6 royal families and know about their source of income and lavish lifestyle dgtl
Royal Family
হাজার হাজার কোটির সম্পত্তি, রাজপ্রাসাদ! রাজ্য না থাকলেও রাজার হালেই থাকে এই সব রাজপরিবার
অতীতের সেই দাপট নেই। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজস্ব ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে দেশের এই ছয় রাজপরিবার।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:১৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
দেশ থেকে রাজতন্ত্র মুছে গিয়েছে। তবে এখনও টিকে রয়েছে বেশ কিছু রাজপরিবার। অতীতের সেই জৌলুস নেই হয়তো। তবুও সেই একই ঐতিহ্যে বহমান ওই রাজবাড়িগুলি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজস্ব ঘরানা বজায় রেখেছে তারা। আর ওই রাজপরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রা নিয়ে এখনও জনমানসে কৌতূহল রয়েছে। তেমনই কিছু ‘রাজকাহিনি’ তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৮
প্রথমেই বলা যাক, মেবার বংশের কথা। মেবারের কথা বললেই উঠে আসে মহারানা প্রতাপের নাম। মেবারের রাজা ছিলেন তিনি। তবে সে তো ইতিহাস। বর্তমানে তাঁর বংশধররা থাকেন রাজস্থানের উদয়পুরে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৮
মেবারদের বর্তমান রাজার নাম অরবিন্দ সিংহ মেবার। তিনিই পরিবারের প্রধান। তবে অতীতের মতো সেই রাজ্যপাট আর প্রতাপ নেই। বরং আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছেন মহারানার বংশধররা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৮
মেবারের বর্তমান রাজা এখন ‘এইচআরএইচ হোটেলস’-এর শীর্ষ পদে রয়েছেন। উদয়পুর প্যালেসে থাকেন রাজা এবং তাঁর স্ত্রী মহারানি বিজয়ারাজ। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই উদয়পুর প্যালেস। রাজা-রানি সেখানে থাকলেও, পর্যটকদের জন্য এই প্রাসাদের দরজা খোলা থাকে। মেবারের বর্তমান রাজা একটি সংগ্রহশালাও খুলেছেন। সেখানে শহরের প্রাচীন গাড়ি থরে থরে সাজানো রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৮
ভারতীয় রাজবংশের তালিকায় রয়েছেন ওয়াদিয়াররা। এই মুহূর্তে ওয়াদিয়ারদের মাথায় রয়েছেন যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামপাদ ওয়াদিয়ার। তবে তিনি পরিবারের সরাসরি উত্তরাধিকারী নন।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৮
২০১৩ সালে প্রয়াত হন শ্রীকান্তদত্ত ওয়াদিয়ার। তিনি নিঃসন্তান থাকায় যদুবীরকে তাঁদের সন্তান হিসাবে দত্তক নিয়েছিলেন রাজমাতা। তার পর যদুবীরকেই আগামী দিনের রাজা হিসাবে তুলে ধরা হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৮
২০১৬ সালে দুঙ্গারপুরের যুবরানি তৃষিকা কুমারি সিংহের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন যদুবীর। তাঁদের ৩ বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৮
জয়পুরের রাজপরিবারও নিজস্ব ঐতিহ্য এবং পরম্পরা অটুট রেখে চলেছে। জয়পুর রাজপরিবারের শেষ সাম্মানিক প্রধান ছিলেন ভবানী সিংহ। তাঁর কোনও পুত্রসন্তান না থাকায় কন্যা দিয়া কুমারীর পুত্র পদ্মনাভ সিংহকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে জয়পুরের মহারাজা হয়েছিলেন পদ্মনাভ।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৮
পদ্মনাভ জাতীয় স্তরের পোলো খেলোয়াড়। এক সময় রামবাগ প্যালেস ছিল জয়পুরের মহারাজার বাড়ি। সেই প্রাসাদ এখন চালাচ্ছেন তাজ হোটেল কর্তৃপক্ষ। পর্যটকরা সেখানে গিয়ে রাজকীয় পরিবেশে থাকতে পারবেন। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, এই রাজপরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৮
এক সময় জোধপুর শাসন করত রাঠৌর পরিবার। এখন আর সেই দাপট নেই। তবে তাঁদের বংশধরা এখনও রয়েছেন। মেহরানগড় দুর্গ এবং উমেদ ভবন প্যালেস অন্যতম বড় দুর্গ।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৮
বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে উমেদ ভবন প্রাসাদে থাকেন মহারাজা গজ সিংহ। রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোতে ভারতীয় হাইকমিশনার হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৮
উমেদ ভবন প্রাসাদ ঘুরে দেখতে পারেন পর্যটকরাও। তাজ গ্রুপ অফ হোটেলস এই প্রাসাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে। ওই উমেদ ভবন প্রাসাদেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৮
ভদোদরায় গায়কোয়াড়দের দাপটও নেহাত কম ছিল না। ভদোদরার রাজপরিবারের শীর্ষে রয়েছেন সমরজিৎ সিংহ গায়কোয়াড়। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৮
লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদের মালিকানা তাঁর দখলে রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন বিপুল পরিমাণ গয়না। গুজরাত এবং বারাণসীতে ১৭টি মন্দিরের ট্রাস্টও সামলান গায়কোয়াড়।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৮
ভারতীয় রাজ ঘরানার মধ্যে আলাদা ছাপ ফেলেছেন পটৌডীরা। সে দিক থেকে বলতে গেলে বরাবরই চর্চিত হয়েছেন তাঁরা। পটৌডী পরিবারে যেন তারার মেলা। গ্ল্যামার দুনিয়ায় পটৌডী পরিবারের যে সদস্য প্রথম দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন, তিনি বলেন মনসুর আলি খান পটৌডী। এক দিকে নবাবি মেজাজ। অন্য দিকে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৮
পটৌডী পরিবারকে ঘিরে চর্চা বাড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মনসুর আলি খানের সঙ্গে প্রেম, তার পর বিয়ে। যা ঘিরে বরাবরই চর্চায় থেকেছে তাঁদের ‘পটৌডী প্যালেস’।
১৭১৮
পরবর্তী সময়ে পটৌডী পরিবারের দ্যুতি বাড়িয়েছেন শর্মিলা-পুত্র তথা অভিনেতা সইফ আলি খান। কন্যা সোহা আলি খানও বলিউডে পা রেখেছেন। আর তারও পরে সইফের ‘বেগম’ হিসাবে পটৌডী প্রাসাদে বলিউডের এক সময়ের পয়লা নম্বর নায়িকা করিনা কপূরের প্রবেশের পর এই পরিবারকে ঘিরে জনমানসে আগ্রহ দ্বিগুণ হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৮১৮
পটৌডী প্যালেস ‘ইব্রাহিম কোঠি’ নামেও পরিচিত। ১০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে এই প্রাসাদ। মনসুর আলি খানের প্রয়াণের পর বর্তমান নবাব সইফ।