All you need to know about Pakistani Millionaire Teacher Sister Zeph dgtl
Riffat Arif
স্কুল চালিয়ে বহু কোটির মালিক পাকিস্তানের ‘বিশ্ব শিক্ষিকা’! কী ভাবে সম্ভব করলেন ‘সিস্টার জেফ’?
মাত্র ১৩ বছর বয়সে এলাকার গরিব বাচ্চাদের জড়ো করে তাদের পড়াতে শুরু করেন রিফত। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকেন নিজের পড়াশোনা। ছোট্ট মেয়ের মহৎ প্রচেষ্টা দেখে তাঁর পরিবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখানোর জন্য কোনও টাকা নেন না রিফত আরিফ। তেমন বিত্তশালী পরিবারেরও সদস্য নন তিনি। তাঁর সময় কাটে গরিব এবং দুঃস্থ বাচ্চাদের পড়াশোনা শিখিয়ে। আয়ের অন্য কোনও উপায়ও নেই। অথচ রিফতের সম্পত্তির পরিমাণ কোটি কোটি টাকা!
ছবি: রয়টার্স।
০২১৬
রিফত পাকিস্তানের এক জন শিক্ষিকা। তাঁর জন্ম গুজরানওয়ালায়। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের এই কন্যার।
ছবি: রয়টার্স।
০৩১৬
ছোট থেকেই রিফত বুঝে গিয়েছিলেন, শুধু নিজে পড়াশোনা করলেই হবে না। সমাজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে হলে আরও মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে।
ছবি: ফেসবুক।
০৪১৬
মাত্র ১৩ বছর বয়সে এলাকার গরিব বাচ্চাদের জড়ো করে তাঁদের পড়াতে শুরু করেন রিফত। পাশাপাশি, চালিয়ে যেতে থাকেন নিজের পড়াশোনা। ছোট্ট মেয়ের মহৎ প্রচেষ্টা দেখে তাঁর পরিবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ছবি: ফেসবুক।
০৫১৬
ধীরে ধীরে রিফতের পাঠশালায় শিশুদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। স্কুলের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে।
ছবি: ফেসবুক।
০৬১৬
স্কুলের খরচ চালানোর জন্য খুব কম বয়সে একটি চাকরিও জুটিয়ে ফেলেন রিফত। আট ঘণ্টা চাকরি করে যে বেতন পেতেন, তা ঢেলে দিতেন স্কুলে।
ছবি: ফেসবুক।
০৭১৬
রোজ কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরে চার ঘণ্টা করে বাচ্চাদের পড়াতে বসতেন রিফত। এর পর রাতে আবার নিজেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন।
ছবি: ফেসবুক।
০৮১৬
বহু বছরের চেষ্টায় ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে তহবিল সংগ্রহ করে একটা স্কুল খুলে ফেলেন রিফত। উদ্দেশ্য ছিল, আরও গরিব শিশুর কাছে বিনামূল্যে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া।
ছবি: ফেসবুক।
০৯১৬
স্কুল চালাতে গিয়ে অনেক বাধার মুখেও পড়তে হয় রিফতকে। কিন্তু তিনি ছিলেন অদম্য। অনেক বার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও তিনি তা হতে দেননি।
ছবি: ফেসবুক।
১০১৬
২৬ বছরের প্রচেষ্টার পর রিফতের স্কুলে বর্তমানে প্রায় ২০০ জন গরিব পরিবারের সন্তান এবং পথশিশু পড়াশোনা করে।
ছবি: ফেসবুক।
১১১৬
সারা বিশ্বের কাছে রিফত পরিচিত সিস্টার জেফ নামেও। ৪০ বছর বয়সি শিক্ষিকাকে শ্রদ্ধা করেন গুজরানওয়ালা এলাকার বাসিন্দারা।
ছবি: ফেসবুক।
১২১৬
কিন্তু বিনামূল্যে স্কুল চালিয়েও কী ভাবে কোটিপতি হলেন রিফত! ২০২৩ সালে ‘গ্লোবাল টিচার’ হিসাবে মনোনীত হন রিফত। গত মাসে সেই সম্মানও জেতেন।
ছবি: ফেসবুক।
১৩১৬
প্যারিসে গিয়ে ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ়’ নিয়েছেন রিফত। পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠার পর রিফত বলেন, ‘‘আমি বলতে চাই যে, শিক্ষকতা শুধু কোনও চাকরি নয়। এটা এমন একটা পেশা, যা অনুপ্রেরণা জোগায়, প্রশিক্ষণ দেয় এবং পরবর্তী প্রজন্মকে শক্তিশালী করে তোলে।’’
ছবি: ফেসবুক।
১৪১৬
‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ়’-এর ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ। রিফত এবং মাকরঁ একসঙ্গে ছবিও তোলেন।
ছবি: ফেসবুক।
১৫১৬
‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ়’-এর পুরস্কারমূল্য ১০ লক্ষ ডলার। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা।
ছবি: ফেসবুক।
১৬১৬
তবে পুরস্কারের টাকা ভোগবিলাসে ব্যয় করবেন না বলেই জানিয়েছেন রিফত। তিনি সেই টাকা আরও গরিব এবং দুঃস্থ শিশুর কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য খরচ করবেন বলেই জানিয়েছেন ‘বিশ্ব শিক্ষিকা’।