তবে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তাতে কেন নাক গলাচ্ছে আমেরিকা? আমেরিকার আইন অনুযায়ী, সে দেশের বাজারের সঙ্গে যুক্ত, সে দেশে বিনিয়োগকারী বা সে দেশ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছেন, এমন কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই মামলার তদন্ত চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। সে অভিযুক্ত যে দেশেরই নাগরিক হন না কেন! বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, ঋণ নিলে তাদের নিয়মও মেনে নিতে হবে। আদানি নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার কারণেই তিনি আমেরিকার আইনের আওতায় পড়ে গিয়েছেন।
আমেরিকা জানিয়েছে, রঞ্জিত গুপ্ত এবং রূপেশ আগরওয়াল ‘আজ়ুরে পাওয়ার’ নামে সংস্থার সিইও এবং পরামর্শদাতা। আমেরিকার সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান এনার্জি কোম্পানি’ এবং ‘আজ়ুরে পাওয়ার’ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘সোলার এনার্জি কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (এসইসিআই)-কে ১২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করার চুক্তি পেয়েছিল।
আমেরিকার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর পরেই আদানি গোষ্ঠী এবং আজ়ুরে পাওয়ার ভারতের সরকারি কর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বিনিময়ে সরকারি আধিকারিকেরা রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলিকে এসইসিআই-এর সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি করতে রাজি করাবেন। সরকারি আধিকারিকেরা ঘুষ পাবেন ২২৩৭ কোটি, যার একটি বড় অংশ অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তাদের কাছে যাবে।
নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘‘গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং বিনীত জৈনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে কোটি কোটি ডলার তোলার জন্য জালিয়াতি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সংস্থার তরফে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।’’
সেই সময় রাতারাতি এই গোষ্ঠীর বাজারদর পড়ে যায়। অর্থাৎ, যে সংস্থার বাজারদর ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা, তা প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়ে সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকায় এসে পৌঁছয়। এক বছর পর পরিস্থিতি কিন্তু অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন আদানিরা। ফিরছিলেন স্বমহিমায়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আবার অভিযোগের আঙুল উঠল গৌতমের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy