4,000 year old Egyptian statue named Neb-Senu rotates by itself in museum, still a mystery dgtl
Egypt
Neb-Senu Mystery: ফারাওয়ের ‘অভিশাপ’! নিজে থেকেই ঘুরে যায় চার হাজার বছরের পুরনো মিশরীয় মূর্তি
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মূর্তির সামনে ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরের দিন ক্যামেরায় যা ধরা পড়ে, তা দেখে বিস্মিত অনেকেই।
সংবাদ সংস্থা
লন্ডনশেষ আপডেট: ১০ মে ২০২২ ০৯:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
ফারাওয়ের অভিশাপ বা মমির অভিশাপ! এই কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় একাধিক বিস্ময়কর ঘটনা। এ এমন এক অভিশাপ, যা ফারাওয়ের মমির পিরামিডে ঢুকলেই গ্রাস করে। মূল্যবান সম্পদ লুটের আশায় পিরামিডে ঢোকা সাধারণ চোর বা ইতিহাস সন্ধানের তাড়নায় প্রবেশ করা প্রত্নতাত্ত্বিক— এই অভিশাপের হাত থেকে রেহাই পান না কেউই।
০২১৭
দাবি করা হয়, এই পিরামিডগুলিতে ঢুকলেই কোনও না কোনও কারণে প্রবেশকারীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। এরকম একাধিক ঘটনার বিবরণ ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলেই বেরিয়ে আসে।
০৩১৭
মিশরের মূর্তির এমনই রহস্য এখনও রয়েছে। ম্যানচেস্টার জাদুঘরের এক মিশরীয় মূর্তি, যা দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের টানছে। হাজার চেষ্টা করেও ৮০ বছর ধরে জাদুঘরে-থাকা এই মূর্তির রহস্য সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
০৪১৭
১৮০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের এই মূর্তি একটি মমির সমাধির ধ্বংসাবশেষে পাওয়া গিয়েছিল। পরে এই মূর্তির জায়গা হয় ম্যানচেস্টারের জাদুঘরে। কালো পাথর কেটে তৈরি এই মূর্তির নাম নেব-সেনু।
০৫১৭
২০১৩ সালে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ হঠাৎই এক দিন লক্ষ করেন, চার হাজার বছর পুরনো এই মূর্তি প্রতিদিনই ১৮০ ডিগ্রি করে ঘুরে যাচ্ছে। পর পর কিছুদিন একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন জাদুঘরের কর্মীরা। দেখেন, প্রতিদিন নিজে থেকেই পিছন দিকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে রহস্যময় মূর্তিটি।
০৬১৭
তবে রাতে নয়, দিনের বেলাতেই দিক পরিবর্তন করে কারসাজি করতে দেখা যাচ্ছিল নেব-সেনু মূর্তিকে। এর পরই আতঙ্ক ছড়ায় জাদুঘর কর্মীদের মধ্যে। আতঙ্কে মূর্তির ধারেকাছে ঘেঁষতে চান না কেউ।
০৭১৭
প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে ফারাওয়ের অভিশাপ বলেই বর্ণনা করতে শুরু করেন অনেকে।
০৮১৭
ওই জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ক্যাম্পবেল প্রাইসের জানান, এক মাত্র তাঁর কাছেই জাদুঘরের চাবি থাকে। তাই অন্য কোনও ব্যক্তির জাদুঘরে ঢুকে মূর্তি পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
০৯১৭
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মূর্তির সামনে ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরের দিন ক্যামেরাতে যা ধরা পড়ে, তা দেখে হতকচিত হন অনেকেই।
১০১৭
ভিডিয়োতে দেখা যায়, খুব ধীরে ধীরে নিজে থেকেই ঘুরে যাচ্ছে ইঞ্চি দশেকের ওই রহস্যময় মূর্তি।
১১১৭
প্রাইসের দাবি, অতীতে মূর্তির পায়ে বিভিন্ন রকমের নৈবেদ্য রাখা হত। মূর্তির পিছনে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে ‘রুটি, মদ এবং গবাদি পশুর মাংস’-এর কথা লেখা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
১২১৭
প্রাইস আরও দাবি করেন, মূর্তিটির নিজে থেকেই ঘুরে যাওয়ার পিছনে কোনও আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে।
১৩১৭
প্রাচীনকালে মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন, কোনও মমি ধ্বংস হয়ে গেলে তার আত্মাটি ধরে রাখার জন্য এই রকম ছোট ছোট বিকল্প মূর্তি রাখা হত। নেব-সেনু সেরকমই কোনও মূর্তি বলে মনে করেন প্রাইস।
১৪১৭
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এই ঘটনার অন্যরকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের মতে, পর্যটকেরা এই মূর্তির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মৃদু কম্পনের সৃষ্টি হয়। সেই কম্পনেই একটু একটু করে এই মূর্তি মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
১৫১৭
পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ব্রায়ান কক্সও এই যুক্তিই দিয়েছেন। ব্রায়ান মনে করেন, কম্পনের ফলে মূর্তির মসৃণ পাথর এবং কাচের মেঝেয় ঘর্ষণ তৈরি হয়। মুখ ঘুরে যায় এই মূর্তির।
১৬১৭
তবে এই তত্ত্বের বিরোধিতা করে প্রাইসের পাল্টা প্রশ্ন, যদি কম্পনের কারণেই মূর্তি ঘোরে, তা হলে হঠাৎ করে ২০১৩ সাল থেকে এই ঘটনা শুরু হবে কেন? পাশাপাশি তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, কোনও ভাবে না বেঁকে কী করে অর্ধবৃত্তাকারে এই মূর্তিটি ঘুরে যায়?
১৭১৭
কেউই প্রাইসের কোনও প্রশ্নকেই যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে পারেননি। এখনও নেব-সেনুর এই রহস্য রহস্যই রয়ে গিয়েছে।