকেরা। ২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে।

০৪ ২১
এই ঘটনার পাঁচ দিন পর, বেলঘরিয়ার বহুতল আবাসন ‘ক্লাব টাউন হাইটস’-এও অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডি। আবাসনের ২ নম্বর ব্লকের ২-এ ফ্ল্যাট থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার না হলেও, ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাটে ঢুকে রীতিমত থ হয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো ইডি এই ফ্ল্যাট থেকেও ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধার করে।

এই ঘটনার পাঁচ দিন পর, বেলঘরিয়ার বহুতল আবাসন ‘ক্লাব টাউন হাইটস’-এও অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডি। আবাসনের ২ নম্বর ব্লকের ২-এ ফ্ল্যাট থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার না হলেও, ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাটে ঢুকে রীতিমত থ হয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো ইডি এই ফ্ল্যাট থেকেও ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধার করে।

০৫ ২১
বেলঘরিয়ার ৮-এ ফ্ল্যাটটির শোবার ঘর এবং শৌচালয় থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বাট, রকমারি হার, ছ’টি কাঁকন (বালা), ঘড়ি-কলমও ছিল।

বেলঘরিয়ার ৮-এ ফ্ল্যাটটির শোবার ঘর এবং শৌচালয় থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বাট, রকমারি হার, ছ’টি কাঁকন (বালা), ঘড়ি-কলমও ছিল।

০৬ ২১
অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি ৩৬ লক্ষ এবং ৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ইডি উদ্ধার করে। অর্থাৎ টাকা-সোনা মিলে মোট ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়।

অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি ৩৬ লক্ষ এবং ৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ইডি উদ্ধার করে। অর্থাৎ টাকা-সোনা মিলে মোট ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়।

০৭ ২১
এর বাইরে নামে-বেনামে যে সম্পত্তি ইডির নজরে রয়েছে তার মূল্য কত? আদালতে ইডি জানিয়েছে, ‘বিপুল পরিমাণে’ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পরে ইডির আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটিরও বেশি হতে পারে।

এর বাইরে নামে-বেনামে যে সম্পত্তি ইডির নজরে রয়েছে তার মূল্য কত? আদালতে ইডি জানিয়েছে, ‘বিপুল পরিমাণে’ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পরে ইডির আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটিরও বেশি হতে পারে।

০৮ ২১
টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার তিনটি ফ্ল্যাট বাদে, চিনার পার্কের একটি আবাসনে অর্পিতার আর একটি ফ্ল্যাটের হদিস পায় ইডি। তালা ভেঙে ৪০৪ নম্বর এই ফ্ল্যাটে ঢুকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পরে এই ফ্ল্যাটটিও সিল করে দেওয়া হয়।

টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার তিনটি ফ্ল্যাট বাদে, চিনার পার্কের একটি আবাসনে অর্পিতার আর একটি ফ্ল্যাটের হদিস পায় ইডি। তালা ভেঙে ৪০৪ নম্বর এই ফ্ল্যাটে ঢুকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পরে এই ফ্ল্যাটটিও সিল করে দেওয়া হয়।

০৯ ২১
কসবার রাজডাঙায় অর্পিতার বিনোদন সংস্থার অফিস ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এ হানা দিয়েছিল ইডির দল। অর্পিতা এই সংস্থার ডিরেক্টর। বাড়িটি বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হত। ভাড়া দেওয়া হত প্রযোজনার কাজেও। অর্পিতার এই অফিসটির ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কসবার রাজডাঙায় অর্পিতার বিনোদন সংস্থার অফিস ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এ হানা দিয়েছিল ইডির দল। অর্পিতা এই সংস্থার ডিরেক্টর। বাড়িটি বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হত। ভাড়া দেওয়া হত প্রযোজনার কাজেও। অর্পিতার এই অফিসটির ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

১০ ২১
ইডি সূত্রে খবর, ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে আরও একটি ফ্ল্যাটবাড়ির খোঁজ মিলেছে আনন্দপুরের মাদুরদহে।  এই বিনোদন সংস্থার আড়ালে অন্য কোনও কাজ হত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে আরও একটি ফ্ল্যাটবাড়ির খোঁজ মিলেছে আনন্দপুরের মাদুরদহে। এই বিনোদন সংস্থার আড়ালে অন্য কোনও কাজ হত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

১১ ২১
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অর্পিতা এবং ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে ভাঙড়ের তাড়দহে ১০ বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই জমি কেনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৭ বিঘা জমি রয়েছে অর্পিতার নামে। বাকি প্রায় তিন বিঘা রয়েছে ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে ওই এলাকায় বিঘাপ্রতি জমির দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অর্পিতা এবং ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে ভাঙড়ের তাড়দহে ১০ বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই জমি কেনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৭ বিঘা জমি রয়েছে অর্পিতার নামে। বাকি প্রায় তিন বিঘা রয়েছে ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নামে। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে ওই এলাকায় বিঘাপ্রতি জমির দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।

১২ ২১
পঞ্চসায়রের নয়াবাদেও একটি বাড়ির খোঁজ পেয়েছে ইডি। এই বাড়িটিও অর্পিতার নামে বলেই ইডি সূত্রে খবর।

পঞ্চসায়রের নয়াবাদেও একটি বাড়ির খোঁজ পেয়েছে ইডি। এই বাড়িটিও অর্পিতার নামে বলেই ইডি সূত্রে খবর।

১৩ ২১
বীরভূমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক বাড়ি রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল ইডি আধিকারিকদের। এর মধ্যেই ১০ কাঠার বেশি জমির উপর তৈরি ‘অপা’ নামে একটি বাড়িকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। শনিবার বোলপুরের ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব আধিকারিক জানান, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে, এই বাড়ি রয়েছে অর্পিতার নামে। পার্থর নাম মালিক হিসাবে নেই। অনেকের মত, ‘অপা’ নামটি অর্পিতা এবং পার্থের আদ্যক্ষর দিয়ে তৈরি।

বীরভূমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক বাড়ি রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল ইডি আধিকারিকদের। এর মধ্যেই ১০ কাঠার বেশি জমির উপর তৈরি ‘অপা’ নামে একটি বাড়িকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। শনিবার বোলপুরের ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব আধিকারিক জানান, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে, এই বাড়ি রয়েছে অর্পিতার নামে। পার্থর নাম মালিক হিসাবে নেই। অনেকের মত, ‘অপা’ নামটি অর্পিতা এবং পার্থের আদ্যক্ষর দিয়ে তৈরি।

১৪ ২১
অর্পিতার নামে বা বেনামে বোলপুরের বুকে, বিশেষ করে বোলপুরের প্রান্তিক এলাকায়, আরও কিছু জমি-বাড়ি থাকতে পারে বলেও ইডি কর্তারা মনে করছেন।

অর্পিতার নামে বা বেনামে বোলপুরের বুকে, বিশেষ করে বোলপুরের প্রান্তিক এলাকায়, আরও কিছু জমি-বাড়ি থাকতে পারে বলেও ইডি কর্তারা মনে করছেন।

১৫ ২১
টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ঠিক উপরে একটি বিলাসবহুল ‘পেন্ট হাউস’ রয়েছে। এটি পার্থের বলে দাবি উঠেছে। অভিয়োগ ডায়মন্ড সিটি আবাসনেই অর্পিতার ফ্ল্যাট-সহ মোট চারটি ফ্ল্যাট বিভিন্ন নামে কিনেছিলেন পার্থ। এমন তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে একটিতে নাকি বিলাসবহুল ‘পেন্ট হাউস’ বানিয়েছিলেন তিনি। যদিও এর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।

টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ঠিক উপরে একটি বিলাসবহুল ‘পেন্ট হাউস’ রয়েছে। এটি পার্থের বলে দাবি উঠেছে। অভিয়োগ ডায়মন্ড সিটি আবাসনেই অর্পিতার ফ্ল্যাট-সহ মোট চারটি ফ্ল্যাট বিভিন্ন নামে কিনেছিলেন পার্থ। এমন তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে একটিতে নাকি বিলাসবহুল ‘পেন্ট হাউস’ বানিয়েছিলেন তিনি। যদিও এর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।

১৬ ২১
নাম গোপন রাখার শর্তে আবাসন পরিচালন কমিটির এক সদস্য শুক্রবার বলেন, ‘‘এখানে চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে একটিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটটি টাওয়ার ২-এর ১-এ। সেখান থেকেই টাকা উদ্ধার হয়। কিন্তু ওই টাওয়ারেরই ১৯ তলায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাট দু’টিকে এক করে এখন সেখানে রাখা রয়েছে পার্থর সারমেয়দের। ওই ফ্ল্যাট থেকেই আবার উপরের তলায় ১৯-আই ফ্ল্যাটে যাওয়া যায়। সেটি বিলাসবহুল পেন্ট হাউস।’’

নাম গোপন রাখার শর্তে আবাসন পরিচালন কমিটির এক সদস্য শুক্রবার বলেন, ‘‘এখানে চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে একটিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটটি টাওয়ার ২-এর ১-এ। সেখান থেকেই টাকা উদ্ধার হয়। কিন্তু ওই টাওয়ারেরই ১৯ তলায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাট দু’টিকে এক করে এখন সেখানে রাখা রয়েছে পার্থর সারমেয়দের। ওই ফ্ল্যাট থেকেই আবার উপরের তলায় ১৯-আই ফ্ল্যাটে যাওয়া যায়। সেটি বিলাসবহুল পেন্ট হাউস।’’

১৭ ২১
পরিচালন কমিটির ওই সদস্য আরও দাবি করেছেন, দোতলার ১-এ ফ্ল্যাটটি এবং ১৯ তলার ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছিল বিভিন্ন সংস্থার নামে। প্রথমটির আসল মালিক ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’। ১৯ তলার ফ্ল্যাট দু’টি ‘অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টস’ বলে একটি সংস্থার নামে। যেটিতে ‘পেন্ট হাউস’ বানানো হয়েছে, সেটির মালিক জনৈকা শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। তবে আবাসনের বাসিন্দারাদের দাবি, অন্য নামে কেনা হলেও সেগুলি প্রাক্তন মন্ত্রীর বলেই তাঁরা জানতেন। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে পার্থর সত্যিই কোনও যোগ রয়েছে কি না, থাকলে কী, তা-ও খতিয়ে দেখছে ইডি।

পরিচালন কমিটির ওই সদস্য আরও দাবি করেছেন, দোতলার ১-এ ফ্ল্যাটটি এবং ১৯ তলার ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছিল বিভিন্ন সংস্থার নামে। প্রথমটির আসল মালিক ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’। ১৯ তলার ফ্ল্যাট দু’টি ‘অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টস’ বলে একটি সংস্থার নামে। যেটিতে ‘পেন্ট হাউস’ বানানো হয়েছে, সেটির মালিক জনৈকা শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। তবে আবাসনের বাসিন্দারাদের দাবি, অন্য নামে কেনা হলেও সেগুলি প্রাক্তন মন্ত্রীর বলেই তাঁরা জানতেন। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে পার্থর সত্যিই কোনও যোগ রয়েছে কি না, থাকলে কী, তা-ও খতিয়ে দেখছে ইডি।

১৮ ২১
‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি’ বলে পরিচিত বারুইপুরের একটি বাগানবাড়ির উপরেও নজর রেখেছেন ইডি আধাকারিকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বাড়ি পার্থের বলেই জানতেন তাঁরা। বাড়িটির মালিকানা রয়েছে পার্থের মেয়ে সোহিনীর নামে। তবে অন্যান্য শরিকও আছেন বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।

‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি’ বলে পরিচিত বারুইপুরের একটি বাগানবাড়ির উপরেও নজর রেখেছেন ইডি আধাকারিকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বাড়ি পার্থের বলেই জানতেন তাঁরা। বাড়িটির মালিকানা রয়েছে পার্থের মেয়ে সোহিনীর নামে। তবে অন্যান্য শরিকও আছেন বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।

১৯ ২১
অর্পিতার নামে-বেনামে থাকা ৪টি গাড়ির হদিসও পেয়েছে ইডি। এই গাড়িগুলির আনুমানিক দাম কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়াও অর্পিতার আরও কয়েকটি গাড়ি আছে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। সেগুলির খোঁজখবর চলছে।

অর্পিতার নামে-বেনামে থাকা ৪টি গাড়ির হদিসও পেয়েছে ইডি। এই গাড়িগুলির আনুমানিক দাম কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়াও অর্পিতার আরও কয়েকটি গাড়ি আছে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। সেগুলির খোঁজখবর চলছে।

২০ ২১
অর্পিতার নামে প্রায় এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোসিট)-এর কাগজ বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে প্রচুর শেয়ারের কাগজ, সম্পত্তির দলিল, একাধিক পেন ড্রাইভ, সিডি, ট্যাব এবং দামি হাতঘড়ি।

অর্পিতার নামে প্রায় এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোসিট)-এর কাগজ বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে প্রচুর শেয়ারের কাগজ, সম্পত্তির দলিল, একাধিক পেন ড্রাইভ, সিডি, ট্যাব এবং দামি হাতঘড়ি।

২১ ২১
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে অভিযান চালানোর দিন ১৮টি দামি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে তদন্তকারী দল।

টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে অভিযান চালানোর দিন ১৮টি দামি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে তদন্তকারী দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy