প্রতীকী চিত্র
চাকরি জীবনের শুরু থেকেই অনেকে ভেবেচিন্তে টাকা জমানোর পরিকল্পনা করেন। হাতে কিছু টাকা জমে গেলেই তখন ভাবনা আসে বিনিয়োগের। এমন ভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে যা সুরক্ষিত থাকবে, ঝুঁকি তুলনায় কম হবে অথচ রিটার্নও আসবে আকর্ষণীয়!
তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব জরুরি বিষয় হল কর, যার জন্যই মানুষ পিছিয়ে আসেন। অনেকেই কর বাঁচাতে নানা রকমের বিমা বা কর বাঁচানোর হরেক প্রকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অথচ ভেবেও দেখেন না তাঁদের আর্থিক পরিকল্পনায় আদৌ এই বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে কি না।
কিন্তু করের টাকা বাঁচানোর জন্য হঠকারী বিনিয়োগ কি সত্যিই কার্যকরী? না কি এতে ক্ষতিরই আশঙ্কা বেশি?
প্রথমত, এমন সম্পদে বিনিয়োগ করা উচিত নয়, যা প্রয়োজন বা আর্থিক লক্ষ্যের সঙ্গে মেলে না। কম বয়সে যখন মানুষের স্থায়ী আয় থাকে, সেই সময়ে এমন ভাবে বিনিয়োগ করতে হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে। আগামী ২০ বছরের পরিকল্পনা ধরলে এই ধরনের সম্পদে রিটার্নের যা হার হবে, তা ঋণের থেকে অনেক বেশি মাত্রায়। তবে তা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। তাই বিনিয়োগ করার আগে যাচাই করুন।
দ্বিতীয়ত, সম্পদ বা সঞ্চয় কোনওটাই যেন আপনার প্রয়োজনকে ব্যাহত না করে। যে কোনও দরকারে আপনার সঞ্চয় যদি ব্যবহার না করতে পারেন, তাহলে আখেরে আপনারই ক্ষতি। বিনিয়োগ করার সময়ে দেখতে হবে যেন প্রয়োজনে খুব সহজ পদ্ধতিতে লগ্নি, ঋণ বা টাকা তোলা আর জমা করা যেতে পারে। কম বয়সে অনেক পরিকল্পনা অনুযায়ী হাতে টাকার দরকার হয়। কেবল কর বাঁচানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক-ইন প্রকল্পে টাকা রেখে দেবেন না।
এমনকি সন্তানের নামে টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করলেও তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। সন্তানের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলেই সেই টাকা তোলা বা নতুন করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি জটিল সই-সাবুদের ঝামেলায় পড়তে হয়। তখন তাড়াহুড়ো করে যে কোনও প্রকল্পে কেবল কর বাঁচানোর তাগিদে বিনিয়োগ করে দিলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তৃতীয়ত, সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে এই রকম বিনিয়োগ শুধুই সমস্যা ডেকে আনে। প্রয়োজন মতো টাকা অন্য জায়গায় রাখা বা সরানো, এমনকি নতুন কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সুযোগও থাকে না। আবার সম্পদের ক্ষেত্রে যেমন বাড়ি ঘর, জমি ইত্যাদি মানুষ বিক্রি করার চেয়ে সন্তানকে দান করায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাঁর আসল কারণই হল মূলধনী করের বিরাট অঙ্ক থেকে গা বাঁচানো। এতে দরকারের সময়ে সেই সম্পদ বা টাকা কোনওটাই হাতে পান না মানুষ।
চতুর্থত, ব্যাঙ্ক ডিপোজিট, বন্ড বা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইত্যাদি থেকে কর বাঁচানোর কোনও লাভ হয়তো মেলে না, তবে প্রয়োজনে ব্যবহার করার মতো হাতে টাকা আসতেও কোনও সমস্যা হয়না। আবার যাঁদের সন্তান বিদেশে থাকেন, এই ধরনের বিনিয়োগ বা লক-ইন’এর পরে সেই টাকা অন্য কোথাও সরানো বা প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে তাঁদের অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হয়।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy